আসসালামু আ'লাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহি ওয়া বারকা-তুহ, উস্তায।
১/আসরের ওয়াক্ত হওয়ার কিছুসময় অর্থাৎ ৫-৭মিনিটের ভিতরেই গ্যাস বের হচ্ছিল অনবরত যেটা শতভাগ নিশ্চিত,, তাই কিছুক্ষণ ওয়েট করছিলাম যে গ্যাস কমার পর সালাত আদায় করবো,,ততক্ষণেও কিছুক্ষণ পর পর গ্যাস বের হচ্ছিল ৫.১০এ যখন যাচ্ছিলাম তখনও একবার গ্যাস বের হয়েছিল তারপর ওয়াশরুমে ৫-৬মিনিট পর গ্যাসের চাপ আসায় ওখান থেকে বাতাস বের হয় বুদবুদের মতো,,কিন্তু আমি বুঝতেছিনা এটা কি মাংস একটু ঝুলে যাওয়ার কারণে এই বুদবুদের মতো বের হয়েছে নাকি গ্যাস?তবে নিশ্চিত যে ওই রাস্তা ফাঁক হয়ে বের হয়েছে।এরপর কিছুক্ষণ ওয়েট করার পর ওযু করে সালাত আদায় করতে গিয়েছিলাম, তখন গ্যাসের চাপ লাগে আর বুূদবুূদ ও বের হয় কিন্তু আমি সিওর বুঝতে পারছিনা ওটা গ্যাস ই কিনা( বেশিরভাগ সময় সালাতে দাড়ালে ওখানে কিছু ফাটার মতো শব্দ হয় কখনো কখনো বুদবুদ ও বের হয় তবে আমি বুঝতে পারিনা এটা কি মাংসপেশি সামান্য ঝুলে যাওয়ার কারণে এমন হয় কিনা)তারপর ওভাবেই সালাত আদায় করে দেখি৫.৪১বাজে, তারপর আবার ৫মিনিট চেক করেছি কিছু বের হয় কিনা তখনও গ্যাসের চাপ আসছিলো তার একটু পরই ওই রাস্তা দিয়ে একটা বুূদবুূদের মতো বাতাস বের হয়েছিল,, তখন৫.৪৬বাজছিলো তারপর ওযু করে এসে আর সময় ছিল না নামাজ পড়ার মাকরুহ ওয়াক্ত শুরু হয়েছিল, তাই আর পরিনি,,,,
মাগরিবের ওয়াক্ত শুরু হওয়ার কিছুক্ষণ আগে ৫.৫৯ থেকে গ্যাস বের হওয়া শুরু হয়েছিল আবার,তারপর৬. ১০এরপর থেকে continuously ৬.২৭ পর্যন্ত শিওর ঘন ঘন বায়ু যাচ্ছিলো,,তারপর মলত্যাগ এর চাপ আসছিলো তখন মলত্যাগ করার সময় ও কিছু সময় বায়ু যাচ্ছিল পাইলস এর সমস্যা থাকায় পরিষ্কার করতে ৭ টা ৩ বেজে গিয়ছিলো মনে হয় তারপর ওযু করেএ নামাজে দাড়িয়েছিলাম তখন ও গ্যাস বের হয়েছে,,তখন দেখছিলাম৭.১১বাজে,,তারপর ওযু করে নামাজ পড়েছিলাম তবে তখনও কিছু ফাটার মতো শব্দ হচ্ছিল,, তবে বাতাস /বুদবুদের মতো কিছু ই বের হয়নি,,,এশার ওয়াক্ত হওয়ার পর থেকেই প্রায়৮.২নাগাদ থেকে বায়ু ত্যাগ হচ্ছিল,,মাঝে নামাজ পড়া হয়নি তাই ওইভাবে খেয়াল করা হয়নি ৮.৩০+থেকে খুব ঘন ঘন বায়ু ত্যাগ হচ্ছিল কিছুক্ষণ অপেক্ষা করে ৯.৪৫এর একটু পর নামাজে দাড়িয়েছিলাম তখন ফরজ সুন্নত বেতর সালাতের সব রাকাতেই বায়ু ত্যাগ হয়েছে ১০.৪২পর্যন্ত চেক করেছি,,যেহেতু অনেক বেশি গ্যাস হচ্ছিল তাই ওভাবেই সালাত আদায় করে ফেলি, তারপরেও দেখেছি১০.৫৮,১০.৫৯ও বায়ু ত্যাগ হচ্ছিল,,অনেকসময় দেখা যায় একদম শেষ সময় গিয়ে নামাজ পড়তে পারি,,মাঝে মাঝেই এমন হয়।আবার কখনও কখনও শেষ ওয়াক্তেও পড়তে পারিনা(এক্ষেত্রে পুরোসময় ওভাবে দেখা হয়নি),এমতাবস্থায় সালাতেও খুযু খুশু ধরে রাখা খুবই কষ্টকর হয়ে যাচ্ছে শান্তি মতো সালাত আদায় করতে পারছিনা,,শরীরের ওপর ও প্রেশার যাচ্ছে মানসিক ভাবে ভেঙে পরতেছি,,,এভাবে দেখা যাচ্ছ যে যতক্ষণ ওয়াক্ত থাকে ততক্ষণ আমাকে প্রায় সারাক্ষণই নামাজ পড়ার চেষ্টার মধ্যে থাকতে হচ্ছে,, এভাবে আমি স্বাভাবিক কাজকর্ম করতে পারছিনা,, আমি কি নিজেকে মাজুর ধরে সালাত আদায় করতে পারবো?
(বি.দ্র:আমি মাজুরের বিধান জানি,,কিন্তু আমাকে ডাইরেক্ট উত্তর দিলে ভালো হতো আমি মাজুর কিনা)।
আর যদি মাজুর হয়েই থাকি তাহলে কখন মাজুর এর বিধান ভঙ্গ হবে,,আমি যতটুকু জানি প্রতিটা পুরো ওয়াক্তের মধে্য ওই ওজরটা একবার দেখা গেলেও মাজুর ই থাকে,,কিছুসময় দেখা যায়(খুবই রেয়ার)ওই ওজরটা পাওয়া যায়না,,কিন্তু পরের ওয়াক্ত থেকে আবারো সেইম সমস্যা গুলো বেশি দেখা দেয় প্রায় প্রতিবার ই এমন হতে থাকে,,তখন সালাত আদায় করা খুবই কষ্টকর হয়ে যায়। এক্ষেত্রে কি আমি মাজুর ধরেই সালাত আদায় করতে পারবো?
আবার দেখা যায় পুরো ওয়াক্তে কিছু বের হয়নি তবে শব্দ হচ্ছিল, কিন্তু মাকরুহ ওয়াক্তে গ্যাস (আসরের)বের হয়েছে সেক্ষেত্রে কি মাজুরের বিধান বহাল থাকবে?
২/হায়েজের সময় ও কি মাযুরের ওজর প্রতি ওয়াক্তে পাওয়া যেতে হবে?
৩/গ্যাসের সমস্যার কারণে প্রায় সময় ওযু করতে করতে পায়ে ফাংগাল ইনফেকশন হয়ে গেছে।ডাক্তার দেখানো হয়েছিল।ডাক্তার বলেছেন,এটা বেশি পানি নাড়ার কারণে হয়।বেশি পানি নাড়লেই সমস্যা বেড়ে যায়।পায়ে যন্ত্রণা হয়,পা ফেলতে গিয়ে ব্যাথা লাগে,খুব চুলকায়,এক্ষেত্রে কি তায়াম্মুম করা যাবে?