ওয়া আলাইকুমুস সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া
বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ
https://ifatwa.info/64128/ ফতোয়ায় উল্লেখ করা
হয়েছে যে, গজল বা ইসলামী সংগীত যদি ভালো অর্থবোধক হয়, তাহলে আবৃত্তি করা, শ্রবণ করা
জায়েয আছে।চায় একক কন্ঠে হোক বা সম্মিলিত কন্ঠে হোক।
তবে কয়েকটি মূলনীতিকে
অত্যাবশ্যকীয়ভাবে লক্ষ্য রাখতে হবে।
(১) মিউজিক থাকতে
পারবে না।
(২) অত্যাধিক মনযোগ
প্রদান করা যাবে না।যার দরুণ ফরয ওয়াজিব পালনে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হয়।
(৩) মহিলাদের কন্ঠে
হতে পারবে না,এবং অশ্লীল বা হারাম কথাবার্থা তাতে থাকতে পারবে না।
(৪) ফাসিক এবং উদ্ভ্রান্তদের
কন্ঠে হতে পারবে না।
(৫) এমন কোনো আয়োজন
হতে পারবে না, যা মিউজিকের মত মনে হয়।
(৬) গান যেভাবে মানুষকে
আকৃষ্ট করে,ফিতনায় পতিত করে, সে রকম কোনো কন্ঠ হতে পারবে না।
অথচ বর্তমানে প্রচলিত
অনেক শে'র, গজলে এমনটাই লক্ষ্য করা যায়।আজকালের শ্রুতাগণ অর্থের দিকে খেয়াল না করে,
তারা কন্ঠ এবং ভাবভঙ্গির দিকেই বেশী খেয়াল করে গজল বাছাইরকরে।এত্থেকে আমাদেরকে বেঁচে
থাকতে হবে। (ফাতহুল বারী-১০/৫৫৩)এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/1898
★প্রিয় প্রশ্নকারী
দ্বীনি ভাই/বোন!
প্রশ্নেল্লিখিত ছুরতে
বেশ কয়েকটি লাইনে অসঙ্গতিপূর্ণ অর্থ থাকায় তা বলা/প্রাক্টিস করা থেকে বিরত থাকতে হবে।
এমনকি কিছু কিছু স্থানে শিরকের আলামতও পাওয়া যাচ্ছে। বিধায়, উক্ত নাশিদ চর্চা করা থেকে
বিরত থাকা আবশ্যক।