ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া
বারাকাতুহু
বিসমিল্লহির রহমানির রহীম
জবাব,
https://ifatwa.info/100237/ নং ফাতওয়াতে উল্লেখ
করা হয়েছে যে, স্ত্রী
তার স্বামীর আনুগত্য করবে যদি সে হারাম এবং সাধ্যের অতিরিক্ত কোন কাজের আদেশ না করে।
সেই সাথে যথাসাধ্য তার সেবা করবে।
হাদীস শরীফে এসেছেঃ
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন:
لَوْ كُنْتُ آمِرًا أَحَدًا أَنْ يَسْجُدَ
لِغَيْرِ اللهِ لأَمَرْتُ الْمَرْأَةَ أَنْ تَسْجُدَ لِزَوْجِهَا وَالَّذِى
نَفْسُ مُحَمَّدٍ بِيَدِهِ لاَ تُؤَدِّى
الْمَرْأَةُ حَقَّ رَبِّهَا حَتَّى تُؤَدِّىَ حَقَّ زَوْجِهَا وَلَوْ سَأَلَهَا
نَفْسَهَا وَهِىَ عَلَى قَتَبٍ لَمْ تَمْنَعْهُ-
“যদি আমি কাউকে নির্দেশ দিতাম আল্লাহ ব্যতীত অন্যকে
সিজদা করার,
তাহ’লে
স্ত্রীকে নির্দেশ দিতাম তার স্বামীকে সিজদা করার জন্য।ঐ সত্তার শপথ করে বলছি যার হাতে
আমার জীবন,
মহিলারা
ঐ পর্যন্ত আল্লাহর হক আদায় করতে পারে না যতক্ষণ পর্যন্ত সে স্বামীর হক আদায় না করে, এমনকি স্বামী যদি যাত্রা
পথে ঘোড়ার পৃষ্ঠেও তাকেও আহবান করে তখনও তাকে বাধা না দেয়।” (ইবনে মাজাহ হা/১৮৫৩; সহীহাহ হা/১২০৩।)
عَنْ أَنَسٍ قَالَ : قَالَ رَسُوْلُ
اللّٰهِ ﷺ : «الْمَرْأَةُ إِذَا صَلَّتْ خَمْسَهَا وَصَامَتْ شَهْرَهَا
وَأَحْصَنَتْ فَرْجَهَا وَأَطَاعَتْ بَعْلَهَا فَلْتَدْخُلْ مِنْ أَىِّ أَبْوَابِ
الْجَنَّةِ شَاءَتْ»
আনাস (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ কোনো মহিলা যদি পাঁচ ওয়াক্ত সলাত আদায় করে, রমাযানের সিয়াম পালন করে, গুপ্তাঙ্গের হিফাযাত করে, স্বামীর একান্ত অনুগত
হয়। তার জন্য জান্নাতের যে কোনো দরজা দিয়ে ইচ্ছা প্রবেশের সুযোগ থাকবে।
(মিশকাত ৩২৫৪.হিলইয়াতুল আওলিয়া ৬/৩০৮।)
أَخْبَرَنَا قُتَيْبَةُ قَالَ حَدَّثَنَا
اللَّيْثُ عَنْ ابْنِ عَجْلَانَ عَنْ سَعِيدٍ الْمَقْبُرِيِّ عَنْ أَبِي
هُرَيْرَةَ قَالَ قِيلَ لِرَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ
أَيُّ النِّسَاءِ خَيْرٌ قَالَ الَّتِي تَسُرُّهُ إِذَا نَظَرَ وَتُطِيعُهُ إِذَا
أَمَرَ وَلَا تُخَالِفُهُ فِي نَفْسِهَا وَمَالِهَا بِمَا يَكْرَهُ
কুতায়বা (রহঃ) ... আবু হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত।
তিনি বলেনঃ একদা রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে প্রশ্ন করা হলো, কোন মহিলা উত্তম? তিনি বললেনঃ যে মহিলার
প্রতি দৃষ্টিপাত স্বামীকে সন্তুষ্ট করে। সে আদেশ করলে তা সম্পন্ন করে, এবং তার বাড়ীর ও তার
মালের ব্যাপারে যা অপছন্দ করে, সে তার বিরোধিতা করে। (সুনানে নাসায়ী ৩২৩৪.মিশকাত
৩২৭২, সহীহাহ ১৮৩৮।)
আরো জানুনঃ https://ifatwa.info/13963/
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী
দ্বীনী ভাই/বোন!
বিবাহিত নারীর তার স্বামীর হুকুম মানা জরুরি। তবে শরীয়াহ বিরোধী কোনো
হুকুম মানা যাবেনা। যেহেতু দিনাজপুরেও চিকিৎসার ব্যবস্থা আছে এমতাবস্থায় স্বামীর
নির্দেশ অমান্য করে রাজশাহীতে যাওয়া জায়েয হবে না।
বিধায় উত্তম হবে যে, আপনি আপনার বাবাকে বিনয়ের সাথে বুঝাবেন।
যদি তিনি রাজি হয়ে নিজেই আপনার মাকে রাজশাহীতে নিয়ে যান তাহলে এতেই কল্যাণ নিহিত
থাকবে ইনশাআল্লাহ। আপনার জন্য মাকে নিয়ে রাজশাহীতে যাওয়া জায়েয হবে না।
বি:দ্র: বিশেষ প্রয়োজনে মহিলারা মাহরাম ব্যতিত
কাছাকাছি বাজারে যেতে পারবে। অবশ্যই সম্পূর্ণ পর্দা রক্ষা করে যেতে হবে। যদি কারো কোনো
মাহরাম না থাকে,
তাহলে
তিনি নেককার মহিলাদের সাথে সফর করার চেষ্টা করবেন। উনি/উনারা দিনের প্রথমাংশে সফর শুরু
করবেন, যাতে করে সন্ধ্যার পূর্বেই
গন্তব্যস্থলে পৌছে যেতে পারেন। সর্বপ্রথম তিনি নেককারদের জামাতের অনুসন্ধান করবেন, না পেলে অন্তত পরিবেশ
নিরাপদ দেখে সফর শুরু করার চেষ্টা করবেন। ফিতনার আশংকা থাকলে কিন্তু উনি/উনারা কোনো
সফর করতে পারবেন না।