আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
69 views
in সালাত(Prayer) by (38 points)
edited by
সাদা স্রাব এর অনেক সমস্যা এবং  এর পূর্বে একাধিকবার মাজুরের হুকুম অর্পিত হয়েছিল।কয়েক মাস আগে গোপনাঙ্গের ছিদ্রোর  পাশ দিয়ে কিছুটা অংশ কেটে গিয়েছিল এবং এরপর থেকে সে স্থান থেকে কিছুটা আঠালো ধরনের পানি বের হয় এবং আমার যেহেতু সাদা স্রাবের অনেক সমস্যা  তো এ দুই  কারণে গোপনাঙ্গ ভিজা থাকে এবং এক অজুতে চার রাকাত ফরজ নামাজ পরা সম্ভব হচ্ছে না প্রত্যেক ওয়াত্তে। এখন গোপনাঙ্গ কখন সাদা স্রাবের কারণে ভিজলো বা কখন সেই কাটা স্থান থেকে পানি বের হওয়ার কারণে ভিজলো এটা বুঝা সম্ভব নয়। এখন এই ক্ষেত্রে বুঝতেই পারতেছি না যে আমি মাজুর নাকি মাজুর না।


যখন আমি মাজুর অবস্থায় থাকি তখন অনেক   সময় দেখা যায় কোন নামাজের ওয়াক্তে  অজু করার পর কিছু কাজ করলাম এরপর গিয়ে নামাজ পড়লাম। এখন প্রশ্ন হচ্ছে নামাজ শুরু করার আগেই যদি আমার অজান্তে সাদা স্রাব নির্গত হয়ে যায় তাহলে কি আমার ওযু ভেঙ্গে যাবে?

1 Answer

0 votes
by (590,550 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
লিকুরিয়া রোগ যা মহিলাদের জরায়ুতে হয়।
যার অর্থ হল জরায়ু থেকে সাদাস্রাব নির্গত হওয়া।
সাদাস্রাব নাপাক।যা নির্গত হলে অজু চলে যায়।কাপড়ের যে অংশে লাগবে সেটুকু ধৌত করতে হবে।তা নাজাসতে গলিজা। এক দিরহামের বেশী হলে নামায হবে না।

এই সাদাস্রাব নির্গত হওয়া দুই প্রকার।
(ক) সাদাস্রাব মাঝেমধ্যে নির্গত হয়। অর্থাৎ হঠাৎ জরায়ুতে চলে আসে। এমতাবস্থায় যদি হঠাৎ নামাযের মধ্যে বা নামাযের পূর্বে নির্গত হয়, তখন কাপড় পাল্টিয়ে লজ্জাস্থান ধৌত করা পূর্বক নতুন করে পবিত্রতা অর্জন করতে হবে। তারপর পূনরায় নামায পড়তে হবে।

(খ) যদি কোনো এক নামাযের পূর্ণ ওয়াক্ত ধারাবাহিক সাদাস্রাব নির্গত হতে থাকে।যেমন মাগরিবের নামাযের পূর্ণ ওয়াক্ত তথা ১ঘন্টা ৩০মিনিট ধারাবাহিক সাদাস্রাব নির্গত হতে থাকে। তাহলে এমতাবস্থায় উনাকে মা'যুর গণ্য করে মা'যুরের হুকুম উনার উপর আরোপ করা হবে। এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-https://www.ifatwa.info/50

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
সাদা স্রাব সামান্য একটু নির্গত হলেই অজু ভেঙ্গে যাবে।আর এক দিরহাম পরিমাণ কাপড়ে লাগলে সেই কাপড় দিয়ে নামাজ হবে না।

লজ্জস্থানের ভিতর থেকে সাদস্রাব বে  হোক বা লজ্জস্থানের কাটা স্থান থেকে পানি বের হোক, যদি ধারাবাহিক নির্গত হতেই থাকে, এবং দুই বা চার রাকাত নামায পড়া সম্ভব না হয়,তাহলে আপনি মা'যুর হিসেবে গণ্য হবেন।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

+1 vote
1 answer 1,010 views
...