আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
73 views
in ব্যবসা ও চাকুরী (Business & Job) by (4 points)
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লহি ওয়া বারকাতুহ। আমার স্বামী একটা নতুন ব্যবসা শুরু করতে চাচ্ছেন। পুরো বিনিয়োগ উনার, আইডিয়া উনার, প্লেস উনার ঠিক করা, সব আয়োজন নিজে সাথে থেকে আরেকজনের সাথে মিলে করেছেন, যে পরবর্তিতে ব্যবসাটাতে সময় দিবে, আমার স্বামী তদারকি করবেন। দেখভাল, নিরাপত্তা দেওয়ার দায়িত্ব আমার স্বামীর। আজকে সব আয়োজন শেষে উনারা চুক্তি করতে বসেছিলেন, তখন লভ্যাংশ ভাগ করা নিয়ে মতপার্থক্য হয়। আমার স্বামী চাইলেই কাজটা কর্মচারী নিয়োগ করে করতে পারেন কিন্তু অন্যজন আর্থিক ভবে দূর্বল হওয়ায় তাকে পার্টনার হিসেবে ব্যবসাটা করতে চাচ্ছিলেন। এখন আমার স্বামী ৫০/৫০ লভ্যাংশ নেওয়ার কথা বললেও অন্যজন ৬০/৪০ তেও রাজি না সে ৮০/২০ বলছে। শরীয়ত এখানে কি বলে? নাকি নিজেরা যেটা আলোচনা করে ঠিক করবে সেটাই হতে পারবে?

1 Answer

0 votes
by (62,670 points)

ওয়া আলাইকুমুস সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।

জবাবঃ

https://ifatwa.info/40728/  নং ফাতাওয়ায় বলেছি যে,

মুদারাবা দুই ধরনের:

১. মুদারাবা মুতলাক অর্থাৎ চুক্তিপত্রে কিছুই উল্লেখ থাকবে না যে, কোথায় ব্যবসা করবে, কিসের ব্যবসা করবে, সময়সীমা কতটুকু হবে ইত্যাদি অনির্দিষ্ট থাকবে। এ ধরনের মুদারাবা চুক্তির আওতায় মুদারিব স্বাধীন থাকে। সে ইচ্ছানুযায়ী যে কোনো পণ্যের যে কোনো জায়গায় ব্যবসা করতে পারে। তবে সাহিবুল মালের অনুমতি ছাড়া মূলধনকে নিজের সম্পদের সঙ্গে মেশাতে কিংবা অন্যকে মুদারাবার ভিত্তিতে প্রদান করতে পারবে না।

২. মুদারাবা মুকাইয়াদ অর্থাৎ ব্যবসার চুক্তিপত্রে যাবতীয় বিষয় কিংবা যে কোনো একটি বিষয় নির্দিষ্ট থাকবে।

এ পদ্ধতির আওতায় ব্যবসা করলে মুদারিব স্বাধীন থাকবে না। তাকে চুক্তিপত্রের শর্তানুযায়ী ব্যবসা পরিচালনা করতে হবে। (শিরকত ও মুজারাবাত আসরে হাজের মে, পৃষ্ঠা ২৩২)।


মুদারাবা শুদ্ধ হওয়ার জন্য কিছু শর্ত:

১. মূলধন নির্দিষ্ট করে মুদারিব তথা উদ্যোক্তার পূর্ণ দখলে দিতে হবে।

২. মালিক ও উদ্যোক্তার মধ্যে মুনাফার অংশ আগেই নির্দিষ্ট হতে হবে। এক্ষেত্রে স্মরণ রাখবে যে, শরিয়ত মুনাফা বণ্টনের কোনো অনুপাত নির্দিষ্ট করে দেয়নি। বরং তা উভয়পক্ষের স্বাধীন মতামতের ওপর ছেড়ে দিয়েছে। তারা মুনাফা সমহারেও বণ্টন করতে পারে আবার সাহিবুল মাল তথা মালিক ও মুদারিব তথা উদ্যোক্তার জন্য পৃথক কোনো অনুপাতও নির্দিষ্ট করতে পারে তবে মুনাফা বণ্টন করতে হবে মুনাফাকেন্দ্রিক; মূলধনকেন্দ্রিক নয়। অর্থাৎ মূলধনের আনুপাতিক হারের সঙ্গে মুনাফা নির্দিষ্ট করা যাবে না। উদাহরণস্বরূপ মূলধনের ২০ শতাংশ রব্বুল মাল পাবে। অর্থাৎ ১০০ টাকা বিনিয়োগ করলে লাভ কত এলো না এলো সেটা দেখার বিষয় নয়; বরং ১০০ টাকায় ২০ টাকা মালিক পেয়ে যাবে। এরূপ শর্ত করলে তা সুদে পরিণত হবে। অনুরূপভাবে কোনো পক্ষের জন্য নির্দিষ্ট পরিমাণ লাভ ধার্য করাও যাবে না। যেমন মূলধন যদি এক লাখ টাকা হয় তাহলে সমুদয় মুনাফার ১০ হাজার টাকা মালিক পাবে। বাকি যা থাকবে সেটা মুদারিব বা উদ্যোক্তা পাবে। এ ধরনের চুক্তি করা যাবে না। বরং এভাবে চুক্তি করতে পারবে যে, প্রকৃত মুনাফার ৪০ শতাংশ মুদারিব পাবে এবং ৬০ শতাংশ রব্বুল মাল পাবে, কিংবা ৬০ শতাংশ মুদারিব পাবে এবং ৪০ শতাংশ রব্বুল মাল পাবে। স্থান, কাল, পাত্র ভেদে ও ব্যবসা পণ্যের ধরন বুঝে মুনাফার হার পরিবর্তন হতে পারে। (শেষ)


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী আব্দুল ওয়াহিদ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...