আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
106 views
in হালাল ও হারাম (Halal & Haram) by (14 points)
আমার হাসব্যান্ড এখনো স্টুডেন্ট , তাই সে বাচ্চা নিতে সেভাবে আগ্রহী নয়. এমনিতে অনেকবার বলেছি, সে বলে আল্লাহ যদি দেন নিয়ে নিবো। কিন্তু চেষ্টা করে নাই কখনো। আমি মা হতে আগ্রহী , এখন যদি হাসবেন্ড কে বুঝিয়ে রাজি না হয়, জোর করা জায়েজ হবে? আমাদের বিয়ের ২ বছর পার হয়েছে আলহামদুলিল্লাহ !

1 Answer

0 votes
by (597,330 points)

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহাম।
জবাবঃ-
মোটকথা-সন্তান জন্ম না দেয়ার যদি কেউ এমন পদ্ধতি গ্রহণ করে যে, যাদ্বারা ঐ ব্যক্তির চিরস্থায়ী জন্মদানের ক্ষমতা কে হারিয়ে ফেলে তাহলে তার ঐ কাজ করা হারাম।চায় পুরুষ করুক বা মহিলা করুক।চায় অপারেশনের মাধ্যমে হোক বা ইঞ্জেকশনের মাধ্যমে হোক বা অন্যকিছু দ্বারা হোক।
হ্যা অস্থায়ী ভিত্তিতে চায় পুরাতন মাধ্যম দ্বারা হোক বা আধুনিক মাধ্যম দ্বারা হোক বিশেষ বিশেষ জরুরতের সময় জন্মবিরতি নেয়া অনুমোদনযোগ্য রয়েছে।শর্ত এই যে এক্ষেত্রে কোনো নাজায়েয কারণ থাকতে পারবে না। কিন্তু জাতীয়ভাবে এর ব্যাপকতর প্রচার-প্রসার কুরআন এবং সুন্নাহর বিরোধিতা। যে জন্মনিয়ন্ত্রণকে রাসূলুল্লাহ সাঃ অপছন্দ করেছেন এবং মানবতার জন্য হমকিস্বরূপ মনে করেছেন, তাকে উন্নতি ও অগ্রগতির চাবিকাঠি মনে করা কখনো বৈধ হবে না। বিশেষ করে অর্থনৈতিক চিন্তাভাবনায় জন্মনিয়ন্ত্রণের প্রচার-প্রসার কখনো বৈধ হবে না।যেখানে রিযিকের দায়িত্ব আল্লাহ স্বয়ং নিয়ে নিয়েছেন সেখানে রিযিক নিয়ে চিন্তাভাবনা করে আল্লাহর নেযামের বিরোধীতা করে জন্মনিয়ন্ত্রণ করা কখনো উচিৎ হবে এবং জায়েয হবে না।(শেষ)
এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/1907

সুপ্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
'স্বামী চেষ্টা করে নাই' এ কথা দ্বারা আপনি কি বুঝাতে চেয়েছেন? স্বামীর সাথে কি আপনার শারিরিক সম্পর্ক হয় না। যদি হয়ে থাকে, তাহলে সে কি প্রতিবন্ধক কোনো পদ্ধতি গ্রহণ করছে? যদি গ্রহণ করে না থাকে, তাহলে তাকে অভিযুক্ত করা কখনো জায়েয হবে না। বরং এক্ষেত্রে আপনাকে তাওয়াক্কুল করতে হবে। আল্লাহ আপনাকে তাওফিক দান করুক। আমীন।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (14 points)
হুজুর আমার হাসব্যান্ড প্রাকৃতিক ভাবে এবং অস্থায়ী পদ্ধতি ব্যবহার করে. তার ওজর একটাই এখন আর্থিক অবস্থা ভালো না. আর একটা বিষয় হচ্ছে আমি চাকরি করি, সে চিন্তা করে বাচ্চা নিলে তো আমার  চাকরি টা থাকবে না আর... সে চাই আমি চাকরি করি , তার আর্থিক অবস্থা ভালো হলে তখন বাচ্চা নেয়ার চিন্তা করবেন। আমি যদি বলি এইসব ওজর এ লেট করা উচিত হবে না তখন বলে আল্লাহ যদি চান পরেও দিবেন।  কিন্তু আমি ইসলামী শরীয়া এখন মেনে চলার চেষ্টা করতেসি। আমি চাই বাচ্চা নিতে এবং ইসলামী শরীয়া মেনে জীবন যাপন করতে। একক্ষেত্রে হাসব্যান্ড কে কিভাবে বুঝাতে পারি, যে আমি বাচ্চা নিতে চাই. বেশি জোর করলেই বলে আগে নিজে ভালো করে নিজেকে সামলাতে শিখো।  তার ভাষ্যমতে আরো ২/১ বছর পর সে এটা নিয়ে চিন্তা করবে। আমি খুব ই অসহায় হয়ে পড়তেসি। আমি হাদিস বা ইসলামিক দিক থেকে কিভাবে তাকে বুঝতে পারি? 

অনুগ্রহ করে উত্তর দিবেন হুজুর......
by (597,330 points)
আপনি তাকে বুঝানোর চেষ্টা করুন। নরম ভাষায় বুঝান। 
 যেহেতু সে প্রাকৃতিক পদ্ধতি গ্রহণ করছে, তাই গোনাহ হবে না। পর্দাসম্মত চাকুরী না হলে সেটা পরিত্যাগ করবেন। আল্লাহ আপনাকে হেফাজত করুক।আপনার মনের কামনা বাসনাকে পূর্ণ করুক।আমীন।চুম্মা আমীন। 

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...