আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
20 views
in পবিত্রতা (Purity) by (29 points)

আসসালামু আলাইকুম 
 

১) এক দিরহাম পরিমাণ/তার কম নাপাকি কি মাফ?  

 

২) কোথাও এক দিরহাম বা তার কম নাপাকি লেগেছে, পরে এটার সাথে তরল পদার্থ যেমন: পানি যুক্ত হয়ে, ঐ নাপাক অংশ বেড়ে গিয়েছে এখন সেই বৃদ্ধি পাওয়া পুরো অংশ নাপাক নাকি পাক?  নাপাকি এক দিরহাম এর কম ছিল কিন্তুু তরল যুক্ত হওয়াতে এর পরিমাণ বৃদ্ধি পেয়েছে। 

 

৩) পিঠে অনেক সময় ফোড়া হয় আবার গরমের দিনে ঘাম জমে পিঠে অনেক চুলকায়৷ এখন গোসল বা অন্য কোন সময় পিঠ চুলকালে ফোড়া ফেটে যেতে পারে। কিন্তুু পিঠের দিকে ফোড়া ফাটলে বুঝা যাবে না রক্ত বা পুঁজ বের হয়েছে নাকি। বের হলেও গড়িয়ে পড়েছে নাকি এবং পড়লেও সেটা এক দিরহামের বেশি হয়েছে নাকি। আবার পিঠ না চুলকিয়েও থাকা যায় না এক্ষেত্রে করণীয় কি? 


 

৪) শরীরের এমন অনেক অংশ আছে যেখানে নিজ চোখের দৃষ্টি যায় না এবং অন্যকেও দেখানো সম্ভব না। এমন অংশে যদি কখনো ফোড়া হয় এবং ওই অংশের আশেপাশে চুলকালে ফোড়া ফেটেছে কিনা, ফাটলেও রক্ত বা পুঁজ করিয়ে পড়ছে কিনা তা বুঝার উপায় না থাকলে কি করনীয়? 


 

৫) যেদিন একটু ঠান্ডা থাকে সে সকল দিনগুলোতে গোসল করার সময় মনে হয় পেশাব একটু বের হচ্ছে। শরীর ভিজায় থাকায় বোঝার উপায় থাকে না। এক্ষেত্রে কি করনীয়, মানে পাক হিসেবে ধরবো নাকি নাপাক ? 


 

জাযাকাল্লাহু খাইরান





 

1 Answer

0 votes
by (547,020 points)
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم

(০১)
https://ifatwa.info/91150/ নং ফতোয়াতে উল্লেখ রয়েছেঃ- 

হাদীস শরীফে এসেছেঃ- 

عن أبي هريرة رضي الله عنه  عن رسول الله صلى الله عليه و سلم قال : تعاد الصلاة من قدر الدرهم من الدم (سنن الدر قطنى، كتاب الصلاة، باب قدر النجاسة التي تبطل الصلاة، رقم الحديث-1)

হযরত আবু হুরায়রা রাঃ থেকে বর্ণিত। রাসূল সাঃ ইরশাদ করেছেন-এক দিরহাম পরিণাম রক্তের দরুন নামাযকে পুনরায় আদায় কর। {সুনানে দারা কুতনী, হাদীস নং-১, সুনানে বায়হাকী কুবরা, হাদীস নং-৩৮৯৬, জামেউল আহাদীস, হাদীস নং-১০৭৮৩, মারেফাতুস সুনান ওয়াল আসার লিল বায়হাকী, হাদীস নং-১৩২৩, আল জামেউল কাবীর, হাদীস নং-২৩৮}

ইবরাহীম নাখায়ী রাহ. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রক্ত প্রস্রাব ইত্যাদি নাপাকি যদি দিরহাম পরিমাণ হয় তাহলে তোমার নামায পুনরায় পড়ে নাও। আর যদি দিরহামের কম হয় (এবং তুমি নামাযে থাক) তাহলে ঐ অবস্থায়ই তোমার নামায পূর্ণ করো। 
(কিতাবুল আসার, ইমাম মুহাম্মাদ রাহ. ১৪৬)

সায়ীদ ইবনে মুসাইয়িব রাহ., হাম্মাদ রাহ., যুহরী রাহ. প্রমুখ তাবেয়ী থেকেও এমনটি বর্ণিত আছে।
(মুসান্নাফ ইবনে আবী শাইবা, হাদীস ৩৯৭৮, ৩৯৭৯, ৩৯৮৩,৩৯৮৪)

فلما ذكره صاحب الأسرار عن علي وبن مسعود أنهما قدرا النجاسة بالدرهم وكفى بهما حجة في الاقتداء وروي عن عمر أيضا أنه قدره بظفره(عمدة القارى شرح صحيح البخارى، كتاب الوضوء،  باب غسل الدم، رقم الحديث-227،3/140

হযরত আলী রাঃ এবং ইবনে মাসউদ রাঃ [কাপড়] নাপাক হওয়ার পরিমাণ নির্দিষ্ট করেছেন এক দিরহাম। আর আব্দুল্লাহ বিন ওমর রাঃ নির্ধারণ করেছেন  নখ পরিমাণ। {উমদাতুল কারী-৩/১৪০, আদিল্লাতুল হানাফিয়্যাহ-১০১}

★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
রক্ত, গোবর ও মানুষের প্রস্রাব নাজাসাতে গলীযার অন্তর্ভুক্ত। নাজাসাতে গলীযা যদি কাপড়ে বা শরীরে লাগে এবং তা তরল হয় (যেমন, প্রস্রাব)  তাহলে সেক্ষেত্রে তা যদি দিরহামের আয়তন (অর্থাৎ হাতের তালুর গভীরতা সমপরিমাণ)- (বর্তমান ৫ টাকার কয়েন সমপরিমাণ) এর কম হয় অথবা নাপাকি শক্ত হলে যেমন, গোবর তা যদি দিরহামের ওজন (বর্তমান মেট্রিক হিসাবে যা ৩.০১৬৮ গ্রাম)-এর চেয়ে কম হয় তাহলে তা না ধুয়ে নামায পড়লে নামায সহীহ হয়ে যাবে। তবে এ পরিমাণ অল্প নাপাকিও ধুয়ে নেওয়া ভালো। তাই সাধারণ অবস্থায় এ পরিমাণ নাপাকি নিয়ে নামায পড়া অনুত্তম।

আর যদি নাপাকি দিরহামের সমপরিমাণ হয় তাহলে তা ধুয়ে ফেলা ওয়াজিব। এ অবস্থায় নামায পড়া মাকরূহ তাহরীমী। তাই কেউ এ অবস্থায় নামায পড়লে সে নামায পুনরায় পড়ে নেওয়া ওয়াজিব হবে।

আরো জানুনঃ- 

★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
এক দিরহাম সমপরিমাণ নাপাকি মাফ নয়।
এক দিরহাম চেয়ে কম নাপাকি মাফ বলতে বুঝায় যে এমতাবস্থায় নামাজ আদায় করলে নামাজ হয়ে যাবে।

তবে উক্ত কাপড় যে পরবর্তীতেও পাক করতে হবেনা,বিষয়টি এমন নয়।
উক্ত কাপড় ঠিকই নাপাক কাপড় ধোয়ার নিয়ম নীতি মেনে ধোয়া লাগবে।

(০২)
এক্ষেত্রে পুরো অংশ নাপাক বলে ধর্তব্য হবে।

(০৩)
এক্ষেত্রে পিঠ চুলকানোর পর হাত দিয়ে চেক করা উচিত,পরিহিত কাপড়ও চেক করা উচিত।

(০৪)
এক্ষেত্রে হাতের সাহায্যে চেক করে নিতে হবে।

(০৫)
এটি ওয়াসওয়াসা কিনা,সেটি আগে নির্ণয় করতে হবে।
ওয়াসওয়াসা হলে সেদিকে ভ্রুক্ষেপ করবেননা।

ওয়াসওয়াসা না হয়ে বরং বিষয়টি বাস্তব হলে এমতাবস্থায় গোসলের শেষে পুনরায় কোমড় থেকে নিয়ে পা পর্যন্ত ধুয়ে নিবেন।
এরপর কাপড় পরিধান করবেন।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 174 views
...