আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
59 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (18 points)
edited by
On behalf

১.নবি - রাসূলদের তো মৃত্যুর পরে একটি বিশেষ জীবন দেওয়া হয়।
এবং একদল ফেরেশতা আছে যা দুনিয়া জুড়ে নবিজী সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের উপর পেশকৃত দরূদ নবিজীর কাছে পৌঁছে দেন।
এবং যখন কেউ রওজার সামনে গিয়ে নবিজীর উপর দরূদ সালাম পড়েন তখন তিনি তা শুনতে পারেন।
প্রশ্ন হলো -

ক.এখন কেউ যদি রওজার সামনে গিয়ে উম্মতের অবস্থা ওনাকে বলেন তবে কি তিনি তা শোনেন বা জানেন???

খ.নবিজী সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কি বর্তমানের উম্মতের হালত জানেন বা ওনাকে ফেরেশতাদের দ্বারা জানিয়ে দেওয়া হয়?

২. মিলাদুন্নবী উপলক্ষে যে মহিষ জবাই দেয় আল্লাহর নামে না দেয় তবে কি সেই খাবার টা হারাম খাবার হবে?

আর সেই খাবার টা কেউ দিলে সেটা কি ফেলে দিব?নাকি গরিব মানুষ বা পশুপাখিকে দিয়ে দিব?

আমার প্রশ্ন

৩.পরিবারের এক সদস্য মিলাদুন্নবী উপলক্ষ্যে বিরয়ানী বা এই জাতীয় খাবার পাওয়ার জন্য টাকা দেয় ।আমাদেরকেও বলছে একসাথে সেখানে টাকা দিতে।আমরা টাকা না দিলে নানা কথা শোনাবে।ওয়াহাবী ট্যাগ দিতে পারে আমাকে।বুঝাতে চাইবে নতুন ধর্ম পালন করছি।এইক্ষেত্রে আমার করণীয় কি?

1 Answer

0 votes
by (565,890 points)
জবাবঃ-
بسم الله الرحمن الرحيم

(০১)
হাদীস শরীফে এসেছেঃ- 

وَعَنْه : أَنَّ رَسُولَ اللهِ ﷺ قَالَ مَا مِنْ أَحَدٍ يُسَلِّمُ عَلَيَّ إِلاَّ رَدَّ اللهُ عَلَيَّ رُوحِي حَتَّى أَرُدَّ عَلَيْهِ السَّلاَمَ رواه أَبُو داود بإسنادٍ صحيح

উক্ত রাবী হতে এটি বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, যে কোন ব্যক্তি যখন আমার উপর সালাম পেশ করে, তখন আল্লাহ আমার মধ্যে আমার আত্মা ফিরিয়ে দেন, ফলে আমি তার সালামের জবাব দিই।

(এর ধরন আল্লাহই জানেন। অবশ্য এর অর্থ এ নয় যে, সরাসরি তিনি শুনতে পান বা তাঁর জবাব কেউ শুনতে পায়।)

(আবূ দাঊদ ২০৪৩, বিশুদ্ধ সানাদ)

عَنْ سُهَيْلٍ قَالَ: رَآنِيَ الْحَسَنُ بْنُ الَحسَنِ بْنِ عَلِيّ بْنِ أَبِي طَالِبٍ عِنْدَ الْقَبْرِ فَنَادَانِي وَهُوَ فِي بَيْتِ فَاطِمَةَ يَتَعَشَّى فَقَالَ: هَلُمَّ إِلَى العِشَاءِ، فَقُلْتُ: لَا أُرِيْدُهُ فَقَالَ: مَالِي رَأيْتُكَ عِنْدَ الْقَبْرِ؟ فَقُلْتُ: سَلَّمْتُ عَلَى النَّبي ﷺ فَقَالَ:(إِذَا دَخَلْتَ الْمَسْجِدَ فَسَلَّمْ) ثُمَّ قَالَ: إِنَّ رَسُوْلَ اللهِ ﷺ قاَلَ: (لَا تَتَّخِذُوْا قَبْرِيْ عِيْدًا وَلَا تَتَّخِذُوْا بُيُوْتَكُمْ قُبُوْرًا وَصَلُّوا عَلَيَّ، فَإِنَّ صَلَاتَكُمْ تُبَلَّغُنِي حَيْثُمَا كُنْتُمْ، لَعَنَ اللهُ الْيَهُوْدَ اِتَّخَذُوْا قُبُوْرَ أَنْبِيَائِهِمْ مَسَاجِدَ) مَا أَنْتُمْ وَمن بِالْاَنْدَلُس إِلَّا سواء

সুহাইল বলেন, একদা (নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নাতির ছেলে) হাসান বিন হাসান বিন আলী আমাকে কবরের নিকট দেখলেন। তিনি আমাকে ডেকে পাঠালেন। সেই সময় তিনি ফাতেমার বাড়িতে রাতের খাবার খাচ্ছিলেন। আমি উপস্থিত হলে তিনি বললেন, ’এসো খানা খাও।’ আমি বললাম, ’খাবার ইচ্ছা নেই।’ অতঃপর তিনি বললেন, ’কী ব্যাপার যে, আমি তোমাকে কবরের পাশে দেখলাম?’ আমি বললাম, ’নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে সালাম দিলাম।’ তিনি বললেন, ’যখন মসজিদে প্রবেশ করবে, তখন সালাম দেবে।’

অতঃপর তিনি বললেন, ’আল্লাহর রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ’’তোমরা আমার কবরকে ঈদ বানিয়ে নিয়ো না। তোমাদের ঘরকে কবর বানিয়ে নিয়ো না। তোমরা যেখানেই থাক, সেখান থেকেই আমার উপর দরূদ পাঠ কর। কারণ তোমাদের দরূদ আমার নিকট (ফিরিশতার মাধ্যমে) পৌঁছে যায়। আল্লাহ ইয়াহুদকে অভিশাপ করুন। কারণ তারা তাদের নবীগণের কবরসমূহকে মসজিদ (সিজদা ও নামাযের স্থান) বানিয়ে নিয়েছে। (এ ব্যাপারে এখানে) তোমরা এবং উন্দুলুসের লোকেরা সমান।

(সুনান সাঈদ বিন মানসূর, আহকামুল জানায়েয, আলবানী ২২০পৃঃ)

عَنْ عَبْدِ اللهِ بْنِ مَسْعُودٍ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللهِ ﷺ إِنَّ لِلهِ عَزَّ وَجَلَّ مَلَائِكَةً سَيَّاحِينَ فِي الْأَرْضِ يُبَلِّغُونِي مِنْ أُمَّتِي السَّلَامَ

আব্দুল্লাহ বিন মাসঊদ (রাঃ) কর্তৃক বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, পৃথিবীতে মহান আল্লাহর ভ্রমণরত বহু ফিরিশতা রয়েছেন, যাঁরা আমার উম্মতের নিকট হতে আমাকে সালাম পৌঁছে দেন।

(আহমাদ ৩৬৬৬, ৪২১০, ৪৩২০, নাসাঈ ১২৮২, ইবনে হিব্বান ৯১৪, সঃ তারগীব ১৬৬৪)

★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
ক,
বিষয়টি মতবিরোধ পূর্ণ মাসয়ালা।
মাসয়ালাটি নিয়ে অধিক না করাই উচিত। 

আরো জানুনঃ- 

খ, এ সংক্রান্ত কোনো বিষয় কুরআন হাদীসে পাইনি।

(০২)
ইচ্ছাকৃতভাবে আল্লাহর নাম না নিলে সেক্ষেত্রে উক্ত পশুর গোশত খাওয়া হারাম হবে।
ভুলক্রমে আল্লাহর নাম নেয়া ছেড়ে দিলে সেক্ষেত্রে উক্ত পশুর গোশত খাওয়া হারাম হবেনা।

তবে বিদ'আতি কার্যক্রমের জন্য উক্ত খাবার রান্না হওয়ায় সেই খাবার গ্রহন করা যাবেনা।
গ্রহণ করে থাকলে সেই খাবার গরিব মিসকিন বা পশুপাখিকে দিয়ে দিবেন।

(০৩)
এক্ষেত্রে টাকা দেয়া জায়েজ হবেনা।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...