বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ
https://ifatwa.info/75005/
নং ফাতওয়ায় উল্লেখ রয়েছে যে,
□
হাদীস শরীফে এসেছেঃ-
রাসূল সাঃ বলেন-
وَإِيّاكُمْ
وَمُحْدَثَاتِ الْأُمُورِ، فَإِنّ كُلّ مُحْدَثَةٍ بِدْعَةٌ، وَكُلّ بِدْعَةٍ
ضَلَالَةٌ.
আর সকল নব উদ্ভাবিত বিষয় থেকে দূরে
থাকবে। কারণ, সকল নব উদ্ভাবিত বিষয় বিদআত। আর সকল বিদআত গোমরাহী ও ভ্রষ্টতা।’
(দ্র. মুসনাদে আহমাদ, হাদীস ১৭১৪২, ১৭১৪৫)
□
আরেক হাদীসে আছে-
مَنْ
أَحْدَثَ فِي أَمْرِنَا هَذَا مَا لَيْسَ مِنْهُ فَهُوَ رَدّ .
‘যে আমাদের এই বিষয়ে (অর্থাৎ দ্বীন
ও শরীয়তে) এমন কিছু উদ্ভাবন করবে,
যা তার অংশ নয়, তা প্রত্যাখাত।’ -সহীহ মুসলিম, হাদীস ১৭১৮; সহীহ বুখারী, হাদীস ২৬৯৭
□
বিদ'আত কাকে বলে?
বিদআত বলা হয় দ্বীন ও ইবাদতে নব
আবিষ্কৃত কাজকে। অর্থাৎ দ্বীন বা ইবাদত মনে করে করা এমন কাজকে বিদআত বলা হবে, যে কাজের কুরআন
ও সহীহ সুন্নাহর কোন দলীল নেই।
নব আবিষ্কৃত পার্থিব কোন বিষয়কে
বিদআত বলা যাবে না। যেমন শরীয়াতে নিষিদ্ধ কোন কাজকে বিদআত বলা হয় না। বরং তাকে অবৈধ, হারাম বা মাকরূহ
বলা হয়।
বিদআত বলা হয় দ্বীন বিষয়ক কোন নতুন
কর্মকে, যার কোন দলীল শরীয়তে নেই।
মহানবী (সঃ) বলেছেন, “ অবশ্যই তোমাদের মধ্যে
যারা আমার বিদায়ের পর জীবিত থাকবে তাঁরা অনেক রকমের মতভেদ দেখতে পাবে। অতএব তোমরা আমার
ও আমার সুপথপ্রাপ্ত খোলাফায়ে রাশেদ্বীনের সুন্নাহ অবলম্বন করো, তা দাঁত দ্বারা
দৃঢ়তার সাথে ধারণ করো। (তাতে যা পাও মান্য কর এবং অন্য কোনও মতের দিকে আকৃষ্ট হয়ো না।)
আর (দ্বীনে) নবরচিত কর্মসমূহ হতে সাবধান! কারণ, নিশ্চয় প্রত্যেক বিদআত (নতুন আমল) হল ভ্রষ্টতা।” (আবু দাঊদ ৪৪৪৩, তিরমিযী ২৮১৫, ইবনে নাজাহ ৪২
নং)
পারিভাষিক অর্থে বিদআত হলো, যে আমল বা কাজ
নবীজী ও তার সাহাবা এবং তাবেয়ী যুগে ছিল না। সেই কাজ বা আমলকে সওয়াব মনে করে ইসলামের
অংশ মনে করে করার নাম হল বিদআত।
বিস্তারিত জানুনঃ-
https://www.ifatwa.info/71074/
★ সু-প্রিয়
প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
১. জ্বী হ্যাঁ, সমস্ত (দ্বীনের
ব্যাপারে নিষিদ্ধ) বিদআত থেকে বিরত থাকতে হবে। তা পালন করা জায়েজ হবে না।
২. কিছু বিদআত আছে যা পালন করা হারাম
ও কুফরি পর্যন্ত পৌঁছে দেয়। সুতরাং সেগুলো যদি কেউ জায়েজ মনে করে পালন করে তাহলে
কাফের হয়ে যাবে।
৩. বিদআতের অনেকগুলো প্রকার আছে। তাই হুকুমও বিভিন্ন রকম হবে।