আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
75 views
in হালাল ও হারাম (Halal & Haram) by (2 points)
কেউ আইভিএফ পদ্ধতি গ্রহন করল তারপর আল্লাহ সন্তান দিল।এই পদ্ধতির অংশ হিসেবে ল্যাবে স্বামীর একাধিকশুক্রাণু ও স্ত্রীর  একাধিক ডিম্বানু দিয়ে একাধিক ভ্রুন তৈরি করা হয় সফলতার হার বাড়ানোর জন্য।যদি প্রথমবারেই কোন দম্পতি সফল হয়ে যান তাহলে পরবর্তীতে অতিরিক্ত ভ্রুন ল্যাবে সংরক্ষণ করা হয়।যদি কোন দম্পতি পরবর্তীতে অতিরিক্ত ভ্রুনগুলো দিয়ে বাচ্চা না নেয়ার চেষ্টা না করে ভ্রুনগুলো ফেলে  দেয় বা নষ্ট করে ফেলে তাহলে কি তাদের এ কাজ জায়েয হবে নাকি গুনাহ হবে।

1 Answer

0 votes
by (574,260 points)
জবাবঃ-
بسم الله الرحمن الرحيم

হাদীস শরীফে এসেছেঃ- 
রাসূল সাঃ ইরশাদ করেন,

عَنْ رُوَيْفِعِ بْنِ ثَابِتٍ الأَنْصَارِىِّ قَالَ قَامَ فِينَا خَطِيبًا قَالَ أَمَا إِنِّى لاَ أَقُولُ لَكُمْ إِلاَّ مَا سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ -صلى الله عليه وسلم- يَقُولُ يَوْمَ حُنَيْنٍ قَالَ « لاَ يَحِلُّ لاِمْرِئٍ يُؤْمِنُ بِاللَّهِ وَالْيَوْمِ الآخِرِ أَنْ يَسْقِىَ مَاءَهُ زَرْعَ غَيْرِهِ (سنن ابى داود-كتاب النكاح، باب فِى وَطْءِ السَّبَايَ، رقم الحديث-2160)

অনুবাদ-হযরত রুয়াইফি বিন সাবিত আনসারী রাঃ একদা খুতবাদানকালে বলেন-আমি কি তোমাদের বলব না যা আমি রাসূল সাঃ কে বলতে শুনেছি হুনাইন যুদ্ধের দিন? তিনি বলেছেন-আল্লাহ ও আখেরাত বিশ্বাসী কোন ব্যক্তির জন্য বৈধ নয় যে, সে তার পানি [বীর্য} দিয়ে অন্য কারো জমি [জরায়ু] প্রবাহিত করবে। {সুনানে আবু দাউদ, হাদীস নং-২১৬০, মুসনাদে আহমাদ, হাদীস নং-১৬৯৯০, মুসন্নাফে ইবনে আবী শাইবা, হাদীস নং-১৭৭৪৯, আল মু’জামুল কাবীর, হাদীস নং-৪৪৮২}

রাসূল সাঃ আরো ইরশাদ করেছেন-

عنأبى هريرة  : قال النبي صلى الله عليه و سلم ( الولد للفراش وللعاهر الحجر (صحيح البخارى-كتاب الحدود، باب للعاهر الحج، رقم الحديث- 6432)

অনুবাদ-হযরত আবু হুরায়রা রাঃ থেকে বর্ণিত। রাসূল সাঃ ইরশাদ করেছেন-সন্তান হবে তার বিছানা হল যার, আর লম্পটের জন্য হল পাথর নিক্ষেপন। {সহীহ বুখারী, হাদীস নং-৬৪৩২, সহীহ মুসলিম, হাদীস নং-৩৬৮৮, তাহাবী শরীফ, হাদীস নং-৪৩১৪}

https://ifatwa.info/14385/ নং ফতোয়াতে উল্লেখ রয়েছেঃ- 
১-ডিম্বানু যদি স্বীয় স্ত্রীর হয়, আর শুক্রানু হয় স্বামীর তাহলে টিউবের মাধ্যমে প্রজনন হলে, বা উক্ত মহিলার গর্ভেই তা লালিত হয়ে প্রসব হলে এ পদ্ধতিটি সন্তানের জন্য দিশেহারা পরিবারের জন্য জায়েজ আছে।
২-অপরিচিত মহিলার ডিম্বানু, বা অপরিচিত পুরুষের শুক্রানু দ্বারা প্রজনন জায়েজ নয়। কারণ এটা জিনা তথা ব্যভিচারের মতই।
৩-এক মহিলার ডিম্বানু আর আরেক মহিলার গর্ভে যদি সে ডিম্বানু দ্বারা বাচ্চা প্রসব করানো হয়, তাহলে ডিম্বানু যার সেও উক্ত বাচ্চার মা হিসেবে হুরমতে মুসাহারাত তথা সে মহিলার পিতা-মাতা তথা তাদের উপরের ব্যক্তিরা এবং তাদের নিচের তথা সন্তানরা সে বাচ্চার জন্য বিবাহ করা হারাম সাব্যস্ত হবে।
সেই সাথে যার গর্ভে জন্ম নিল সেও মা হবে।

বিস্তারিত জানতে উক্ত লিংক দ্রষ্টব্য।

★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে উক্ত কাজ সন্তানের জন্য দিশেহারা পরিবারের জন্য জায়েজ আছে।

উল্লেখ্য, অন্য কোনো দম্পতির জন্য পরবর্তীতে ঐ অতিরিক্ত ভ্রুনগুলো দিয়ে বাচ্চা নেয়ার চেষ্টা করা নাজায়েজ।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...