জবাবঃ-
بسم الله الرحمن الرحيم
হাদীস শরীফে এসেছেঃ-
রাসূল সাঃ ইরশাদ করেন,
عَنْ رُوَيْفِعِ بْنِ ثَابِتٍ الأَنْصَارِىِّ قَالَ قَامَ فِينَا خَطِيبًا قَالَ أَمَا إِنِّى لاَ أَقُولُ لَكُمْ إِلاَّ مَا سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ -صلى الله عليه وسلم- يَقُولُ يَوْمَ حُنَيْنٍ قَالَ « لاَ يَحِلُّ لاِمْرِئٍ يُؤْمِنُ بِاللَّهِ وَالْيَوْمِ الآخِرِ أَنْ يَسْقِىَ مَاءَهُ زَرْعَ غَيْرِهِ (سنن ابى داود-كتاب النكاح، باب فِى وَطْءِ السَّبَايَ، رقم الحديث-2160)
অনুবাদ-হযরত রুয়াইফি বিন সাবিত আনসারী রাঃ একদা খুতবাদানকালে বলেন-আমি কি তোমাদের বলব না যা আমি রাসূল সাঃ কে বলতে শুনেছি হুনাইন যুদ্ধের দিন? তিনি বলেছেন-আল্লাহ ও আখেরাত বিশ্বাসী কোন ব্যক্তির জন্য বৈধ নয় যে, সে তার পানি [বীর্য} দিয়ে অন্য কারো জমি [জরায়ু] প্রবাহিত করবে। {সুনানে আবু দাউদ, হাদীস নং-২১৬০, মুসনাদে আহমাদ, হাদীস নং-১৬৯৯০, মুসন্নাফে ইবনে আবী শাইবা, হাদীস নং-১৭৭৪৯, আল মু’জামুল কাবীর, হাদীস নং-৪৪৮২}
রাসূল সাঃ আরো ইরশাদ করেছেন-
عنأبى هريرة : قال النبي صلى الله عليه و سلم ( الولد للفراش وللعاهر الحجر (صحيح البخارى-كتاب الحدود، باب للعاهر الحج، رقم الحديث- 6432)
অনুবাদ-হযরত আবু হুরায়রা রাঃ থেকে বর্ণিত। রাসূল সাঃ ইরশাদ করেছেন-সন্তান হবে তার বিছানা হল যার, আর লম্পটের জন্য হল পাথর নিক্ষেপন। {সহীহ বুখারী, হাদীস নং-৬৪৩২, সহীহ মুসলিম, হাদীস নং-৩৬৮৮, তাহাবী শরীফ, হাদীস নং-৪৩১৪}
১-ডিম্বানু যদি স্বীয় স্ত্রীর হয়, আর শুক্রানু হয় স্বামীর তাহলে টিউবের মাধ্যমে প্রজনন হলে, বা উক্ত মহিলার গর্ভেই তা লালিত হয়ে প্রসব হলে এ পদ্ধতিটি সন্তানের জন্য দিশেহারা পরিবারের জন্য জায়েজ আছে।
২-অপরিচিত মহিলার ডিম্বানু, বা অপরিচিত পুরুষের শুক্রানু দ্বারা প্রজনন জায়েজ নয়। কারণ এটা জিনা তথা ব্যভিচারের মতই।
৩-এক মহিলার ডিম্বানু আর আরেক মহিলার গর্ভে যদি সে ডিম্বানু দ্বারা বাচ্চা প্রসব করানো হয়, তাহলে ডিম্বানু যার সেও উক্ত বাচ্চার মা হিসেবে হুরমতে মুসাহারাত তথা সে মহিলার পিতা-মাতা তথা তাদের উপরের ব্যক্তিরা এবং তাদের নিচের তথা সন্তানরা সে বাচ্চার জন্য বিবাহ করা হারাম সাব্যস্ত হবে।
সেই সাথে যার গর্ভে জন্ম নিল সেও মা হবে।
বিস্তারিত জানতে উক্ত লিংক দ্রষ্টব্য।
★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে উক্ত কাজ সন্তানের জন্য দিশেহারা পরিবারের জন্য জায়েজ আছে।
উল্লেখ্য, অন্য কোনো দম্পতির জন্য পরবর্তীতে ঐ অতিরিক্ত ভ্রুনগুলো দিয়ে বাচ্চা নেয়ার চেষ্টা করা নাজায়েজ।