আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

+1 vote
1,510 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (36 points)
আমার গায়ের রং শ্যামলা।আমি এমন ক্রীমের সন্ধান পেয়েছি যাতে গায়ের রং ফর্সা বা সাদা হবে?এখন কী তা শরীয়তসম্মত হবে?আর যদি তা না হয় তবে কী গায়ের রং পরিবর্তনের জন্য সবসময় গুনাহ হতে থাকবে মৃত্যু পর্যন্ত?নাকি শুধু গায়ের রং পরিবর্তনের জন্য গুনাহ হবে?
by (68 points)
কোন ক্রিম??
বলা যাবে বোন?

1 Answer

0 votes
by (573,870 points)
জবাব
بسم الله الرحمن الرحيم 


শরীয়তের বিধান হলো অভিজ্ঞ ডাক্তারের মতে  যদি সেই ক্রীম,প্রসাধনী সামগ্রী শরীর ত্বকের জন্য ক্ষতিকর না হয়,এবং তাতে কোনো হারামের মিশ্রণ যদি না থাকে। 

এবং তাতে কোনোপ্রকার নেশাজাত দ্রব্যাদি সংযুক্ত করা না হয় তাহলে ফর্সা হওয়ার জন্য তা ব্যবহার করা জায়েয হবে।

হযরত সালমান ফারসী রাযি. থেকে বর্ণিত,

ﻋﻦ ﺳﻠﻤﺎﻥ ﺭﺿﻲ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻨﻪ ﻗﺎﻝ : ﺳﺌﻞ ﺭﺳﻮﻝ ﺍﻟﻠﻪ ﺻﻠﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭﺳﻠﻢ ﻋﻦ ﺍﻟﺴﻤﻦ ﻭﺍﻟﺠﺒﻦ ﻭﺍﻟﻔﺮﺍﺀ ﻓﻘﺎﻝ : ( ﺍﻟﺤﻼﻝ ﻣﺎ ﺃﺣﻞ ﺍﻟﻠﻪ ﻓﻲ ﻛﺘﺎﺑﻪ ، ﻭﺍﻟﺤﺮﺍﻡ ﻣﺎ ﺣﺮﻡ ﺍﻟﻠﻪ ﻓﻲ ﻛﺘﺎﺑﻪ ، ﻭﻣﺎ ﺳﻜﺖ ﻋﻨﻪ ﻓﻬﻮ ﻣﻤﺎ ﻋﻔﺎ ﻋﻨﻪ )

সারমর্মঃ  
নবীজী সাঃ কে ঘি,পণীর,এবং জঙ্গলি গাধা সম্পর্কে প্রশ্ন করা হলে তিনি বললেনঃহালাল সেগুলাই যা আল্লাহ তা'আলা উনার কিতাবে হালাল করে দিয়েছেন।এবং হারাম সেগুলাই যা আল্লাহ তা'আলা তার কিতাবে হারাম করে দিয়েছেন।আর যেগুলোর বিধি-বিধান বর্ণনা করেননি,তা হালাল বিধানের-ই অন্তর্ভূক্ত। (জা'মে তিরমিযি-১৭২৬)
,
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন, 
স্বামীর সামনে সাজসজ্জা ও সৌন্দর্য প্রদর্শন শুধু বৈধই নয় বরং করণীয়। হাদিস শরিফে এসেছে,

عَنْ أَبِي أُمَامَةَ-رضي الله عنه- عَنِ النَّبِيِّ –ﷺ-، أَنَّهُ كَانَ يَقُولُ: مَا اسْتَفَادَ الْمُؤْمِنُ بَعْدَ تَقْوَى اللَّهِ خَيْرًا لَهُ مِنْ زَوْجَةٍ صَالِحَةٍ، إِنْ أَمَرَهَا أَطَاعَتْهُ، وَإِنْ نَظَرَ إِلَيْهَا سَرَّتْهُ، وَإِنْ أَقْسَمَ عَلَيْهَا أَبَرَّتْهُ، وَإِنْ غَابَ عَنْهَا نَصَحَتْهُ فِي نَفْسِهَا وَمَالِهِ

আবু উমামা রাযি. থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ ﷺ বলতেন,  কোনো মুমিন ব্যক্তি আল্লাহ্ভীতির পর উত্তম যা লাভ করে তা হলো পুণ্যময়ী স্ত্রী। স্বামী তাকে কোন নির্দেশ দিলে সে তা পালন করে; সে তার দিকে তাকালে (তার বাহ্যিক সাজসজ্জা ও চরিত্রের মাধুর্যতা) তাকে আনন্দিত করে এবং সে তাকে শপথ করে কিছু বললে সে তা পূর্ণ করে। আর স্বামীর অনুপস্থিতিতে সে তার সম্ভ্রম ও সম্পদের হেফাযত করে। (সুনান ইবন মাজাহ ১৮৫৭)

কোনো সাজসজ্জা হারাম হওয়ার ব্যাপারে যতক্ষণ পর্যন্ত দলিল পাওয়া যাবে না, ততক্ষণ পর্যন্ত তা বৈধ। আর হারাম হওয়ার দলিল পাওয়া গেলে তা অবৈধ। কেননা, বস্তুর মূল হচ্ছে, বৈধতা। আল্লাহ তাআলা বলেন,

قُلْ مَنْ حَرَّمَ زِينَةَ اللّهِ الَّتِيَ أَخْرَجَ لِعِبَادِهِ وَالْطَّيِّبَاتِ مِنَ الرِّزْقِ

আপনি বলুন, আল্লাহর সাজসজ্জাকে, যা তিনি বান্দাদের জন্যে সৃষ্টি করেছেন এবং পবিত্র খাদ্রবস্তুসমূহকে কে হারাম করেছে? (সূরা আ’রাফ ৩২)

★সুতরাং প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে নিজ স্বামীর সন্তুষ্টি অর্জনের জন্য উক্ত ক্রীম ব্যবহার করা যদি হারামের মিশ্রন সম্পর্ক জানা না গেলে,এবং ত্বক ও শরীরের জন্য তাহা ক্ষতিকর না হলে  সেগুলো ব্যবহার করতে কোনো সমস্যা নেই।   

জায়েজ আছে।
কোনো গুনাহ নেই।     
,
এক্ষেত্রে আপনি নিয়ত করবেন স্বামীর সামনে সাজসজ্জা ও সৌন্দর্য প্রদর্শন। 

আরো জানুনঃ 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...