আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
48 views
in সালাত(Prayer) by (5 points)
আসসালামু 'আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লহি ওয়া বারকাতুহ।

১. বাসা থেকে ওজু করে গেলে, ট্রেনে ভ্রমণকালীন যদি ওজু ভেঙ্গে যায় আর নামাজের ওয়াক্ত হয়ে যায়, তখন যদি ওজু করতে না পারি তাহলে কী তায়াম্মুম করে নামাজ আদায় করলে হবে? আর যদি ওজু করতে পারি, তখন শুধু ওজুর ফরজ গুলো আদায় করলে হবে? আর পা মোজা পড়া থাকলে মাসেহ করে নিলে হবে? ( যেহেতু বাসা থেকে ওজু করে বের হয়েছি)

২. সফরে থাকাকালীন নামাজ কসর করলে হবে? ট্রেনে রুকু ও সিজদা করার মত জায়গা না পেলে কীভাবে তা আদায় করবো? বিস্তারিত জানাবেন! (যেমন: সিটের উপর দাঁড়িয়ে থেকে রুকু করার জন্য যদি সামান্য একটু ঝুঁকি আর সিজদাহ্ তে তার চেয়ে আরেকটু বেশি ঝুঁকি তাহলে কি হবে?  সিজদাহ কি সিটে বসে করলে হবে? আর কঁপাল কি কোনোকিছুর সাথে লাগাতে হবে সিজদাহ্'র সময়?

৩. ইশারায় রুকু-সিজদাহ কীভাবে করতে হয়...জানবেন। সিএনজি তে থাকাকালীন নামজের ওয়াক্ত হয়ে গেলে, তখন না দাঁড়িয়ে সিটে বসে নামাজ পড়লে হবে? (যেহেতু সেখানে দাঁড়ানা যায় না)

1 Answer

0 votes
by (559,140 points)
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم  

(০১)
https://ifatwa.info/25387/ ফতোয়াতে উল্লেখ রয়েছেঃ  
শরীয়তের বিধান হলো যদি গন্তব্যে পৌঁছে নামাজ আদায় করা সম্ভব না হয়, অথবা যানবাহনটি এমন কোথাও না দাঁড়ায় যেখানে পানি দ্বারা অযু করে নামায আদায় করা সম্ভব, তবে এমতাবস্থায় গাড়িতে পানিতে পানির ব্যবস্থা না থাকলে মাটি জাতীয় বস্তু দ্বারা তায়াম্মুম করে নামায পড়া জায়েজ আছে।

আল্লাহ তায়ালা বলেন  
قوله تعالى-وَإِن كُنتُم مَّرْضَى أَوْ عَلَى سَفَرٍ أَوْ جَاء أَحَدٌ مِّنكُم مِّن الْغَآئِطِ أَوْ لاَمَسْتُمُ النِّسَاء فَلَمْ تَجِدُواْ مَاء فَتَيَمَّمُواْ صَعِيدًا طَيِّبًا (سورة المائدة-6)
যার সারমর্ম হলো যদি তোমরা অসুস্থ হও,বা সফর অবস্থায় থাকো,,,,,, পানি যদি না পাও তাহলে পবিত্র মাটি দ্বারা তায়াম্মুম করো।
    
وفى الفتاوى الهندية- ومنها عدم القدرة على الماء يجوز التيمم لمن كان بعيدا من الماء ميلا هو المختار في المقدار سواء كان خارج المصر أو فيه وهو الصحيح وسواء كان مسافرا أو مقيما هكذا في التبيين لا يجوز التيمم لعدم الماء في المصر وكذا القرى التي لا يفارقها أهلها أو أكثرهم نهارا (الفتاوى الهندية-1/27)
যার সারমর্ম হলো পানির উপর যদি শক্তি না থাকে, যেমন সে যদি পানি থেকে এক মাইল দুরত্বে থাকে,,,, তাহলে সে তায়াম্মুম করতে পারবে। 

★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন, 
বাসে উঠতে হলে আপনি অযু করেই বাসে উঠবেন।  অযু না থাকলে বা অযু করার পর তাহা ভেঙ্গে গেলে সেক্ষেত্রে বিধানঃ

বাস বা যান বাহনে থাকার কারণে যদি কোনো মহিলা পর্দা করতে সক্ষম না হয়,এবং তায়াম্মুম করতেও সক্ষম না হয়,তাহলে ইশারায় নামায আদায় করবে,তবে যদি তায়াম্মুম করার সুযোগ থাকে,তাহলে তায়াম্মুম করে নামাযকে আদায় করবে।জনসম্মুখে তায়াম্মুম করতে যদি হাত মুখ খুলতেই হয়,তাহলে হাত মুখ খুলে অজু/তায়াম্মুম করে নেবে।তবে যথাসম্ভব চেষ্টা করতে হবে,যাতে নিজেকে পুরপুরুষের দৃষ্টি থেকে বাঁচিয়ে রাখতে।

বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন- https://www.ifatwa.info/9190

যানবাহনে কোন জিনিস দ্বারা তায়াম্মুম করা যাবে,জানুনঃ

★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন,
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে যদি গন্তব্যে পৌঁছে নামাজ আদায় করা সম্ভব না হয়, অথবা ট্রেন এমন কোথাও না দাঁড়ায় যেখানে পানি দ্বারা অযু করে নামায আদায় করা সম্ভব,এবং ট্রেনে যদি অযু করার মতো কোনো পানি না থাকে,সেক্ষেত্রে আপনি ট্রেনে তায়াম্মুম করে নামাজ আদায় করতে পারবেন।

তায়াম্মুমের ফরজ দুটিঃ-
১। পুরো চেহারা একবার মাসেহ করা।
২। উভয় হাত কনুই পর্যন্ত মাসেহ করা। 

★উল্লেখ্য, নিয়ত করা তায়াম্মুমের জন্য শর্ত।
নিয়ত ছাড়া তায়াম্মুম শুদ্ধ হবেনা। 

বিস্তারিত জানুনঃ- 

(০২)
আপনি যদি ৭৮ কিলোমিটার দূরত্বে ১৫ দিনের কম থাকার নিয়তে সফরে বের হোন,সেক্ষেত্রে আপনি কসর নামাজ আদায় করতে পারবেন।

ট্রেনে নামাজ আদায়ের পদ্ধতি জানুনঃ- 

(০৩)
যে ব্যক্তি ইশারায় রুকু-সিজদা করবে, সে রুকু থেকে সিজদাতে সামান্য বেশি ঝুঁকবে। অন্যথায় নামাজ সহিহ হবে না। 

সিএনজি তে থাকাকালীন নামাজের ওয়াক্ত হয়ে গেলে এমতাবস্থায় যদি গন্তব্যে পৌঁছে নামাজ আদায় করা সম্ভব না হয়,ওয়াক্ত শেষ হয়ে যাওয়ার আশংকা হয়,সেক্ষেত্রে আপনি সিএনজি থেকে নেমে কোনো নিরাপদ স্থানে নামাজ আদায় করবেন,নামাজের পর অন্য কোনো সিএনজি বা অন্য কোনো বাহনে করে চলে যাবেন।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...