আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

+1 vote
87 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (1 point)
আসসালামু আলাইকুম। বিভিন্ন কারনে ট্রেনে আশা জাওয়া করার শময় আসর, মাগ্রিব নামাজের সময় ট্রেন এ থাকা লাগে।ট্রেন এর  বাথরুম গুলোর অবস্থা নোংরা থাকে।

১।এখন,আমি ট্রেন এ মেয়েদের নামাজের বিধান না জানা এবং ট্রেন এর বাথরুম  নংরা থাকে, এই ভেবে সালাত আদায় করি নি।আমি কি এই সালাত কাজা হিশেবে পরব?নাকি এই সালাত ইচ্ছাক্রিত বাদ দিয়েছি এভাবে হিশাব হয়ে আমার গুনাহ হবে?

২। চলন্ত ট্রেন এ মেয়েরা কিভাবে নামাজ পরবে?নামাজের ঘরে নামাজ পরা  নিয়ে যদি কেউ নিরাপত্তা হিন তাতে ভুগে যেহেতু অখানে শবাই পুরুষ।
৩।ট্রেন এ অজু না করে, তাইমুম করে নামাজ আদায় করা জাবে কি?

৪।আমি যদি মানসিক বঝা হাল্কা করতে আমার শাথে কেউ জা করতেসে তা কাউকে বলি এবং মানশিক শক্তি দিতে বলি।এতা কি গিবত হবে?এখানে, নাম না বললে আমি তাকে পুরা বেপারটা বুঝাতে পারআ জাবে না তাই নাম বলেছি.

৫।নাম  না বলে ঘটনা বললে কি গিবত হবে?

৬।পরামর্শ করতে,সমাধান চাইতে, কাউকে শাব ধান করতে, কাউকে অন্নের দোষ   বললে, কি গিবত হবে?

1 Answer

0 votes
by (565,890 points)
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم

(০১)
আপনি সেই সালাত গুলি কাজা হিসেবে আদায় করবেন,আর নামাজ কাজা হয়ে গেলে মানুষের তো গুনাহ হয়,তাই গুনাহ মাফের জন্য আল্লাহর কাছে তওবা করবেন।

(০২)
নামাযে কিবলামুখী হওয়া নামায সহীহ হবার জন্য শর্ত। কিবলামুখী না হলে নামায শুদ্ধই হবে না। 

আল্লাহ তায়ালা বলেনঃ     

قَدْ نَرَىٰ تَقَلُّبَ وَجْهِكَ فِي السَّمَاءِ ۖ فَلَنُوَلِّيَنَّكَ قِبْلَةً تَرْضَاهَا ۚ فَوَلِّ وَجْهَكَ شَطْرَ الْمَسْجِدِ الْحَرَامِ ۚ وَحَيْثُ مَا كُنتُمْ فَوَلُّوا وُجُوهَكُمْ شَطْرَهُ ۗ وَإِنَّ الَّذِينَ أُوتُوا الْكِتَابَ لَيَعْلَمُونَ أَنَّهُ الْحَقُّ مِن رَّبِّهِمْ ۗ وَمَا اللَّهُ بِغَافِلٍ عَمَّا يَعْمَلُونَ [٢:١٤٤] 

নিশ্চয়ই আমি আপনাকে বার বার আকাশের দিকে তাকাতে দেখি। অতএব, অবশ্যই আমি আপনাকে সে কেবলার দিকেই ঘুরিয়ে দেব যাকে আপনি পছন্দ করেন। এখন আপনি মসজিদুল-হারামের দিকে মুখ করুন এবং তোমরা যেখানেই থাক, সেদিকে মুখ কর। যারা আহলে-কিতাব, তারা অবশ্যই জানে যে, এটাই ঠিক পালনকর্তার পক্ষ থেকে। আল্লাহ বেখবর নন, সে সমস্ত কর্ম সম্পর্কে যা তারা করে। {বাকারা-১৪৪}

ট্রেনা নামাজ আদায়ের মাসয়ালা হলোঃ-

ট্রেনে কিবলামুখি হতে যথাসাধ্য চেষ্টা করবে। যদি গাড়ি কিবলামুখ থেকে অন্যদিকে ঘুরে যায় তবে নামাজে থাকা অবস্থায় কিবলামুখি ঘুরে যাবে। যদি সম্ভব না হয়, তাহলে যেদিকে মুখ হয়, সেদিকে ফিরেই নামাজ শেষ করবে। পরে নামাজ আবার দোহরিয়ে নিতে হবে।
,
 ইচ্ছে থাকা সত্ত্বেও কিবলামুখি হয়ে নামাজ আদায় করতে না পারলে এই নামাজ পরে আবার পড়ে নিতে হবে। কিবলামুখি ফিরে নামাজ আদায় করতে পারলে পরে তা আবার আদায় করার প্রয়োজন নেই।

 যানবাহনে ত্রুটিপূর্ণ নামায আদায় কারার পর সেখান নেমে পরবর্তীতে স্বাভাবিক অবস্থায় আবার নামাযকে এজন্য দোহরাতে হবে।

আরো জানুনঃ 

★যানবাহনে নামাজ সংক্রান্ত বিস্তারিত জানুনঃ 

★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
ট্রেন এ মেয়েরা আলাদা রুমে নামাজ আদায় করার চেষ্টা করবে,আলাদা রুমে/নামাজের ঘরে নামাজ আদায়ে যদি নিরাপত্তা হীনতায় ভুগে,সেক্ষেত্রে জন সম্মুখে চেহারা হাত পা সহ পূর্ণ শরীর ঢেকে পর্দা করে নামাজ আদায় করতে পারবে।

যেখানেই নামাজ আদায় করুক,উপরে উল্লেখিত নিয়ম অনুযায়ী তাকে নামাজ আদায় করতে হবে।

(০৩)
ট্রেনে অযু না করে কখন তায়াম্মুম করে নামাজ আদায় করা যায়,সে সংক্রান্ত জানুনঃ- https://ifatwa.info/103721/

(০৪)
গীবত হল তোমার ভাইয়ের সম্পর্কে এমন কিছু আলোচনা করা, যা সে অপছন্দ করে। 

সুতরাং প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে যদি এমন কিছু বলেন,যাহা এভাবে অন্যকে বলায় সে অপছন্দ করবে,সেক্ষেত্রে এটা গীবত হবে।
এটি জায়েজ হবেনা।

বিস্তারিত জানুনঃ- 
https://ifatwa.info/5384/

(০৫)
কারো নাম,পরিচয়  উল্লেখ না করলে এতে গীবত হয় না। কিন্তু উপস্থিত লোকেরা যদি বুঝতে পারে যে অমুক ব্যক্তিকে উদ্দেশ্য করে বলা হয়েছে তবে তা গীবত বলে গণ্য এবং হারাম হবে।
হ্যাঁ বিশেষ মাছলাহাত এর স্বার্থে,যেমন তাকে বললে সে আর এমন কাজ করবেনা,তাহলে এটা বলা যেতে পারে।
তবে সীমাতিরিক্ত বলা যাবেনা,এমনি এক জনের কাছে বলা যাবেনা।

বিস্তারিত জানুনঃ  

(০৬)
খারাপ/অন্যায় কাজ বন্ধ করার জন্য সাহায্য চাইতে/তাকে সংশোধন করার নিমিত্তে এমন ব্যক্তির কাছে গীবত করতে পারবে যে তা বন্ধ করার ক্ষমতা রাখে,অর্থাৎ যে ব্যাক্তি খারাপ/অন্যায় কাজ বন্ধ করার জন্য ঐ ব্যাক্তিকে বুঝাতে পারে,ধমক দিতে পারে,তার নিকট সংশোধন এর নিয়তে দোষ বলা যাবে।

الثاني: الاستعانة على تغيير المنكر ورد العاصي إلى الصواب. وبيانه أن يقول لمن يرجو قدرته على إزالة المنكر: فلان يعمل كذا فازجره عنه ونحو ذلك، ويكون مقصوده إزالة المنكر، فإن لم يقصد ذلك كان حراما. 
(দুই) মন্দকে পরিবর্তন করতে এবং গোনাহগারকে নেকির দিকে ফিরিয়ে নিয়ে আসতে কারো গীবত করা।যেমন এমন কারো কাছে গিয়ে গিবত করা,যে ব্যক্তি ঐ মন্দকাজ সম্পাদনকারীকে ধমক দিতে পারে, ইত্যাদি ইত্যাদি।শর্ত এই যে, মন্দকে বিদূরিত করার উদ্দেশ্যই থাকতে হবে।উদ্দেশ্য যদি অন্য কিছু হয় তখন কিন্তু গীবত করা জায়েয হবে না বরং হারাম হবে।

বিস্তারিত জানুনঃ- 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 279 views
...