ওয়া আলাইকুমুস সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া
বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ
https://ifatwa.info/26654/
নং ফতোয়াতে উল্লেখ রয়েছে যে,
যে ব্যক্তি সর্বপ্রথম কোনো জিনিষ আবিস্কার
করেছে, তার আবিস্কৃত জিনিষ অস্তিত্বমান বস্তু হোক বা অস্তিত্বহীন, নিঃসন্দেহে সেইব্যক্তি
অন্যের তুলনায় তা থেকে উপকৃত হওয়ার, প্রস্তুত করার এবং মুনাফা অর্জনের উদ্দেশ্যে বাজারজাত
করার বেশী অধিকারী। কেননা, আবু দাউদ শরীফে হযরত আসমুর ইবনে মুদরাস (রা.) থেকে একটি
হাদীসে বর্ণিত হয়েছে যে, 'আমি নবী আকরাম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের দরবারে
হাজির হয়ে তার হাতে বাইআত গ্রহণ করি।এ সময় নবী আকরাম সাল্লাল্লাহু অালাইহি ওয়া সাল্লাম
ইরশাদ করেন,' যে ব্যক্তি ওই বস্তুর দিতে অগ্রসর হল, যে বস্তুর দিকে কোনো মুসলমান অগ্রসর
হয় নাই, তাহলে ওই বস্তু ওই ব্যক্তির। (যে ওই দিকে প্রথম অগ্রসর হয়েছে।)আবু-দাউদ:৪/২৬৪
হাদীস নং২৯৪৭)
আল্লামা মুনাবী রাহ [আব্দুর রউফ আল মুনাবী,
মৃত্যু:১০৩১হি,] যদিও এই হাদীসটিকে পতিত ও অনাবাদী জমিন ব্যবহারযোগ্য করে গড়ে তোলার
অর্থে প্রয়োগের বিষয়কে প্রধান্য দিয়েছেন, তথাপি তিনি কোনো কেনো উলামায়ে কেরাম থেকে
এ বর্ণনাও উদ্ধৃত করেছেন যে, এই হাদীসটির মর্মে যাবতীয় ঝরণা, কূপ এবং খণিজসম্পদ অন্তর্ভুক্ত।
আর যে ব্যক্তি এসবের কোনো একটিতে প্রথম অগ্রসর হবে, ওই জিনিসটির সত্ত্বাধিকারী ওই ব্যক্তিই
সাব্যস্ত হবে। এ বিষয়ে কোনো সংশয় নেই যে, যে কোনো বাক্যে শব্দের ব্যাপকতাই গ্রহণযোগ্য
হয়ে থাকে, তা কোনো নির্দিষ্ট কারণের প্রেক্ষিতে বলা হলেও সেই কারণের মধ্যেই তা সীমাবদ্ধ
হয় না। (ফায়জুল কাদীর:৬/১৩৮)
★সু-প্রিয়
প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
উপরের আলোচনা থেকে বুঝতে পারলাম যে, কোনো
কিতাব নতুন হোক বা পুরাতন হোক, সংরক্ষিত প্রকাশনায় প্রকাশকের অনুমতি ব্যতীত ঐ প্রকাশনার
কোনো কপি করা যাবে না।
কোন বই সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের অনুমতি নিয়ে
ছাপানো হয়েছে,আর কোন বই অনুমতিহীন ছাপানো হয়েছে, সেটা জানতে প্রথমে আপনি বই ডাউনলোড
করে দেখবেন যে, উক্ত বইয়ের গায়ে কি লিখা রয়েছে? "স্বত্ব সংরক্ষিত " না লেখা
নাই।
যদি লেখা না থাকে,তাহলে বুঝতে হবে, বইটার
স্বত্ব উন্মোক্ত।যে কেউ ছাপাতে পারবে। উপকৃত হতে পারবে। সুতরাং উক্ত পিডি এফকে পড়া
যাবে।
তবে যদি গায়ে "স্বত্ব সংরক্ষিত"
লিখা থাকে,তাহলে বুঝতে হবে যে,কপি করা যাবে না। যেহেতু স্বত্ব সংরক্ষিত কিতাবের কপি
করা নাজায়েয ও হারাম। তাই উক্ত ডাউনলোড কৃত কিতাবকে সাথে সাথেই ডিলেট দিয়ে দিতে হবে।
উক্ত কিতাবের কেনো প্রকার কপি করা যাবে না।
সুতরাং হানাফি ফকিহগণের আলোচনায়ও দুই রকম
বক্তব্য পাওয়া যায়। তবে বর্তমান সময়ের হানাফি বিশেষজ্ঞ গণ পিডিএফ ফাইল নাজায়েযের ফাতাওয়াকে
অগ্রাধিকার দিয়ে থাকেন। তবে বর্তমানে সামর্থ্য না থাকলে বা বই ক্রয়ের কোনো সুযোগ না
থাকলে, ভবিষ্যতে ক্রয়ের পূর্ণ ইরাদা রেখে বর্তমানে জরুরতে আপনি পিডিএফ পড়তে পারবেন।
এতে করে কোনো সমস্যা হবে না বলে আশা করা যায় ইনশাআল্লাহ।