আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
71 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (25 points)
১)কাউকে যদি মা বাবা এনজিওর বৃত্তির টাকা নিতে বলে তখন মা - বাবার কথা মতো বৃত্তি নেওয়া উচিত নাকি না নেওয়াটা উত্তম হবে?

দ্রষ্টব্য: মা-বাবা কয়েকদিন ধরে এ বিষয়ে কয়েকবার কথা বলছে(অর্থাৎ তাদের ইচ্ছা বৃত্তি নেওয়া) কিন্তু জোর করেনি যে অবশ্যই নিতে হবে । পরিবার আর্থিকভাবে কষ্টে আছে। বৃত্তি নিলে মা বাবার ঋন পরিশোধে অনেক সহায়ক হবে।

২)কতৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করা গেলে তারা যদি পুরো টাকা দাবি করে তাহলে কি পুরোটাই দিতে হবে?আর যদি কতৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ সম্ভব না হয় তাহলে টাকা সাদাকাহ করার ক্ষেত্রে পুরো টাকা করবে নাকি একজন যত করে দিছিলো(কোর্স ১০০০ হলে ২ জনে ৫০০ করে দিছিলো) ওটাই দিবে?

দ্রষ্টব্য: নিচেরটা আগে করা প্রশ্নের উত্তর।এটার ভিত্তিতে উপরের প্রশ্নটা করা।

{{{১)একজনের পেমেন্ট করে কয়েকজন ক্লাস করা জায়েজ নেই যদি কর্তৃপক্ষে পক্ষ হতে নিষেধাজ্ঞা থাকে।

৫) প্রশ্ন:যদি কেউ আগে এরকম করে তার এখন কি করা উচিত?

উত্তর:উক্ত ঘটনার জন্য আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাবে এবং তাওবা করবে। আর ওই কোর্সের কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করা সম্ভব হলে তাদেরকে বিষয়টা বলে সমাধান করে নিবে। প্রয়োজনে তারা টাকা চাইলে টাকা দিবে অথবা তাদের কাছে বিষয়টা অবগত করে ক্ষমা চেয়ে নিবে। আর এটা কোনভাবে সম্ভব না হলে এবং তাদের সাথে যোগাযোগ করা না গেলে তাহলে আনুমানিক কত টাকার মতো ওই কোর্সে তারা ক্লাস করেছে ওই পরিমাণ টাকা গরিবদেরকে সওয়াবের নিয়ত ছাড়া সদকাহ করে দিবে।}}}

৩)একটা বাচ্চা জিজ্ঞেস করছে আল্লাহকে তুই সম্বোধন করে কিছু চাওয়া যাবে কিনা?

1 Answer

0 votes
by (574,080 points)
জবাবঃ- 
بسم الله الرحمن الرحيم

(০১)
হাদীস শরীফে এসেছেঃ  
আবূ হুরায়রাহ (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত।

عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " أَيُّهَا النَّاسُ، إِنَّ اللهَ طَيِّبٌ لَا يَقْبَلُ إِلَّا طَيِّبًا، وَإِنَّ اللهَ أَمَرَ الْمُؤْمِنِينَ بِمَا أَمَرَ بِهِ الْمُرْسَلِينَ، فَقَالَ: {يَا أَيُّهَا الرُّسُلُ كُلُوا مِنَ الطَّيِّبَاتِ وَاعْمَلُوا صَالِحًا، إِنِّي بِمَا تَعْمَلُونَ عَلِيمٌ} [المؤمنون: ٥١] وَقَالَ: {يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا كُلُوا مِنْ طَيِّبَاتِ مَا رَزَقْنَاكُمْ} [البقرة: ١٧٢] ثُمَّ ذَكَرَ الرَّجُلَ يُطِيلُ السَّفَرَ أَشْعَثَ أَغْبَرَ، يَمُدُّ يَدَيْهِ إِلَى السَّمَاءِ، يَا رَبِّ، يَا رَبِّ، وَمَطْعَمُهُ حَرَامٌ، وَمَشْرَبُهُ حَرَامٌ، وَمَلْبَسُهُ حَرَامٌ، وَغُذِيَ بِالْحَرَامِ، فَأَنَّى يُسْتَجَابُ لِذَلِكَ؟ "

 তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ “আল্লাহ তা'আলা পবিত্র, তিনি পবিত্র ও হালাল বস্তু ছাড়া গ্রহণ করেন না। আর আল্লাহ তা'আলা তার প্রেরিত রসূলদের যে হুকুম দিয়েছেন মুমিনদেরকেও সে হুকুম দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, “হে রসূলগণ! তোমরা পবিত্র ও হালাল জিনিস আহার কর এবং ভাল কাজ কর। আমি তোমাদের কৃতকর্ম সম্বন্ধে জ্ঞাত।" (সূরা আল মু'মিনূন ২৩ঃ ৫১)তিনি (আল্লাহ) আরো বলেছেন, “তোমরা যারা ঈমান এনেছো শোনা আমি তোমাদের যে সব পবিত্র জিনিস রিযক হিসেবে দিয়েছি তা খাও”— (সূরা আল বাকারাহ ২ঃ ১৭২)। অতঃপর তিনি এক ব্যক্তির কথা উল্লেখ করলেন, যে দূর-দূরান্ত পর্যন্ত দীর্ঘ সফর করে। ফলে সে ধুলি ধূসরিত রুক্ষ কেশধারী হয়ে পড়ে। অতঃপর সে আকাশের দিকে হাত তুলে বলে, “হে আমার প্রতিপালক! অথচ তার খাদ্য হারাম, পানীয় হারাম, পরিধেয় বস্ত্র হারাম এবং আহার্যও হারাম। কাজেই এমন ব্যক্তির দু'আ তিনি কী করে কবুল করতে পারেন?”(সহীহ মুসলিম-১০১৫)

হারাম টাকার বিধান হল, তা প্রাথমিকভাবে মূল মালিকের কাছে ফেরত দেয়া।নতুবা সওয়াবের নিয়ত ছাড়া গরীবদের মাঝে সদকা করে দেয়া।

 من ملك بملك خبيث ولم يمكنه الرد الى المالك فسبيله التصدق على الفقراء
 (معارف السنن، كتاب الطهارة، باب ما جاء لا تقبل صلاة بغير طهور-1/34، الفتاوى الشامية، باب البيع الفاسد، مطلب فى من ورث مالا حراما-7/301، كتاب الحظر والإباحة، فصل فى البيع-9/554، بذل المجهود، كتاب الطهارة، باب فرض الوضوء- 1/37

যদি কারো নিকট কোনো হারাম মাল থাকে,তাহলে ঐ মালকে তার মালিকের নিকট ফিরিয়ে দেওয়া সম্ভব না হলে সেটি ফকিরদেরকে সদকাহ করে দিতে হবে।
(মাআরিফুস সুন্নাহ ১/৩৪)

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন, 
প্রশ্নে উল্লেখিত ব্যাক্তি যদি বালেগ হয়,নেসাব পরিমান সম্পদের মালিক না হয়,অথবা সে নাবালেগ তবে তার বাবা গরিব,নেসাব পরিমান সম্পদের মালিক নয়,সেক্ষেত্রে সে তার বাবা মার কথা অনুযায়ী এনজিওর বৃত্তির টাকা নিতে পারবে।

অন্যথায় নয়।

(০২)
আপনি তো ১০০০ টাকার মধ্যে ৫০০ টাকা পূর্বেই দিয়েছিলেন,সুতরাং কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করা গেলে তারা যদি পুরো টাকা দাবি করে,সেক্ষেত্রে আপনাকে বাকি ৫০০ টাকা দিতে হবে।

আর যদি কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ সম্ভব না হয়, তাহলে সেক্ষেত্রে আপনি যেহেতু ১০০০ টাকার মধ্যে ৫০০ টাকা পূর্বেই দিয়েছিলেন,

সুতরাং এমতাবস্থায় টাকা সাদাকাহ করার ক্ষেত্রে আপনি বাকি ৫০০ টাকা সদকাহ করবেন।

(০৩)
আল্লাহর শানে উক্ত শব্দ বলা অনুচিত। 
মহান আল্লাহর শানের খেলাফ।
অনেকেই নাজায়েজ বলেছেন।

তবে বেয়াদবী নয়,বরং অতি মুহাব্বতে কেহ যদি হঠাৎ করে অনিচ্ছাকৃত ভাবে উক্ত শব্দে আল্লাহকে ডেকে ফেলে,উক্ত শব্দ বলে আল্লাহর থেকে কিছু চেয়ে ফেলে,তাহলে সেক্ষেত্রে আশা করি এতে তার গুনাহ হবেনা।

তদুপরি মহান আল্লাহর শানে তুই শব্দ বলা থেকে বেঁচে থাকতে হবে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 263 views
...