জবাব
بسم الله الرحمن الرحيم
বহু সংখ্যক হাদীস দ্বারা প্রমানিত যে দাবা,পাশা খেলা জায়েজ নেই।
,
হাদীস শরীফে এসেছেঃ
حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ قَالَ: حَدَّثَنِي مَالِكٌ، عَنْ مُوسَى بْنِ مَيْسَرَةَ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ أَبِي هِنْدَ، عَنْ أَبِي مُوسَى الأَشْعَرِيِّ، أَنَّ رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ: مَنْ لَعِبَ بِالنَّرْدِ فَقَدْ عَصَى اللَّهَ وَرَسُولَهُ.
আবু মূসা আশআরী (রাঃ) থেকে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ যে ব্যক্তি দাবা/পাশা খেললো সে আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের বিরুদ্ধাচরণ করলো। (আবু দাউদ,ইবনে মাজাহ,আহমাদ, দার,হাকিম,ইবনে হিব্বান,আল আদাবুল মুফরাদ ১২৮১।)
,
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ يُوسُفَ، وَقَبِيصَةُ، قَالاَ: حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنْ عَلْقَمَةَ بْنِ مَرْثَدٍ، عَنِ ابْنِ بُرَيْدَةَ، عَنْ أَبِيهِ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ: مَنْ لَعِبَ بِالنَّرْدَشِيرِ فَكَأَنَّمَا صَبَغَ يَدَهُ فِي لَحْمِ خِنْزِيرٍ وَدَمِهِ.
আবু বুরায়দা (রহঃ) থেকে তার পিতার সূত্রে বর্ণিত। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ যে ব্যক্তি দাবা/পাশা খেললো সে যেন তার হাত শূকরের গোশত ও রক্তে রঞ্জিত করলো। (মুসলিম, আবু দাউদ, ইবনে মাজাহ, মুয়াত্তা মালিক,আল আদাবুল মুফরাদ ১২৮৩।)
,
حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ يُونُسَ، وَمَالِكُ بْنُ إِسْمَاعِيلَ، قَالاَ: حَدَّثَنَا زُهَيْرٌ قَالَ: حَدَّثَنِي عُبَيْدُ اللهِ قَالَ: حَدَّثَنِي نَافِعٌ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ أَبِي هِنْدَ، عَنْ أَبِي مُوسَى، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ: مَنْ لَعِبَ بِالنَّرْدِ فَقَدْ عَصَى اللَّهَ وَرَسُولَهُ.
আবু মূসা আশআরী (রাঃ) থেকে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ যে ব্যক্তি দাবা/পাশা খেললো সে আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের বিরুদ্ধাচরণ করলো। (আবু দাউদ, ইবনে মাজাহ, আহমাদ, দারিমী, হাকিম, ইবনে হিব্বান,আল আদাবুল মুফরাদ ১২৮৪।)
,
حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ قَالَ: حَدَّثَنِي مَالِكٌ، عَنْ نَافِعٍ، أَنَّ عَبْدَ اللهِ بْنَ عُمَرَ كَانَ إِذَا وَجَدَ أَحَدًا مِنْ أَهْلِهِ يَلْعَبُ بِالنَّرْدِ ضَرَبَهُ، وَكَسَرَهَا.
নাফে (রহঃ) থেকে বর্ণিত। আবদুল্লাহ ইবনে উমার (রাঃ) তার পরিবারের কাউকে দাবা/পাশা খেলায় লিপ্ত দেখতে পেলে তাকে প্রহার করতেন এবং দাবা/পাশার সরঞ্জাম ভেঙ্গে ফেলতেন। (মুয়াত্তা মালিক,আল আদাবুল মুফরাদ ১২৮৫।)
,
حَدَّثَنَا ابْنُ الصَّبَّاحِ، قَالَ: حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ بْنُ زَكَرِيَّا، عَنْ عُبَيْدِ بْنِ أَبِي أُمَيَّةَ الْحَنَفِيِّ هُوَ الطَّنَافِسِيُّ، قَالَ: حَدَّثَنِي يَعْلَى أَبُو مُرَّةَ قَالَ: سَمِعْتُ أَبَا هُرَيْرَةَ فِي الَّذِي يَلْعَبُ بِالنَّرْدِ قِمَارًا: كَالَّذِي يَأْكُلُ لَحْمَ الْخِنْزِيرِ، وَالَّذِي يَلْعَبُ بِهِ مِنْ غَيْرِ الْقِمَارِ كَالَّذِي يَغْمِسُ يَدَهُ فِي دَمِ خِنْزِيرٍ، وَالَّذِي يَجْلِسُ عِنْدَهَا يَنْظُرُ إِلَيْهَا كَالَّذِي يَنْظُرُ إِلَى لَحْمِ الْخِنْزِيرِ.
ইয়ালা ইবনে মুররা (রহঃ) বলেন, আমি আবু হুরায়রা (রাঃ)-কে বলতে শুনেছি, যে ব্যক্তি বাজি ধরে দাবা/পাশা খেলে সে শূকরের গোশত ভক্ষণকারীর সমতুল্য। আর যে ব্যক্তি বাজি না ধরে দাবা/পাশা খেলে সে শূকরের রক্তে হাত রঞ্জিতকারীর সমতুল্য। আর যে ব্যক্তি তাদের সাথে বসে তাদের খেলা দেখে সে শূকরের গোশতের দিকে তাকিয়ে থাকা ব্যক্তির সমতুল্য।
(আল আদাবুল মুফরাদ ১২৮৮)
,
حَدَّثَنَا الْحَسَنُ بْنُ عُمَرَ، قَالَ: حَدَّثَنَا يَزِيدُ بْنُ زُرَيْعٍ، عَنْ حَبِيبٍ، عَنْ عَمْرِو بْنِ شُعَيْبٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عَبْدِ اللهِ بْنِ عَمْرِو بْنِ الْعَاصِ قَالَ: اللاَّعِبُ بِالْفُصَّيْنِ قِمَارًا كَآكِلِ لَحْمِ الْخِنْزِيرِ، وَاللاَّعِبُ بِهِمَا غَيْرَ قِمَارٍ كَالْغَامِسِ يَدَهُ فِي دَمِ خِنْزِيرٍ.
আবদুল্লাহ ইবনে আমর ইবনুল আস (রাঃ) বলেন, বাজি ধরে দুটি গুটি দ্বারা জুয়া খেলায় অংশগ্রহণকারী শূকরের গোশত ভক্ষণকারীর সমতুল্য এবং বাজিবিহীন খেলায় অংশগ্রহণকারী শূকরের রক্তে হাত ডুবানো ব্যক্তিতুল্য।
(আল আদাবুল মুফরাদ ১২৮৯।)
,
حَدَّثَنَا عُبَيْدُ اللهِ بْنُ سَعِيدٍ، عَنِ الْقَاسِمِ بْنِ الْحَكَمِ الْقَاضِي، قَالَ: أَخْبَرَنَا عُبَيْدُ اللهِ بْنُ الْوَلِيدِ الْوَصَّافِيُّ، عَنِ الْفُضَيْلِ بْنِ مُسْلِمٍ، عَنْ أَبِيهِ قَالَ: كَانَ عَلِيٌّ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ إِذَا خَرَجَ مِنْ بَابِ الْقَصْرِ، فَرَأَى أَصْحَابَ النَّرْدِ انْطَلَقَ بِهِمْ فَعَقَلَهُمْ مِنْ غُدْوَةٍ إِلَى اللَّيْلِ، فَمِنْهُمْ مَنْ يُعْقَلُ إِلَى نِصْفِ النَّهَارِ. قَالَ: وَكَانَ الَّذِي يُعْقَلُ إِلَى اللَّيْلِ هُمُ الَّذِينَ يُعَامِلُونَ بِالْوَرِقِ، وَكَانَ الَّذِي يُعْقَلُ إِلَى نِصْفِ النَّهَارِ الَّذِينَ يَلْهُونَ بِهَا، وَكَانَ يَأْمُرُ أَنْ لا يُسَلِّمُوا عَلَيْهِمْ.
ফুদাইল ইবনে মুসলিম (রহঃ) থেকে তার পিতার সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, আলী (রাঃ) বাবুল কাসর থেকে বের হলে তিনি দাবা/পাশা খেলোয়াড়দের দেখতে পান। তিনি তাদের নিকট গিয়ে তাদেরকে ভোর থেকে রাত পর্যন্ত আটক রাখেন। তাদের মধ্যে কতককে তিনি দুপুর পর্যন্ত আটক রাখেন। রাবী বলেন, যারা অর্থের আদান-প্রদানের ভিত্তিতে খেলেছিল, তিনি তাদের রাত পর্যন্ত আটক রাখেন, আর যারা এমনি খেলেছিল তাদেরকে দুপুর পর্যন্ত আটক রাখেন। তিনি নির্দেশ দিতেন, লোকজন যেন তাদেরকে সালাম না দেয়।
(আল আদাবুল মুফরাদ ১২৮০।)