ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
(১)কাউকে এমনিতেই কিছু দেয়ার পর যদি সাধারণ নফল সদকাহর নিয়ত করা হয়, তাহলে সমস্যা নেই। তবে বিশেষ কোনো কাজের নিয়ত করা যাবে না। যেমন, যাকাত ইত্যাদি। কেননা ফরয, ওয়াজিব এসমস্ত আমলের পূর্বে নিয়ত করতে হয়।
(২) পরিবারের জন্য খরচ করাটাও সদকাহ।এখানে পৃথকভাবে সদকাহর নিয়ত করতে হবে না।
(৩) এসব কথা খোটার পর্যায়ে পড়বে না। কেননা খোটা দেয়ার বিন্দুমাত্র উদ্দেশ্য এখানে নেই।
(৪) এত টাকা ইনকাম করে কিন্তু বাসার জন্য কিছুই আনে না, আর আমার অল্প টাকাতেও আমি চেষ্টা করি, এতে আপনারর সওয়াবের কোনো ঘাটতি হতে পারে।
(৫) এটা মান্নত। প্রতি মাসে এত টাকা সদকাহ করতে হবে, যদি টিউশনি পান।
(৬)প্রতিমাসে ইনকামের টাকার ২৫% সাদাকাহ করবো, এমন নিয়্যাত করা হলে, এটা নফল সাদাকাহর অন্তর্ভুক্ত হবে।
(৭) স্বামী যদি কৃপণ হয় এবং আর্থিকভাবে আলহামদুলিল্লাহ যথেষ্ট সচ্ছল হয় তাহলে, স্বামীর হালাল-হারাম মিশ্রিত অর্থ না জানিয়ে নেয়া স্ত্রীর জন্য হালাল হবে না।
মা যদি হারাম অর্থ উপযুক্ত কন্যাকে দেয় তাহলে কন্যার জন্য সে অর্থ হালাল হবে না।
(৮) বাবা/মা অনেক জোর করে যদি ডিপিএস করার জন্য ব্যাংকে নিয়ে যায়, মেয়ে শুধু ওখানে বসে থাকে বাকি সব কাজ তারাই করে, শুধু সঙ্গে যাওয়ার জন্য নিয়ে যায়, তাহলেও মেয়ের গুনাহ হবে।
