বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ
https://ifatwa.info/9841/
নং ফাতওয়ায় উল্লেখ রয়েছে যে,
হাদীস শরীফে এসেছেঃ
عَنْ
عَائِشَةَ، قَالَتْ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " لاَ تُقْبَلُ
صَلاَةُ الْحَائِضِ إِلاَّ بِخِمَارٍ " . قَالَ وَفِي الْبَابِ عَنْ عَبْدِ
اللَّهِ بْنِ عَمْرٍو . وَقَوْلُهُ " الْحَائِضُ " . يَعْنِي
الْمَرْأَةَ الْبَالِغَ يَعْنِي إِذَا حَاضَتْ . قَالَ أَبُو عِيسَى حَدِيثُ
عَائِشَةَ حَدِيثٌ حَسَنٌ . وَالْعَمَلُ عَلَيْهِ عِنْدَ أَهْلِ الْعِلْمِ أَنَّ
الْمَرْأَةَ إِذَا أَدْرَكَتْ فَصَلَّتْ وَشَيْءٌ مِنْ شَعْرِهَا مَكْشُوفٌ لاَ
تَجُوزُ صَلاَتُهَا . وَهُوَ قَوْلُ الشَّافِعِيِّ قَالَ لاَ تَجُوزُ صَلاَةُ
الْمَرْأَةِ وَشَيْءٌ مِنْ جَسَدِهَا مَكْشُوفٌ . قَالَ الشَّافِعِيُّ وَقَدْ
قِيلَ إِنْ كَانَ ظَهْرُ قَدَمَيْهَا مَكْشُوفًا فَصَلاَتُهَا جَائِزَةٌ .
হান্নাদ (রহঃ) ...... আয়িশা রাদিয়াল্লাহু আনহা থেকে বর্ণিত যে, রাসূল সাল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ যে মেয়ের ঋতুবতী হওয়ার বয়স হয়েছে, উড়না ব্যবহার
করা ছাড়া তার সালাত কবুল হয় না। - ইবনু মাজাহ ৬৫৫, তিরমিজী হাদিস নম্বরঃ
৩৭৭ [আল মাদানী প্রকাশনী]
এই বিষয়ে আবদুল্লাহ ইবনু আমর রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকেও হাদীস
বর্ণিত আছে। ইমাম আবূ ঈসা তিরমিযী (রহঃ) বলেনঃ আয়িশা রাদিয়াল্লাহু আনহা বর্ণিত এই হাদীসটি
হাসান। আলিমগণ এই হাদীস অনুসারে আমল গ্রহণ করেছেন। তাঁরা বলেনঃ কোন সাবালিকা মহিলা
যদি তার চুলের কিছু অংশ অনাবৃত রেখে সালাত আদায় করে, তবে তার সালাত হবে না।
ইমাম শাফিঈ-এর অভিমতও এ-ই। তিনি বলেনঃ শরীরের কিছু অংশ অনাবৃত রেখে কোন মহিলার সালাত
হবে না। তিনি আরও বলেনঃ বলা হয় সালাত আদায়ের সময় যদি কোন মহিলার পায়ের পিঠ খোলা থাকে, তবে তার সালাত
আদায় হয়ে যাবে।
এই হাদীসের ব্যাখ্যায় বলা হয়েছে :
বালেগা বা সাবালিকা অর্থাৎ- যে বয়সে পৌঁছলে মেয়েরা ঋতুবতী হয়
বা স্বপ্নদোষ হয় কিংবা শারী‘আহ্ পালনের যোগ্য হয় সে বয়সের মেয়ের সলাত (সালাত/নামায/নামাজ)
খিমার বা ওড়না ছাড়া বৈধ বা বিশুদ্ধ হবে না । যে জিনিস কোন জিনিসকে ঢেকে রাখে তাকেই
খিমার বলে। পরিভাষায় প্রত্যেক ঐ জিনিসকে খিমার বলে যা মাথাকে ঢেকে রাখে। অত্র হাদীসে
খিমার দ্বারা উদ্দেশ্য হচ্ছে ঐ বস্ত্ত যা দ্বারা মহিলারা তাদের মাথা এবং ঘাড় ঢেকে রাখে।
এ হাদীস দ্বারা প্রমাণিত হয় যে, নারীর মাথা ঢেকে
রাখতে হবে। নারীর জন্য সলাতরত অবস্থায় মাথা ঘাড় ঢেকে রাখা ওয়াজিব। এ হাদীসের দ্বারা
ঋতুবতী নারীর কথা বর্ণনার দ্বারা স্বাধীন ও দাসী নারীর মধ্যে কোন পার্থক্য করা হয়নি।
উভয়েই সমান। এ হাদীস দ্বারা প্রমাণিত হয় যে, সলাত বিশুদ্ধ হওয়ার জন্য শরীরের আকর্ষণীয় অংশ বা লজ্জাস্থান
ঢাকা শর্ত।
★ সু-প্রিয়
প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
১. কিছু মানুষের ধারণা, নামায অবস্থায় যদি কোনো মহিলার একটি চুল বের হয়ে থাকে তাহলেও
নামায হবে না। তাদের এ ধারণা ঠিক নয়।
নামাযে একটি দুইটি চুল বের হয়ে গেলে নামাযের কোনো ক্ষতি হবে
না। কেননা সতরের ক্ষেত্রে মহিলাদের মাথার সমস্ত চুল এক অঙ্গ হিসেবে গণ্য। সুতরাং মাথার
সমস্ত চুলের এক চতুর্থাংশ বা তার বেশি যদি তিনবার সুবহানা রাব্বিয়াল আযীম’ বলা পরিমাণ
বের হয়ে থাকে তাহলে নামায ফাসেদ হবে; অন্যথায় নয়।
,
উল্লেখ্য,
নামায পড়তে হবে সমস্ত মাথা ঢেকে পূর্ণ সতর্কতার সাথে; যেন চুলের কোনো
অংশ বের না হয়ে যায়। -ফাতাওয়া শামী ১/৪০৯; ফাতহুল কাদীর ১/২২৬)
★সুতরাং প্রশ্নে
উল্লেখিত ছুরতে নামাজ হয়ে যাবে ইনশাআল্লাহ।
২. সতর্কতা মূলক উক্ত নামাজ কাযা করে নিবেন।
৩. সাহু সিজদার কয়েকটি পদ্ধতি আছে। ক্ষেত্র বিশেষ হুকুম
আলাদা। সুতরাং সাহু সিজদার উত্তম পদ্ধতি
সম্পর্কে জানুন
- https://ifatwa.info/102614/