ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া
বারাকাতুহু
بسم الله الرحمن الرحيم
জবাব,
তালাক হচ্ছে স্বামীর অধিকার।
স্বামী তালাক দিলেই তালাক সংঘটিত হবে।
হাদীস শরীফে এসেছেঃ
নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের বাণী: “তালাক
তারই অধিকার যার রয়েছে সহবাস করার অধিকার” অর্থাৎ স্বামীর। (সুনানে ইবনে মাজাহ -২০৮১)
শরীয়তের বিধান অনুযায়ী মহিলা নিজের উপর কেবল তখনি তালাক পতিত করতে পারবে, যদি স্বামী তাকে তালাক দেবার অধিকার দিয়ে থাকে।
এটি নিকাহ নামার ১৮ নং
ধারাতে হ্যাঁ লেখার মাধ্যমেই হোক,বা পরবর্তীতে মৌখিক বা
লিখিত ভাবেই হোক।
সুতরাং স্বামী যদি স্ত্রীকে
তালাকের ক্ষমতা প্রদান করে,আর স্ত্রী স্বামী কর্তৃক
তালাকে তাভবিজের ক্ষমতাবলে লিখিত বা মৌখিকভাবে নিজের নফসের উপর তালাক দিয়ে দিলে সেটি
পতিত হয়ে যাবে।
শরহে বিকায়াহ গ্রন্থে
আছেঃ-
وفي
إختياري لا تصح نية الثلاث. بل تبين ان قالت اخترت نفسي. او أختار نفسي. .... ولو كرر اختاري ثلاثا فقالت اخترت اختيارة
أو اخترت الأولي او الوسطي. أو الأخري يقع ثلاث بلا نية. ولو قالت طلقت نفسي او
اخترت نفسي بتطليقة بانت بواحدة.
সারমর্মঃ-
যদি স্বামী বলে
"তুমি নিজেকে গ্রহন করো" তাহলে তিন তালাকের নিয়ত করা শুদ্ধ হবেনা। বরং স্ত্রী
এক তালাকের সাথে বায়েনাহ হবে,যদি স্ত্রী প্রতিত্তরে
বলে "আমি নিজেকে গ্রহন করেছি বা আমি নিজেকে গ্রহন করছি",,,,
আর যদি স্বামী "তুমি
নিজেকে গ্রহন করো" শব্দটি তিনবার পুনরাবৃত্তি করে,আর স্ত্রী উত্তরে বলে, "আমি গ্রহন করেছি গ্রহন করার মতো" অথবা বললো আমি প্রথমটি
বা মধ্যমটি বা শেষটি গ্রহন করেছি,তাহলে নিয়ত ব্যাতিত তিন
তালাক পতিত হবে।
আর যদি বলে যে "আমি
আমার নিজেকে তালাক প্রদান করিলাম"
অথবা বলে যে "আমি
আমার নিজেকে এক তালাকের সাথে গ্রহন করিলাম,তাহলে সে এক তালাকে বায়েনাহ
হয়ে যাবে। (শরহে বিকায়াহ. মাকতাতুল
ফাতাহ আরবি মতন ২/৮০)
আরো জানুনঃ
https://ifatwa.info/4368/
প্রিয় প্রশ্নকারী
দ্বীনী ভাই/বোন!
জ্বী না প্রশ্নেল্লিখিত
ছুরতে তালাক হবে না। উক্ত প্রশ্নটি ওয়াসওয়াসার কারণেই এসেছে। বিধায় ওয়াসওয়াসা থেকে বেঁচে থাকার আপ্রাণ চেষ্টা করতে হবে।