আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
62 views
in হালাল ও হারাম (Halal & Haram) by (23 points)
edited by
আসসালামু আলাইকুম প্রশ্ন টা আমার এক বান্ধবীর।তার নানা মারা গেছে এ জন্য গ্রামের কিছু মুরব্বি লোকদের দাওয়াত দিয়ে ছোট করে একটা অনুষ্ঠান করবে।তারা বলে এটা মারা যাওয়া উপলক্ষে না।কিন্তু  বিষয় টা ওইরকমই হয়ে যায়।মারা গেছে দেখেই ত দাওয়াত করা হইছে।তবে ৩ দিন, ৭ দিন এমন কোনো ডেট ফিক্সড করা হয় নাই।সবার সুবিধা অনুযায়ী একটা ডেট ঠিক করা হইছে।

১.এভাবে অনুষ্ঠান করা জায়েজ হবে কি?

২.এভাবে অনুষ্ঠান করলে মৃত মানুষটার গুনাহ হবে কিনা?

৩.আমার বান্ধবী কে অনেক জোর করা হচ্ছে সেই অনুষ্ঠানে যাওয়ার জন্য।সেখানে উপস্থিত হলে বা অনুষ্ঠানের খাবার খেলে তার কি গুনাহ হবে?

1 Answer

0 votes
by (58,500 points)

ওয়া আলাইকুমুস সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।

জবাবঃ

https://ifatwa.info/8895/ নং ফাতওয়ায় উল্লেখ রয়েছে যে,

ﺣﺪﺛﻨﺎ ﺇﺳﻤﺎﻋﻴﻞ ﻗﺎﻝ ﺣﺪﺛﻨﻲ ﻣﺎﻟﻚ ﻋﻦ ﻫﺸﺎﻡ ﺑﻦ ﻋﺮﻭﺓ ﻋﻦ ﺃﺑﻴﻪ ﻋﻦ ﻋﺎﺋﺸﺔ ﺭﺿﻲ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻨﻬﺎ ﺃﻥ ﺭﺟﻼ ﻗﺎﻝ ﻟﻠﻨﺒﻲ ﺻﻠﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭﺳﻠﻢ ﺇﻥ ﺃﻣﻲ ﺍﻓﺘﻠﺘﺖ ﻧﻔﺴﻬﺎ ﻭﺃﺭﺍﻫﺎ ﻟﻮ ﺗﻜﻠﻤﺖ ﺗﺼﺪﻗﺖ ﺃﻓﺄﺗﺼﺪﻕ ﻋﻨﻬﺎ ﻗﺎﻝ ﻧﻌﻢ ﺗﺼﺪﻕ ﻋﻨﻬﺎ-

তরজমাঃ হযরত আয়েশা রাঃ থেকে বর্ণিত, একব্যক্তি নবীজী সাঃ কে এসে বললঃআমার মা হঠাৎ মৃত্যুমুখে পতিত হয়েছেন, আমি মনে করি যদি তিনি কথা বলতেন, তাহলে তিনি সদকা করতেন, আমি তার পক্ষ থেকে কি সদকা করতে পারব?

নবীজী সাঃ তদুত্তরে বললেনঃ হ্যা পারবে। তুমি তার পক্ষ্য থেকে সদকা কর। (সহীহ বুখারী-২৬০৯)


উক্ত হাদীসে মায়ের পক্ষ্য থেকে সদকা করার কথা নবীজী সাঃ বলছেন। যদি সদকার সওয়াব মায়ের কাছে না পৌছত, নবীজী সাঃ কখনো সদকার করার পরামর্শ দিতেন না।


ইবনে নুজাইম রাহ এপিট-ওপিট আলোচনা করে আরও বলেনঃ-

ﻭﺃﻣﺎ ﻗﻮﻟﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﺍﻟﺴﻼﻡ : } ﻻ ﻳﺼﻮﻡ ﺃﺣﺪ ﻋﻦ ﺃﺣﺪ ، ﻭﻻ ﻳﺼﻠﻲ ﺃﺣﺪ ﻋﻦ ﺃﺣﺪ { ﻓﻬﻮ ﻓﻲ ﺣﻖ ﺍﻟﺨﺮﻭﺝ ﻋﻦ ﺍﻟﻌﻬﺪﺓ ﻻ ﻓﻲ ﺣﻖ ﺍﻟﺜﻮﺍﺏ ﻓﺈﻥ ﻣﻦ ﺻﺎﻡ ﺃﻭ ﺻﻠﻰ ﺃﻭ ﺗﺼﺪﻕ ﻭﺟﻌﻞ ﺛﻮﺍﺑﻪ ﻟﻐﻴﺮﻩ ﻣﻦ ﺍﻷﻣﻮﺍﺕ ﻭﺍﻷﺣﻴﺎﺀ ﺟﺎﺯ ﻭﻳﺼﻞ ﺛﻮﺍﺑﻬﺎ ﺇﻟﻴﻬﻢ ﻋﻨﺪ ﺃﻫﻞ ﺍﻟﺴﻨﺔ ﻭﺍﻟﺠﻤﺎﻋﺔ ﻛﺬﺍ ﻓﻲ ﺍﻟﺒﺪﺍﺋﻊ ﻭﺑﻬﺬﺍ ﻋﻠﻢ ﺃﻧﻪ ﻻ ﻓﺮﻕ ﺑﻴﻦ ﺃﻥ ﻳﻜﻮﻥ ﺍﻟﻤﺠﻌﻮﻝ ﻟﻪ ﻣﻴﺘﺎ ﺃﻭ ﺣﻴﺎ

তরজমাঃ নবীজী সাঃ এর ঐ হাদীস "কেউ কারো পক্ষ থেকে নামায/রোজা আদায় করতে পারবে না" এর অর্থ হচ্ছে কেউ কারো পক্ষ থেকে তার উপর আরোপিত ফরয/ওয়াজিব হুকুম- আহকাম আদায় করতে পারবে। বরং নিজ ফরয/ওয়াজিব নিজেই আদায় করতে হবে। অন্যের ফরয/ওয়াজিব আদায় করে তাকে দায় মুক্ত করানো যাবে না।

তবে নফল ইবাদতের সওয়াব জীবিত/মৃত যে কাউকে দেয়া জায়েয আছে এবং আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাতের মতে উক্ত সওয়াব প্রেরণকৃত ব্যক্তির কাছে গিয়ে পৌছে। (বাদায়ে সানায়ে) নফল ইবাদতের সওয়াব পৌছতে জীবিত/মৃতর কোন পার্থক্য নেই। (বাহরুর রায়েক,হজ্ব অধ্যায়;৩/৬৩)

বিস্তারিত জানুন- https://www.ifatwa.info/3565


সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!


১-২. যদি দিন তারিখ ঠিক না করে এবং জরুরী মনে না করে, মেজবানি বা গরীবদেরকে খাওয়ানোর আয়োজন করা হয়, তাহলে এটার অনুমোদন রয়েছে এবং এর দ্বারা মৃত ব্যক্তির নিকট সওয়াব পৌছবে ইনশাআল্লাহ।

৩. কিন্তু যদি প্রচলন অনুযায়ী দিন তারিখ ঠিক করে মেজবানি বা খাওয়ানোর আয়োজন করা হয়, তাহলে সেটা বিদ'আত। করাও বিদ'আত এবং তাতে শরীক হওয়াও বিদ'আত এবং জায়েজ নেই।

যেহেতু আমাদের দেশে সাধারণত প্রচলন অনুযায়ীই এগুলো করা হয়, তাই এগুলো তে শরীক হওয়া যাবে না।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী আব্দুল ওয়াহিদ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...