আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
70 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (8 points)
Assalamualaikum wa rahmatullah
একজন বোন স্বপ্নে দেখে যে সে ঘুমাচ্ছে এবং তার পাশে তার ছোট ভাই ও তার মা ঘুমানোর কথা । কিন্তু তার মা তার ভাইকে সরিয়ে ঐখানে একজন নন মাহরামকে শুতে দেন । একপর্যায়ে স্বপ্নের মধ্যেই ওই বোন ফজরের সালাতের একটু আগে উঠে যান এবং তার পাশে নন মাহরাম পুরুষকে মুখে দুই হাত দিয়ে ঢেকে শুয়ে থাকতে দেখেন । তিনি তখন ভাবছিলেন যে উনি এখানে কিভাবে আসলেন , মুখ ঢেকে রাখার কি দরকার। কিন্তু বোনটি বুঝতে পারছিলেন যে ওই পুরুষ লজ্জা পাচ্ছে উনার পাশে শুয়ে আছে জন্য । কিন্তু যতক্ষন ওই পুরুষের সঙ্গে উনি ছিলেন ততক্ষণ ওই বোন বুকের মধ্যে এত শান্তি , সুকুন অনুভব করছিলেন যেটা ভাষায় প্রকাশ করা সম্ভব না । তো এই জন্য ওই বোন আবার ওই পুরুষের সাথেই শুয়ে পড়েন ফজরের ওয়াক্ত হয়নি বলে। কিন্তু ওই স্বপ্নের মধ্যেই বোনটির ফজর কাজা হয়ে যায় এবং এটা নিয়ে উনার খুবই মন খারাপ হয় , আর উনার রাতের ঘটনা নিয়েও উনি অনেক বিষন্ন হয়ে পড়েন যে উনার পাশে নন মাহরাম পুরুষ শুয়ে ছিলেন। তারপর ঐ বোন স্বপ্নের মধ্যেই উনার নানু বাড়িতে চলে যান আর পুরুষ ব্যক্তি তার নিজ সহপাঠীদের কাছে ফিরে যান।
এই স্বপ্নের তদবির জানতে চাচ্ছি ।

উল্লেখ্য ওই বোন যথাসাধ্য চেষ্টা করেন দ্বীন মেনে চলার , পর্দা মেইনটেইন করার , নন মাহরাম দের সাথে প্রয়োজন ছাড়া কথা বলেন না। কিন্তু যাকে উনি তার পাশে শুয়ে থাকতে দেখেছেন ওই পুরুষ সম্পর্কে আজ পর্যন্ত কোনো ভালো কথা শুনা যায় নি ,ওই পুরুষ নারীদের সাথে মিশে , লুকিয়ে তাদের ছবি তুলে , আরো অনেক কিছুই করে যা হালাল নয়।

1 Answer

0 votes
by (565,890 points)
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم

ইসলামী দৃষ্টিতে স্বপ্ন তিন প্রকার। 
,
১. যা আল্লাহর পক্ষ থেকে বান্দাহকে দেখানো হয় যা কল্যানকর হয়।

২. শয়তানের পক্ষ হতে দেখানো হয় যাতে মানুষ খারাপ, মন্দ ভয়ংকর কিছু দেখে থাকে।

তবে শয়তান স্বপ্ন দেখানোর দ্বারা মানুষের কোন ক্ষতি করতে পারেনা।
,
 ভয়ংকর স্বপ্ন দেখলে দুশ্চিন্তার কোন কারন নেই। শয়তান মানুষকে দুশ্চিন্তায় ফেলার জন্যই এমন সব আজব আজব জিনিস দেখায়। এমনটা দেখলে ঘুম থেকে জেগে বাম দিকে থুথু ফেলে আস্তাগফিরুল্লাহ বলতে হয়। 

৩. মানুষের কল্পনা। অর্থাৎ মানুষ যা কল্পনা করে স্বপ্নে তা দেখতে পায়। 
,

হাদীস শরীফে এসেছে  

خَالِدُ بْنُ مَخْلَدٍ حَدَّثَنَا سُلَيْمَانُ عَنْ يَحْيَى بْنِ سَعِيدٍ قَالَ سَمِعْتُ أَبَا سَلَمَةَ قَالَ سَمِعْتُ أَبَا قَتَادَةَ يَقُوْلُ سَمِعْتُ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلميَقُوْلُ الرُّؤْيَا مِنْ اللهِ وَالْحُلْمُ مِنْ الشَّيْطَانِ فَإِذَا رَأٰى أَحَدُكُمْ شَيْئًا يَكْرَهُه“فَلْيَنْفِثْ حِينَ يَسْتَيْقِظُ ثَلاَثَ مَرَّاتٍ وَيَتَعَوَّذْ مِنْ شَرِّهَا فَإِنَّهَا لاَ تَضُرُّه“وَقَالَ أَبُو سَلَمَةَ وَإِنْ كُنْتُ لأَرَى الرُّؤْيَا أَثْقَلَ عَلَيَّ مِنَ الْجَبَلِ فَمَا هُوَ إِلاَّ أَنْ سَمِعْتُ هٰذَا الْحَدِيثَ فَمَا أُبَالِيهَا.

আবূ ক্বাতাদাহ হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -কে বলতে শুনেছিঃ ভাল স্বপ্ন আল্লাহর পক্ষ থেকে হয়, আর মন্দ স্বপ্ন হয় শয়তানের তরফ থেকে। সুতরাং তোমাদের কেউ যদি এমন কিছু স্বপ্ন দেখে যা তার কাছে খারাপ লাগে, তা হলে সে যখন ঘুম থেকে জেগে ওঠে তখন সে যেন তিনবার থুথু ফেলে এবং এর ক্ষতি থেকে আশ্রয় চায়। কেননা, তা হলে এটা তার কোন ক্ষতি করতে পারবে না। 

আবূ সালামাহ বলেনঃ আমি যখন এমন স্বপ্ন দেখি যা আমার কাছে পাহাড়ের চেয়ে ভারি মনে হয়, তখন এ হাদীস শোনার ফলে আমি তার কোন পরোয়াই করি না। [বুখারী ৫৭৪৭ মুসলিম পর্ব ৪২/হাঃ ২২৬১, আহমাদ ২২৭০৭] 

★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন,
আপনি যদি কোনো গুনাহের মধ্যে লিপ্ত হয়ে থাকেন,সেক্ষেত্রে দ্রুত ইস্তেগফার পাঠ করে তাহা হতে ফিরে আসতে হবে।

গায়রে মাহরাম আত্মীয় স্বজন দের সামনে যাওয়া,তাদের সাথে হাসি ঠাট্রা করা থেকে বিরত থাকবেন,পূর্ণ শরীয়তের উপর চলবেন।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (8 points)
উস্তাদ আপুর মা ও এরকম স্বপ্ন দেখেছে আপুকে নিয়ে । আমার জানামতে আপু যথেষ্ট চেষ্টা করেন মাহরাম মেইনটেইন করার এখন পর্যন্ত ওই গায়রে মাহরাম যাকে স্বপ্নে দেখেছেন তার সাথে কথা বলেননি । ওই গায়রে মাহরাম আপুর কলেজে পরে আপুর বাচম্যাট।
by (565,890 points)
এক্ষেত্রে উক্ত বোনের মা প্রশ্নে উল্লেখিত পরামর্শ মোতাবেক চলবেন।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...