ওয়া আলাইকুম আসসালাম।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
পূর্বে অনেক ফাতাওয়াতে আমরা উল্লেখ করেছি যে,মাতাপিতার সম্মতি ব্যতীত কখনো কোনো মুসলমান যুবক যুবতীর জন্য কোর্ট মেরেজ করা সমীচীন হবে না,মঙ্গলজনক হবে না।মাতাপিতাকে না জানিয়ে বালিগ ছেলে মেয়ের বিবাহ নিয়ে উলামাদের মধ্যে মতবিরোধ রয়েছে।উনেক উলামায়ে কেরাম অভিভাবকহীন বিয়েকে বাতিল বলে মনে করেন।হানাফি মাযহাব মতে কু'ফু হিসেবে ছেলেটি মেয়ের সমকক্ষ বা বেশী মর্যাদার অধীকারী হলেই কেবল বিয়ে শুদ্ধ হয়ে যাবে।নতুবা মেয়ের অভিভাবকের অনুমতির উপর বিয়ে মওকুফ থাকবে।জানুন-
https://www.ifatwa.info/994, কুফু সম্পর্কে জানতে
https://www.ifatwa.info/780
প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
মাতাপিতাকে বিয়ের জরুরত বুঝাবে।মাতাপিতার পরামর্শে বিয়ে করবে।
এক্ষেত্রে দ্বীনদারিত্বকে প্রদাণ্য দেয়াই দুনিয়া ও আখেরাতে কামিয়াবি অর্জনের উত্তম মাধ্যম হবে।
হাদীসে বিয়ের জন্য দ্বীনদ্বার মহিলাকে খুজতে পরামর্শ দেয়া হয়েছে।যেমন,রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেনঃ
عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ عَنْ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ : ( تُنْكَحُ الْمَرْأَةُ لِأَرْبَعٍ : لِمَالِهَا ، وَلِحَسَبِهَا ، وَلِجَمَالِهَا ، وَلِدِينِهَا ، فَاظْفَرْ بِذَاتِ الدِّينِ تَرِبَتْ يَدَاكَ)
চারটি জিনিস দেখে মহিলাকে সাধারণত বিয়ে করা হয়,(১)সম্পদ(২)বংশ(৩)সুন্দর্য্য (৪)দ্বীনদারী।
কিন্তু তুমি দ্বীনদারীত্বকে অগ্রাধিকার দাও।
{যদি তা না করো তবে তুমি ক্ষতিগ্রস্ত হবে(تَرِبَتْ يَدَاكَ এর অনেক ব্যাখার একটি ব্যাখা)}(সহীহ বুখারী-৪৮০২সহীহ মুসলিম-১৪৬৬)এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন-
https://www.ifatwa.info/18
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
প্রথমে উপরোক্ত মূলনীতি গুলো লক্ষণীয়।
আপনার প্রশ্নের ধারাবাহিক জবাব ইতিমধ্যেই দেয়া হচ্ছে....
(১+২)
বিয়ের জন্য পাত্র-পাত্রী উভয়ে এক মজলিসে থাকবেন।সেখানে দুজন পুরুষ সাক্ষী অথবা একজন পুরুষ সাক্ষী ও দুজন মহিলা সাক্ষী উপস্থিত থাকবে।সাক্ষীদয়ের সমানে পাত্র-পাত্রীর যে কেউ অন্যকে উদ্দেশ্য করে বলবেন,
"আমি তোমাকে এত টাকা মহরের বিনিময়ে বিয়ে করতে চাচ্ছি"
অপরজন বলবে,কবুল বা এ জাতীয় কোনো শব্দ।
তখন দুজন সাক্ষী উভয়ের ইজাব কবুল শুনবে। ব্যস বিয়ে হয়ে যাবে।
বিয়ের পূর্বে একটি খুতবা পাঠ সুন্নত।খুতাবাতে আল্লাহর প্রশংসা,রাসূলুল্লাহ সাঃ এর উপর দুরুদ,এবং বিয়ে সংক্রান্ত কুরআনের আয়াত ও হাদীস থাকবে।যেহতু খুতবাহ সুন্নত,তাই খুতবাহ না পড়লেও বিয়ে হয়ে যাবে।
(৩)
ইসলামে বিয়ের ক্ষেত্রে কাজীর অবস্থান শূণ্যর কোটায়।কাজির কোনো প্রয়োজন নেই।কেননা প্রস্তাব ছেলে যেভাবে দিতে পারে,মেয়েও বিয়ের প্রস্তাব দিতে পারে।
ছেলেটি সাক্ষীর সামনে মেয়েকে উদ্দেশ্য করে বলবে,
"আমি তোমাকে এত টাকার বিনিময়ে বিয়ে করতে চাই"
আর মেয়ে বললে, বলবে,
আমি তোমার নিকট এত টাকা মহরের বিনিময়ে বিয়ে বসতে চাই।