আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
136 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (2 points)
আসসালামু আলাইকুম,
পারিবারিক কলহের কারনে রাগের মাথায় আমার স্ত্রীকে মাঝে মাঝে বলতাম তালাক দিয়ে দিবো বা ছেড়ে দিবো। কিন্তু তালাক দিলাম বা তালাক দিছি এমন শব্দ কখনো বলিনি। পারিবারিক কলহ ধীরে ধীরে আরো বাড়তে থাকে। এক পর্যায়ে আমি ঢাকায় চলে আসি এবং কোর্টের মাধ্যমে এফিডেভিট করে তালাকের নোটিশ পাঠাই এবং তার সাথে যোগাযোগ বন্ধ করে দেই।
নোটিশ পাঠানোর পরে চার মাস অতিক্রম হয়ে যায়, কিন্তু তালাকের নোটিশ তার কাছে এখনো পৌছায়নি। সে বা তার পরিবারের কেহই তালাকের নোটিশের ব্যাপারে এখনো কিছুই জানে না।

এমন অবস্থায় শরীয়তের দৃষ্টিতে কি তালাক হয়ে গেছে নাকি আল্লাহর কাছে তওবা করে ফিরে যাওয়ার উপায় আছে।

বিঃ দ্রঃ কোর্টের মাধ্যমে তালাক বাতিল করার এখনো সুযোগ রয়েছে।
by (2 points)
edited by
স্ট্যাম্প বা এফিডেভিটে তিন তালাক উল্লেক করা আছে, কিন্তুু তালাকের নোটিশে তিন তালাক উল্লেখ নাই, শুধু তালাক ই বাইন  লেখা আছে। এফেডেভিট তো তার কাছে পাঠানো হয় নাই, শুধু নোটিশ পাঠানো হয়েছে।  মুখে কোনো তালাক দিলাম এমন বলা হয় নাই। এবং নোটিশ তার কাছে পৌছায় নাই  এবং নোটিশের ব্যাপারে সে কিছুই জানে না, তবুও কি তালাক পতিত হয়ে গেছে ? এফিডেভিট এবং তালাকের নোটিশের ছবি নিচে দেয়া হলো।
imageimageimageimage

1 Answer

0 votes
by (573,960 points)
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم 

তালাক এটি খুবই মারাত্মক একটি শব্দ। নিকৃষ্ট হালাল বলা হয়েছে হাদীসে। 

হাদীস শরীফে এসেছেঃ 

حَدَّثَنَا كَثِيرُ بْنُ عُبَيْدٍ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ خَالِدٍ، عَنْ مُعَرِّفِ بْنِ وَاصِلٍ، عَنْ مُحَارِبِ بْنِ دِثَارٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ " أَبْغَضُ الْحَلاَلِ إِلَى اللَّهِ تَعَالَى الطَّلاَقُ " .

কাসীর  ইবন  উবায়দ .......... ইবন  উমার  (রাঃ)  নবী  করীম  সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম  হতে  বর্ণনা  করেছেন যে,  আল্লাহ্  তা‘আলার  নিকট  নিকৃষ্টতম  হালাল বস্তু  হল  তালাক।

(আবূ দাউদ ২১৭৮, ইরওয়া ২০৪০, যইফ আবু দাউদ ৩৭৩-৩৭৪, আর-রাদ্দু আলাল বালীক ১১৩।) 

এ শব্দটি নিয়ত থাকুক বা না থাকুক রাগে বলুক আর এমনিতেই বলুক স্ত্রীকে উদ্দেশ্য নিয়ে মুখ দিয়ে এ শব্দ বের হলেই তালাক পতিত হয়ে যায়। 

হাদীস শরীফে এসেছেঃ- 

عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: ” ثَلَاثٌ جِدُّهُنَّ جِدٌّ وَهَزْلُهُنَّ جِدٌّ: الطَّلَاقُ، وَالنِّكَاحُ، وَالرَّجْعَةُ “

হযরত আবূ হুরায়রা রাঃ থেকে বর্ণিত। রাসূল সাঃ ইরশাদ করেছেন, তিনি বিষয় এমন যে, ইচ্ছেকৃত করলে ইচ্ছেকৃত এবং ঠাট্টা করে করলেও ইচ্ছেকৃত বলে ধর্তব্য হয়। তা হল, তালাক, বিবাহ এবং তালাকে রেজয়ীপ্রাপ্তা স্ত্রীকে ফিরিয়ে নিয়ে আসা। {সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদীস নং-২০৩৯, সুনানে আবু দাউদ, হাদীস নং-২১৯৪}

★তালাক পতিত হওয়ার ক্ষেত্রে স্ত্রীকে শুনিয়ে দেওয়া জরুরি নয়।
মুখ থেকে উচ্চারণ হয়ে গেলেই তালাক পতিত হয়ে৷ যায়।
(এক্ষেত্রে ভুলে/ঠাট্রা মূলক মুখ দিয়ে উচ্চারন হলেও তালাক হবে।)
(ফাতাওয়ায়ে রশিদিয়্যাহ ৪৭৭
ফাতাওয়ায়ে দারুল উলুম ৯/৪২
আযিযুল ফাতওয়া ১/২৫২)
,   
أما رکن الطلاق فہو ہذہ اللفظۃ الصادرۃ من الزوج۔ (الفتاویٰ التاتارخانیۃ ۴؍۳۷۷ رقم: ۶۴۷۱ زکریا)
সারমর্মঃ
তালাকের রুকন হলো এই শব্দ গুলো স্বামী থেকে বের হওয়া।

★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই,   
প্রশ্নের বিবরন মতে এক্ষেত্রে তালাক পতিত হয়ে গিয়েছে।
শরীয়তের বিধান অনুপাতে এক্ষেত্রে কোনোক্রমেই তালাক বাতিল হবেনা।

তওবা বা অন্য কোনো কিছুর দ্বারা তালাক বাতিল হয়না।

সুতরাং আপনি যে কোর্টের মাধ্যমে এফিডেভিট করে তালাকের নোটিশ পাঠিয়েছিলেন,সেই নোটিশে কয় তালাক লেখা ছিলো?

যদি ৩ তালাক লেখা থাকে,সেক্ষেত্রে শরয়ী হালালাহ ব্যাতিত ফিরে যাওয়ার কোনো সুযোগ নেই।

আর যদি ১/২ তালাক বা কোনো সংখ্যা লেখা না থাকে,সেক্ষেত্রে শরীয়াহ এর নীতিমালার আলোকে স্ত্রীকে ফিরিয়ে নেয়ার সুযোগ রয়েছে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (2 points)
edited by
স্ট্যাম্প বা এফিডেভিটে তিন তালাক উল্লেক করা আছে, কিন্তুু তালাকের নোটিশে তিন তালাক উল্লেখ নাই, শুধু তালাক ই বাইন  লেখা আছে। এফেডেভিট তো তার কাছে পাঠানো হয় নাই, শুধু নোটিশ পাঠানো হয়েছে।  মুখে কোনো তালাক দিলাম এমন বলা হয় নাই। এবং নোটিশ তার কাছে পৌছায় নাই  এবং নোটিশের ব্যাপারে সে কিছুই জানে না, তবুও কি তালাক পতিত হয়ে গেছে ? এফিডেভিট এবং তালাকের নোটিশের ছবি নিচে দেয়া হলো।
imageimageimageimage
by
ভাই নোটিশে আপনার অনুমতি নিয়ে কি এক তালাকে বায়েন লেখা হয়েছিলো?  আর এভিডেভিডে যে এক তালাক, দুই তালাক, তিন তালাক লেখা এ ব্যাপারে কি আপনি অবগত ছিলেন?  নোটিশ এবং এভিডেভিডের পার্থক্যের ব্যাপারে অবগত হয়েই কি আপনি নোটিশ এবং এভিডেভিড করেছেন? তাহলে নোটিশ এবং এভিডেভিডে দুরকম কেন হলো? আপনার নিয়ত কী ছিল এক্ষেত্রে?  

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...