ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
(১)
যদি কেউ দাড়াতে পারেন,তবে রুকু সেজদা করতে পারেন না,তবে উনি দাড়িয়েই নামায শুরু করবেন।অতঃপর দাড়িয়েই ইশারায় রুকু-সেজদা ও বৈঠক করে নামাযকে সমাপ্ত করবেন।এটা ইমাম যুফার রাহ সহ অন্যান্য তিনো মাযহাবের অভিমত।দারুল উলূম করাছির সর্বশেষ সিদ্ধান্ত এটাই।তবে যদি কেউ দাড়িয়ে ইশারা করার পরিবর্তে বসে বসে ইশারা করে নামায পড়ে ফেলে তাহলে তার নামাযও ফাসেদ হবে না।বরং তার নামাযও হবে।যদিও সেটা অনুত্তম হিসেবে বিবেচিত হবে।
যদি কোনো ব্যক্তি রুকু সেজদায় যেতে পারে,কিন্তু রুকু সেজদা থেকে উঠতে না পারে।তাহলে এমন ব্যক্তির জন্য প্রথম রাকাত দাড়িয়ে পড়ার পর পরবর্তী রা'কাত সমূহ বসে পড়ার অনুমোদন রয়েছে।
অক্ষম ব্যক্তিদের জন্য চেয়ারে বসে নামায পড়ার চেয়ে মাঠিতে বসে নামায পড়াই শ্রেয়।
হযরত মাওলানা মুহাম্মাদ তাকী উসমানী দামাত বারকাতুহুম তার সদ্য লেখা এ ফতওয়ায় চেয়ারে বসেনামায আদায় করার ক্ষতির দিকগুলো আলোচনাকরতে গিয়ে বলেন, ‘জমিনে বসে নামায আদায় করার শক্তি থাকা সত্ত্বেও চেয়ারে বসার যে প্রচলন দেখা যায় তাতে বিভিন্ন দিক থেকে আপত্তি রয়েছে।
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
(১) বুকে সমস্যা থাকার কারণে নিচু হয়ে সিজদাহ দিতে সমস্যা হলে এক্ষেত্রে চেয়ারে বসে নামায পড়াই শ্রেয়।
(২) চেয়ারে বসে সিজদাহ দেয়ার সময চেয়ারের সম উচ্চতা বিশিষ্ট টেবিলে সিজদা দেয়ার কোনো নিয়ম নাই।
(৩) বিছানা যদি এমন নরম হয় যে, সেখানে দাড়ানো সম্ভব হয় না, এবং কপাল ঢেকালে শক্ততা অনুভব হয় না, তাহলে তখন নামায হবে না। নতুবা নামায আদায় হবে।
(৪) মাকে ১০ টাকা দেয়ার পর ২০ টাকা নেয়া উসূল করা সেটাও সুদ। তবে মা ইচ্ছাকরে দিলে সেটা সুদ হবে না।
(৫)
(৬) পেনশনের টাকা ব্যাংকে ডিপিএস করে রাখা সুদ।
(৭) একসাথে বই অর্ডার করলে একজনের কম টাকার আরেকজনের বেশি টাকার বই ; এক্ষেত্রে ডেলিভারি চার্জ অর্ধেক অর্ধেক দিলে হবে। কেননা বই কম হোক বা বেশী ডেলিভারি চার্জ সমান।
কোনো গিফট দিলে সেটা সম্পর্কে উক্ত অনলাইন শপকে জিজ্ঞাসা করতে হবে? তারা কি জন্য দিয়েছে। যদি বই বেশী হওয়ার কারণে দেয়,তাহলে যার বই বেশী সে বেশী পাবে।