আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
77 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (53 points)
১. একজনের বুকে সমস্যা থাকার কারণে সিজদাহ দিতে সমস্যা হয় নিচু হয়ে। এক্ষেত্রে বালিশ দিয়ে উচুঁ করে নেয়া যাবে?

২.  *অন্য একজনের পায়ে ব্যথার কারণে পা ভাজ করে বসতে অসুবিধা হয়। তাই রুকুর পর চেয়ারে বসে সিজদাহ দেয় চেয়ারের সম উচ্চতা বিশিষ্ট টেবিলে। এইভাবে সিজদাহ আদায় হবে?
       **রুকুর পর চেয়ারে বসে সিজদাহ দেয় চেয়ারের থেকে বেশি উচ্চতা বিশিষ্ট টেবিলে।এইভাবে সিজদাহ আদায় হবে?

৩. অন্য একজনের পায়ে ব্যথার কারণে শক্ত জায়গায় নামাজ পড়তে পারে না। বিছানায় সম্পূর্ণ নামাজ আদায় করে। এইভাবে নামাজ আদায় হবে?

৪. একটা মেয়ের নিজস্ব কোনো ইনকাম নাই। ঈদের টাকা,কেউ টাকা দিলে সেই টাকা জমানো থাকে। তার মা বাইরে যাওয়ার সময় খুচরা টাকা না থাকায় মেয়ের কাছ থেকে টাকা নেয়। এখন ফেরত নেয়ার সময় মেয়ে যদি একটু বেশি টাকা যেমন ১০/- পাবে কিন্তু সে ২০/- নিতে চাচ্ছে। তবে কি সেটা সুদ হবে?

৫.গ্রামে প্রচলিত আছে জমি বন্ধক রাখলে যার কাছে বন্ধক রাখা হয় সে জমি  চাষ করে টাকা নেয়। এটা তো সুদের অন্তর্ভুক্ত। এটা থেকে বাঁচার উপায় কি?

৬. রিটায়ার্ড পারসন যে এককালীন টাকা পায় সেই টাকা ব্যাংক এ যা রাখে। সেখান থেকে মাসে মাসে টাকা আসে সেটা দিয়ে জীবন চালায়। এটা কি জায়েজ?

৭. একসাথে বই অর্ডার করলে একজনের কম টাকার আরেকজনের বেশি টাকার বই ; এক্ষেত্রে ডেলিভারি চার্জ অর্ধেক অর্ধেক দিলে সেটা কি জায়েজ?

কোনো গিফট দিলে সেটা কি অর্ধেক অর্ধেক নিতে হবে নাকি যার বেশি টাকার অর্ডার সে বেশি নিতে পারবে?

1 Answer

0 votes
by (597,330 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
(১)
যদি কেউ দাড়াতে পারেন,তবে রুকু সেজদা করতে পারেন না,তবে উনি দাড়িয়েই নামায শুরু করবেন।অতঃপর দাড়িয়েই ইশারায় রুকু-সেজদা ও বৈঠক করে নামাযকে সমাপ্ত করবেন।এটা ইমাম যুফার রাহ সহ অন্যান্য তিনো মাযহাবের অভিমত।দারুল উলূম করাছির সর্বশেষ সিদ্ধান্ত এটাই।তবে যদি কেউ দাড়িয়ে ইশারা করার পরিবর্তে বসে বসে ইশারা করে নামায পড়ে ফেলে তাহলে তার নামাযও ফাসেদ হবে না।বরং তার নামাযও হবে।যদিও সেটা অনুত্তম হিসেবে বিবেচিত হবে।

যদি কোনো ব্যক্তি রুকু সেজদায় যেতে পারে,কিন্তু রুকু সেজদা থেকে উঠতে না পারে।তাহলে এমন ব্যক্তির জন্য প্রথম রাকাত দাড়িয়ে পড়ার পর পরবর্তী রা'কাত সমূহ বসে পড়ার অনুমোদন রয়েছে।

অক্ষম ব্যক্তিদের জন্য চেয়ারে বসে নামায পড়ার চেয়ে মাঠিতে বসে নামায পড়াই শ্রেয়।
হযরত মাওলানা মুহাম্মাদ তাকী উসমানী দামাত বারকাতুহুম তার সদ্য লেখা এ ফতওয়ায় চেয়ারে বসেনামায আদায় করার ক্ষতির দিকগুলো আলোচনাকরতে গিয়ে বলেন, ‘জমিনে বসে নামায আদায় করার শক্তি থাকা সত্ত্বেও চেয়ারে বসার যে প্রচলন দেখা যায় তাতে বিভিন্ন দিক থেকে আপত্তি রয়েছে।
এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/10313

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
(১)  বুকে সমস্যা থাকার কারণে নিচু হয়ে সিজদাহ দিতে সমস্যা হলে এক্ষেত্রে চেয়ারে বসে নামায পড়াই শ্রেয়। 

(২) চেয়ারে বসে সিজদাহ দেয়ার সময চেয়ারের সম উচ্চতা বিশিষ্ট টেবিলে সিজদা দেয়ার কোনো নিয়ম নাই। 

(৩)  বিছানা যদি এমন নরম হয় যে,  সেখানে দাড়ানো সম্ভব হয় না, এবং কপাল ঢেকালে শক্ততা অনুভব হয় না, তাহলে তখন নামায হবে না।  নতুবা নামায আদায় হবে।

(৪) মাকে ১০ টাকা দেয়ার পর ২০ টাকা নেয়া উসূল করা সেটাও সুদ। তবে মা ইচ্ছাকরে দিলে সেটা সুদ হবে না।

(৫) 
এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/4958

(৬) পেনশনের টাকা ব্যাংকে ডিপিএস করে রাখা সুদ। 

(৭) একসাথে বই অর্ডার করলে একজনের কম টাকার আরেকজনের বেশি টাকার বই ; এক্ষেত্রে ডেলিভারি চার্জ অর্ধেক অর্ধেক দিলে হবে। কেননা বই কম হোক বা বেশী ডেলিভারি চার্জ সমান।

কোনো গিফট দিলে সেটা সম্পর্কে উক্ত অনলাইন শপকে জিজ্ঞাসা করতে হবে? তারা কি জন্য দিয়েছে। যদি বই বেশী হওয়ার কারণে দেয়,তাহলে যার বই বেশী সে বেশী পাবে। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...