আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
88 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (4 points)
edited by
السلام عليكم ورحمة الله وبركاته

১) নামাজে সাহু সিজদাহ একটা দিয়েছি কি না দুইটা মনে নেই। তাই আবার ও দুই সাহু সিজদাহ দিয়েছি এবং তারপর দুইদিকে সালাম ফিরিয়েছি। নামাজ হবে?

২) আজ আছরের ফরজ নামাজ শেষ করেছি ৬:৬ এ। আর মুসলিম বাংলা এপে সূর্যাস্তকালীন সময় ও দেখায় ৬ টা ৬ থেকে শুরু। আমার নামাজ হয়েছে

৩) কাযা ফরজ নামাজ তো নিষিদ্ধ ৩ সময় বাদ দিয়ে সারাদিনে যেকোনো সময় পড়া যাবে তাই না? আছর আর ফজরের নামাজের পরেও?

৪) আছরের নিষিদ্ধ সময়ে কি কাযা নামাজ পড়া যাবে?

৫) নামাজে তাড়াহুড়ো তে তাশাহুদ না পড়েই (পড়েছি কি না সন্দেহ) যদি ডান কাধের দিকে মুখ করি,তখন ও সালাম দিইনি। সালাম না দেওয়া অবস্থাতেই তাশাহুদ পড়েছি কিনা সন্দেহ হয়। কিন্তু তাশাহুদ আর না পড়েই দুই দিকে সালাম ফিরিয়ে দুই টি সাহু সিজদাহ দিয়ে নামাজ শেষ করি,নামাজ হবে?

1 Answer

0 votes
by (597,330 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
(১) 
নামাজে সাহু সিজদাহ একটা দেওয়া হয়েছে কি না?সন্দেহ হওয়ায় আবারও দুইটি সাহু সিজদাহ দেওয়া হলে, অতঃপর দুইদিকে সালাম ফিরানো হলে নামাযে কোনো সমস্যা হবে না।


(২)
فإذا غربت الشمس في أثناء الصلاة لم يفسد العصر؛ لأنه ما بعد الغروب كامل كما دل فيه لأن ما وجب ناقصا يتادى كاملا بطريق الأولى
যদি আছরের নামাযের সময় সূর্যাস্ত হয়ে যায়,তাহলে ঐ আছরের নামায ফাসিদ হবে না।কেননা সূর্যাস্তর পর সময়টা কামিল(ত্রুটিহীন)।যেহেতু নামায শুরু করার পূর্ব মূহুর্তটা নামায ফরয হওয়ার সবব বা কারণ।তাই বলা যায় তার উপর নাক্বিসভাবে তথা ত্রুটিপূর্ণ ওয়াক্তে বা অবস্থায় নামায ফরয হয়েছে।আর যে নামায ত্রুটিপূর্ণ অবস্থায় ফরয হয়েছিলো এবং শুরুও হয়েছিলো,সে নামায কামিল ওয়াক্ত তথা ত্রুটিহীন অবস্থায় উত্তমভাবে আদায় হবে।(বেনায়া শরহে হেদায়া-২/২৩-শামেলা)

সূর্যাস্তের সময় ঐ দিনের আছরের নামায হবে। (ফাতাওয়ায়ে দারুল উলূম-২/৩৫;)( শেষ)এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-https://www.ifatwa.info/471

(৩)
কাযা ফরজ নামাজ নিষিদ্ধ ৩ সময় বাদ দিয়ে সারাদিনের যেকোনো সময় পড়া যাবে। সুতরাং আছর এবং ফজরের নামাজের পরেও কা'যা নামায পড়া যাবে।

(৪) আছরের নিষিদ্ধ সময়েও কাযা নামাজ পড়া যাবে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...