ওয়া আলাইকুমুস সালাম ওয়া
রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ
সালাতের মাকরূহ সমূহ:
□ সালাতরত অবস্থায় কাপড় বা শরীর নিয়ে খেলা করা মাকরূহ, যদি তা আমলে কাসীর না হয় আর আমলে কাসীর হলে সালাত নষ্ট হয়ে যাবে।
□ সিজদার স্থান থেকে কংকর বা পাথরকণা সরানো (মাকরূহ) অবশ্য সিজদা করা অসম্ভব হলে এক-দুইবার কংকর সরানোর অবকাশ আছে।
□ আঙ্গুল সমূহকে মলা বা টেনে ফুটানো।
□ বস্ত্র, শরীর অথবা দাঁড়ির সাথে খেলা করা।
□ কোমরে হাত রাখা মাকরূহ।
□ ডানে-বামে মুখ ফিরানোর দ্বারা যদি সিনা কেবলার দিক থেকে ফিরে
যায় তাহলে সালাত নষ্ট হয়ে যাবে। আর যদি সিনা কেবলা দিক থেকে না ফিরে, তাহলে সালাত নষ্ট হবে না; অবশ্য সালাত মাকরূহ হবে।
□ ওজর ছাড়াই উভয় হাটু খাড়া করে হাত মাটিতে রেখে নিতম্ব ও পায়ের
ওপর কুকুরের ন্যায় বসা।
□ সিজদায় উভয় বাহুকে (পুরুষের জন্য) মাটিতে বিছিয়ে দেয়া।
□ হাতের ইশারায় সালামের উত্তর দেয়া।
□ ফরয সালাতে বিনা ওজরে আসন করে বসা।
□ মাটি লেগে যাওয়ার ভয়ে কাপড় হেফাযত করা।
□ সদলে ছাওব করা অর্থাৎ কাপড় কাঁধে রেখে তার উভয় প্রান্ত একত্র না করে ঝুলিয়ে দেয়া।
□ ইচ্ছাকৃত হাই তোলা। হাই ও হাঁচি যথাসম্ভব প্রতিহত করবে। না পারলে সমস্যা নেই।
□ শরীরের অলসতা দূর করার জন্য মোচড়ানো।
□ চোখ বন্ধ রাখা। অথচ দৃষ্টি সিজদার স্থানে রাখা উচিৎ।
□ চুল মাথার ওপর ভাজ করে গিরা দিয়ে সালাত পড়া। মাথায় চুল থাকলে সালাতের মধ্যে তা
ছেড়ে রাখা সুন্নাত যাতে চুলও সিজদা করতে পারে।
□ খোলা মাথায় সালাত পড়া মাকরূহ। তবে বিনয় ও নম্রতা প্রকাশের নিমিত্তে এরূপ করলে
মাকরূহ হবে না।
□ আয়াত ও তাসবীহসমূহ হাতে গণনা করা। তবে সাহেবাইন (রাহি.) এর মতে এটা মাকরূহ নয়।
□ শুধু ইমাম সাহেব মসজিদের মেহরাবে এবং সমস্ত লোক মেহরাবের বাইরে দাঁড়ানো।
□ ইমাম সাহেব একা উঁচু স্থানে এবং সমস্ত লোক নিচে দাঁড়ানো।
□ কাতারে দাঁড়ানোর সুযোগ থাকা সত্ত্বেও পিছনে একা দাঁড়ানো। তবে যদি সুযোগ না থাকে
তাহলে (সামনের কাতার থেকে মাসআলা জানে এমন একজনকে টেনে এনে নিজের সাথে দাড় করাবে। তার
পরও চেষ্টা করবেন একা শুধু কাতারে না দাঁড়াতে।
□ মানুষ অথবা জন্তুর ছবি বিশিষ্ট কাপড় পরিধান করা।
□ সামনে, বামে অথবা ডানে ছবি থাকাবস্থায় সালাত মাকরূহ।
তবে যদি ছবি পায়ের নিচে কিংবা পিছনে থাকে, তাহলে কোন ক্ষতি নেই।
□ সালাতের কোন সুন্নাত পরিত্যাগ করা।
★ সু-প্রিয়
প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
প্রশ্নোক্ত ক্ষেত্রে নামাজ সহীহ
হয়ে যাবে। তবে নামাজ মাকরুহ হবে। তাই নামাজের সময় আইডি কার্ডটি খুলে পকেটে রাখবেন
অথবা জামার ভিতরে ঢুকিয়ে রাখবেন। তাহলে আর নামাজ মাকরুহ হবে না।