পুনরায় সালাত আদায়

Question

আসসালামু আ'লাইকুম ওয়া রহমাতুল্ল-হ।

শাইখ,
১/একজন ব্যক্তি যথাযথভাবে ওযু করে যোহর থেকে মাগরিব পর্যন্ত প্রত্যেক ওয়াক্তের সালাত আদায় করেন। পরবর্তীতে উনি যখন ইশার সালাতের পূর্বে গোসল করেন,তখন কাপড়ে নাপাকী দেখতে পান;এমন নাপাকী যার কারণে সাধারণত ওযু ভেঙে যায়। এমতাবস্থায় ঐ ব্যক্তিকে কি যোহর থেকে মাগরিব সবগুলো নামায পুনরায় আদায় করতে হবে?

২/আমাদের আত্মীয়-স্বজন, বন্ধু-বান্ধব,পরিচিত লোকজন প্রায় সময়ই বিভিন্ন ধরনের খাবার বাসায় পাঠিয়ে দেন(এমন লোকজন যাদের উপার্জন সম্পর্কে ধারণা থাকে না)। কিন্তু ঐ খাবার হালাল নাকি হারাম কোন টাকায় কেনা তা আমাদের জানা থাকে না।হারাম খাবার খেলে ব্যক্তির ইবাদত,আমল কবুল হবে না এবং আখিরাতে কঠিন পাকড়াওয়ের সম্মুখীন হতে হবে।এই ভয়ে আমরা খাবারটি খেতে চাই না। কিন্তু মাঝে মাঝে অবস্থা এমন পর্যায়ে এসে পৌঁছে যায় যে,হারামের ভয়ে খাবারটি না খেলে খাবারটি নষ্ট হয়ে যাবে।তখন আবার খাবার অপচয় করার গুনাহের ভয় হতে থাকে এবং এক পর্যায়ে খাবারটি খেয়ে ফেলি। কিন্তু পরবর্তীতে ভয় হতে থাকে।খাবারটি যদি হারাম টাকায় কেনা হয়,তাহলে গুনাহ করে ফেললাম।শরীরে হারাম খাদ্য প্রবেশের কারণে ইবাদত,আমল কবুল হবে কিনা,ইলম অর্জন করতে পারবো কিনা-এই নিয়ে প্রচুর দ্বিধান্বিত থাকি।এমন পরিস্থিতিতে আমরা কি ঐ ধরনের খাবার গ্রহণ করবো?

Answer 1

ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।

জবাবঃ-

আলহামদুলিল্লাহ!

ইয়াকিন বিশ্বাস ব্যতিত কোনো হুকুম প্রমাণিত হয়না।

যেমন ইতিপূর্বে একটি মূলনীতি আমরা উল্লেখ করেছি যে

আল্লামা ইবনে নুজাইম রাহ,লিখেন,

اﻟْﻘَﺎﻋِﺪَﺓُ اﻟﺜَّﺎﻟِﺜَﺔُ: اﻟْﻴَﻘِﻴﻦُ ﻻَ ﻳَﺰُﻭﻝُ ﺑِﺎﻟﺸَّﻚِّ

ﻭَﺩَﻟِﻴﻠُﻬَﺎ ﻣَﺎ ﺭَﻭَاﻩُ ﻣُﺴْﻠِﻢٌ ﻋَﻦْ ﺃَﺑِﻲ ﻫُﺮَﻳْﺮَﺓَ ﺭَﺿِﻲَ اﻟﻠَّﻪُ ﻋَﻨْﻪُ ﻣَﺮْﻓُﻮﻋًﺎ {ﺇﺫَا ﻭَﺟَﺪَ ﺃَﺣَﺪُﻛُﻢْ ﻓِﻲ ﺑَﻄْﻨِﻪِ ﺷَﻴْﺌًﺎ ﻓَﺄَﺷْﻜَﻞَ ﻋَﻠَﻴْﻪِ ﺃَﺧَﺮَﺝَ ﻣِﻨْﻪُ ﺷَﻲْءٌ ﺃَﻡْ ﻻَ ﻓَﻼَ ﻳَﺨْﺮُﺟَﻦَّ ﻣِﻦْ اﻟْﻤَﺴْﺠِﺪِ ﺣَﺘَّﻰ

ﻳَﺴْﻤَﻊَ ﺻَﻮْﺗًﺎ، ﺃَﻭْ ﻳَﺠِﺪَ ﺭِﻳﺤًﺎ} 

ভাবার্থঃতৃতীয় উসূল,ঈয়াক্বিন(দৃঢ় বিশ্বাস)সন্দের দ্বারা খতম হয় না।[তথা কারো কোনো বিষয় সম্পর্কে দৃঢ় বিশ্বাস থাকলে, সে বিষয় সম্পর্কে বিপরিত কোনো সন্দেহের উদ্রেক হলে পূর্ব বিশ্বাসের কোনো ক্ষতি হবে না।অর্থাৎ নতুন করে জন্ম নেয়া সন্দেহ অগ্রহণযোগ্য ]

এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/293

সু-প্রিয় পাঠকবর্গ ও প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!

উনি চিন্তাগবেষণা করে দেখবেন যে, এই নাজাসত কখন শরীরে লাগতে পারে। যদি কেনো সিদ্ধান্ত নিতে না পারেন  তাহলে এক ওয়াক্ত নামায কাযা আদায় করলেই যথেষ্ট হবে।