আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
55 views
in পবিত্রতা (Purity) by (0 points)
আসসালামুয়ালাইকুম উস্তাদ,

১৭/৮/২০২৪ ভোরে  আমার হায়েজ শুরু হয়েছে। ৮ দিন হায়েজ চলার পর ২৫/৮/২০২৪ এ যোহরের নামাজ শুরু করেছি।মাঝে ৬দিন পবিত্র থাকার পর ৩১/৮/২০২৪এ আবার ঈশার নামাজের পর হায়েজ শুরু হয়েছে।
১)এটা কি হায়েজ? নাকি ইস্তেহাজা?

২) এক হায়েজ থেকে আরেক হায়েজ পর্যন্ত মাঝে যে ১৫দিন পবিত্র থাকতে হয় সেটা কি হায়েজ শুরুর দিন থেকে গুনতে হয় নাকি হায়েযের শেষ দিন থেকে গুনতে হয়?

৩) যদি ইস্তেহাযা হয় তাহলে কি প্রত্যেক নামাজের আগে গোসল করা লাগবে?

৪) নামাজ পড়তে পড়তে যদি ব্লিডিং (ইস্তেহাজার) হয় তাহলে কি আবার অজু করা লাগবে নাকি নামাজ শেষ করে ফেলবো?

৫) রোজা রাখা যাবে কি?

1 Answer

0 votes
by (58,830 points)

ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু

بسم الله الرحمن الرحيم

জবাব,

শরীয়তের বিধান অনুযায়ী তুহর তথা দুই হায়েজের মাঝে পবিত্রতার সর্বনিম্ন সীমা পনেরো দিন। এই পনেরো দিনের মধ্যে কোনো রক্ত আসলে সেটি হায়েজ নয়, বরং সেটি ইস্তেহাজা তথা অসুস্থতা।

এই সময়ে নামাজ রোযা আদায় করতে হবে।   

হজরত হান্নাদ [রহ] আম্মাজান আয়েশা [রা]-এর হাদিস বর্ণনা করেছেন যে, ফাতিমা বিনতে হুবাইশ নামক এক নারী একবার রাসুল [সা]-এর সমীপে এসে বললো, হে আল্লাহর রাসুল, আমি একজন ইস্তেহাযাগ্রস্ত মেয়ে। আমি তো পাক হই না। তাই আমি কি নামাজ পড়া ছেড়ে দেবো? রাসুল [সা] বললেন, না, কারণ এ রক্ত হায়েযের নয়; বরং এ হলো শিরা থেকে বেরিয়ে আসা রক্ত। সুতরাং যখন তোমার হায়েযের নির্ধারিত দিনগুলি আসে তখন সে দিনগুলি নামাজ ছেড়ে দেবে। আর হায়েযের দিন চলে গেলে তোমার রক্ত ধুয়ে নেবে এবং নামাজ আদায় করবে। [তিরমিজি, হাদিস-১২৫]

لما قال الحصکفیؒ: واقل الطہر بین الحیضتین او النفاس والحیض خمسۃ عشر یومًا ولیالیھا اجماعًا۔ (الدرالمختارعلی صدر ردّالمحتار:ج؍۱،ص؍۲۸۵، باب الحیض)

সারমর্মঃ দুই হায়েজ বা নিফাস ও হায়েজের মধ্যে পবিত্রতার সর্বনিম্ন সীমা সর্বসম্মতিক্রমে পনেরো দিন পনেরো রাত।

বিস্তারিত জানুনঃ- https://ifatwa.info/14711/

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!

১. এক্ষেত্রে যেহেতু হায়েজ শেষ হওয়ার ১৫ দিনের মধ্যেই আবারো ব্লাড এসেছে, সুতরাং এটি হায়েজ নয়। এটি ইস্তেহাজা। এমতাবস্থায় সালাত আদায় করতে হবে।

২. কমপক্ষে এক হায়েজ শেষ হওয়ার পর থেকে পরবর্তী হায়েজ শুরু হওয়ার পূর্বে মধ্যবর্তী ১৫ দিন  পবিত্রতার সময়।

৩. জ্বী না! প্রত্যেক নামাজের পূর্বে অজু করতে হবে। গোসল করার প্রয়োজন নেই।

৪. আপনি যদি মা'যুর না হোন, সেক্ষেত্রে নামাজের আগে পোশাক চেঞ্জ করে পবিত্র হয়ে নামাজ পড়তে হবে। অন্যথায় সেই নামাজের কাজা আদায় করতে হবে এহেন অবস্থায় নাপাক কাপড় নিয়ে নামাজ পড়াই জায়েজ হবেনা, এতে গুনাহ হবে।

আর যদি আপনি মা'যুর হোন, তাহলে আপনার পোশাক চেঞ্জ করতে হবেনা। আপনি সেই পোশাকেই প্রতি ওয়াক্তে একবার অযু করে নামাজ আদায় করতে পারবেন। সেই নামাজ আবার আদায় করতে হবেনা। বিস্তারিত জানুনঃ 

https://ifatwa.info/3954/

https://ifatwa.info/15928/

৫. জ্বী ইস্তিহাযা অবস্থায় রোজা রাখা জায়েয আছে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী মুজিবুর রহমান
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

No related questions found

...