ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া
বারাকাতুহু
بسم الله الرحمن الرحيم
জবাব,
https://ifatwa.info/82623/
নং ফাতওয়াতে আমরা বলেছি যে,
হালালকে হারাম সাব্যস্ত
করা এবং হারামকে হালাল সাব্যস্ত করার অধিকার একমাত্র আল্লাহ তা'আলার। আল্লাহ তা'আলা ব্যতীত অন্য কেউ হারামকে
হালাল এবং হালালকে হারাম সাব্যস্ত করতে পারবে না।
আল্লাহ তা'আলা বলেন,
وَلاَ تَقُولُواْ لِمَا تَصِفُ أَلْسِنَتُكُمُ الْكَذِبَ هَـذَا حَلاَلٌ وَهَـذَا حَرَامٌ لِّتَفْتَرُواْ عَلَى اللّهِ الْكَذِبَ إِنَّ الَّذِينَ يَفْتَرُونَ عَلَى اللّهِ الْكَذِبَ لاَ
يُفْلِحُونَ
তোমাদের মুখ থেকে সাধারনতঃ
যেসব মিথ্যা বের হয়ে আসে তেমনি করে তোমরা আল্লাহর বিরুদ্ধে মিথ্যা অপবাদ আরোপ করে
বল না যে, এটা হালাল এবং ওটা হারাম। নিশ্চয় যারা আল্লাহর বিরুদ্ধে মিথ্যা
আরোপ করে, তাদের মঙ্গল হবে না।(সূরা নাহল-১১৬)
আল্লাহ তা'আলা বলেন,
قُلْ أَرَأَيْتُم مَّا أَنزَلَ اللّهُ لَكُم مِّن
رِّزْقٍ فَجَعَلْتُم مِّنْهُ حَرَامًا وَحَلاَلاً قُلْ
آللّهُ أَذِنَ لَكُمْ أَمْ
عَلَى اللّهِ تَفْتَرُونَ
বল, আচ্ছা নিজেই লক্ষ্য করে দেখ,
যা কিছু আল্লাহ তোমাদের
জন্য রিযিক হিসাবে অবতীর্ণ করেছেন,
তোমরা সেগুলোর মধ্য
থেকে কোনটাকে হারাম আর কোনটাকে হালাল সাব্যস্ত করেছ? বল, তোমাদের কি আল্লাহ নির্দেশ
দিয়েছেন, নাকি আল্লাহর উপর অপবাদ আরোপ করছ? (সূরা ইউনুস-৫৯)
https://ifatwa.info/4174/
নং ফাতওয়াতে আমরা বলেছি যে,
আল্লাহ তা‘আলা পবিত্র
কুরআনে এই মারাত্মক শিরক প্রসঙ্গে বলেন,
اِتَّخَذُواْ أَحْبَارَهُمْ وَرُهْبَانَهُمْ أَرْبَاباً مِّنْ دُوْنِ اللهِ
আল্লাহর পরিবর্তে তারা
তাদের আলেম ও সাধু-দরবেশদেরকে প্রভু বানিয়ে নিয়েছে’ (তওবা ৩১)।
আদী বিন হাতেম (রাঃ) আল্লাহর
নবীকে এ আয়াত পাঠ করতে শুনে বলেছিলেন,
إِنَّهُمْ لَمْ
يَكُونُوا يَعْبُدُونَهُمْ
‘
ওরা তো তাদের ইবাদত করে
না’। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেছিলেন,
وَلَكِنَّهُمْ كَانُوا إِذَا أَحَلُّوا لَهُمْ شَيْئًا اسْتَحَلُّوهُ وَإِذَا حَرَّمُوا عَلَيْهِمْ شَيْئًا حَرَّمُوهُ
‘তা বটে। কিন্তু আল্লাহ যা হারাম করেছেন তারা ওদেরকে তা হালাল
করে দিলে ওরা তা হালালই মনে করে। একইভাবে আল্লাহ যা হালাল করেছেন তারা ওদেরকে তা হারাম
করে দিলে ওরা তা হারামই মনে করে। এটাই তাদের ইবাদত করা’।
আল্লাহ পবিত্র কুরআনে
মুশরিকদের আচরণ বর্ণনা করতে গিয়ে বলেন,
وَلاَ يُحَرِّمُوْنَ مَا حَرَّمَ اللهُ وَرَسُولُهُ وَلاَ يَدِيْنُوْنَ دِيْنَ الْحَقِّ
‘আল্লাহ ও তাঁর রাসূল যা হারাম করেছেন তারা তাকে হারাম গণ্য করে
না এবং সত্য দ্বীনকে তাদের দ্বীন হিসাবে গ্রহণ করে না’ (তওবা ২৯)।
অন্যত্র তিনি বলেন,
قُلْ أَرَأَيْتُمْ مَّا أَنْزَلَ اللهُ لَكُم مِّن
رِّزْقٍ فَجَعَلْتُمْ مِّنْهُ حَرَاماً وَحَلاَلاً قُلْ
اللهُ أَذِنَ لَكُمْ أَمْ
عَلَى اللهِ تَفْتَرُونَ
‘আপনি বলুন, আল্লাহ তা‘আলা তোমাদেরকে
যে রূযী দান করেছেন, তন্মধ্যে তোমরা যে সেগুলির
কতক হারাম ও কতক হালাল করে নিয়েছ, তা কি তোমরা ভেবে দেখেছ? আপনি বলুন, আল্লাহ কি তোমাদেরকে এতদ্বিষয়ে
অনুমতি দিয়েছেন, নাকি তোমরা আল্লাহর নামে মনগড়া কথা
বলছ’ (ইউনুস ৫৯)।
প্রিয় প্রশ্নকারী
দ্বীনী ভাই/বোন!
হালালকে হারাম সাব্যস্ত
করা এবং হারামকে হালাল সাব্যস্ত করার অধিকার একমাত্র আল্লাহ তা'আলার। আল্লাহ তা'আলা ব্যতীত অন্য কেউ হারামকে
হালাল এবং হালালকে হারাম সাব্যস্ত করতে পারবে না। সুতরাং যদি কেউ হালালকে হারাম বা
হারামকে হালাল সাব্যস্ত করে তাহলে এটা কুফরী
এবং ঐ ব্যক্তির ঈমান চলে যাবে।
সুতরাং প্রশ্নেল্লিখিত ছুরতে হালালকে মাকরূহ বা হারামকে মাকরূহ মনে করাও জায়েজ নেই। কারণ, সুস্পষ্ট হালাল বা হারাম সম্পর্কে কোন ধরনের সংসার পোষণ করা হারাম। বিধায়, যে ব্যক্তি হালালকে মাকরু বা হারাম কে মাকরুহ মনে করবে তার জন্যও তওবা করত ঈমান নবায়ন করতে হবে।