আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
69 views
in যাকাত ও সদকাহ (Zakat and Charity) by (19 points)
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমআতুল্লহি ওয়া বারকাতুহ উস্তাজ জি,


বন্যার্ত মানুষের জন্য শুকনো কাপড় কালেক্ট করা হচ্ছে, এ অবস্থায় কি মেয়েদের ফুল কভারেজ ছাড়া পোশাক সাহায্য হিসেবে দেয়া যাবে? যেমন কামিজ সালওয়ার? কারন আমি তো জানব না এটা কোন পর্দা করা বোন পড়ছেন নাকি সাধারণ ভাবে চলাফেরা করা বোন পড়ছেন। এক্ষেত্রে কি পাপ হবে?  (ঊল্লেখ্য জামা গুলো বাহিরে/ অকেশনাল পড়ার মত বেশি। পর্দা করা বোনেরা যদিও ঘরেও বাহিরে পড়ার মত পোশাক পড়েন কিন্তু আমার আশঙ্কা হচ্ছে যে কোন পর্দা না করা বোন যদি পর্দা না করে তা পড়েন তবে আমার গুনাহ হবে কি না?) এ ক্ষেত্রে আমার করনীয় কি?
জাঝাকাল্লাহু খাইরন

1 Answer

0 votes
by (574,260 points)
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم 

https://www.ifatwa.info/242 ফতোয়াতে উল্লেখ রয়েছেঃ
নারীজাতীয় কাপড় সমূহ যা দোকানে বিক্রি হয়, তা তিন অবস্থা থেকে খালি নয়ঃ- 

প্রথম অবস্থাঃ- 

বিক্রেতার বিশ্বাস বা ধারণা রয়েছে যে, এই কাপড়গুলো হালাল ত্বরিকায়-ই ব্যবহৃত হবে,হারাম ত্বরিকায় কখনো ব্যবহৃত হবে না। তাহলে এই সমস্ত কাপড় বিক্রি করা জায়েয। এতে কোনো অসুবিধা নেই। 

দ্বিতীয় অবস্থাঃ-

বিক্রেতার বিশ্বাস বা ধারণা রয়েছে যে, এই কাপড়গুলো হারাম ত্বরিকায় ব্যবহৃত হবে।তথা মহিলা এগুলো পড়ে পরপুরুষের সামনে সৌন্দর্য্য প্রদর্শন করবে।তাহলে এই সমস্ত কাপড় বিক্রি করা সম্পর্কে ফুকাহায়ে কেরামদের মতপার্থক্য রয়েছে।

একদল উলামায়ে কেরাম বলেন, হারাম।কেননা আল্লাহ তা'আলা বলেন, তোমরা গোনাহ ও সীমালঙ্ঘনে একে অন্যকে সাহায্য করো না।(সূরা মায়েদা-০২)  

অপরদিকে একদল উলামায়ে কেরাম বলেন,জায়েয।গোনাহ তারই হবে যে কাপড় পড়বে।বিক্রেতার এক্ষেত্রে কোনো গোনাহ হবে না। কেননা রাসূলুল্লাহ সাঃ রেশম কাপড় বিক্রির অনুমতি হযরত উমর রাযি কে দিয়েছিলেন, আবদুল্লাহ ইবনে উমর (রাঃ) থেকে বর্ণিত।

 عَنْ نَافِعٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ: أَنَّ عُمَرَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ رَأَى حُلَّةً سِيَرَاءَ تُبَاعُ، فَقَالَ: يَا رَسُولَ اللَّهِ، لَوِ ابْتَعْتَهَا تَلْبَسُهَا لِلْوَفْدِ إِذَا أَتَوْكَ وَالجُمُعَةِ؟ قَالَ: «إِنَّمَا يَلْبَسُ هَذِهِ مَنْ لاَ خَلاَقَ لَهُ» وَأَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بَعَثَ بَعْدَ ذَلِكَ إِلَى عُمَرَ حُلَّةًسِيَرَاءَ حَرِيرٍ كَسَاهَا إِيَّاهُ، فَقَالَ عُمَرُ: كَسَوْتَنِيهَا، وَقَدْ سَمِعْتُكَ تَقُولُ فِيهَا مَا قُلْتَ؟ فَقَالَ: «إِنَّمَا بَعَثْتُ إِلَيْكَ لِتَبِيعَهَا، أَوْ تَكْسُوَهَا» 

উমর (রাঃ) একটি রেশমী হুল্লা বিক্রী হতে দেখে বললেনঃ ইয়া রাসুলাল্লাহ! আপনি যদি এটি খরীদ করে নিতেন, তা হলে যখন কোন প্রতিনিধি দল আপনার কাছে আসে তখন এবং জুমুআর দিনে পরিধান করতে পারতেন। তিনি বললেনঃ এটা সে ব্যক্তিই পরতে পারে যার আখিরাতে কোন অংশ নেই। পরবর্তী সময়ে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম উমর (রাঃ) এর নিকট ডোরাকাটা রেশমী হুল্লা পাঠান। তিনি কেবল তাকেই পরতে দেন। উমর (রাঃ) বললেন, আপনি এখনি আমাকে পরতে দিয়েছেন, অথচ এ সম্পর্কে যা বলার তা আমি আপনাকে বলতে শুনেছি। তিনি বললেন আমি তোমার কাছে এজন্য পাঠিয়েছি যে, তুমি এটি বিক্রি করে দিবে অথবা কাউকে পরতে দিবে। (সহীহ বুখারী-২/৮৬৮, হাদীস নং-৫৮৪১, ইফাবা-৫৪২৩)

বিস্তারিত জানুনঃ- 

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন,
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে মেয়েদের পোশাক সাহায্য হিসেবে দেয়া যাবে।

এক্ষেত্রে কেহ যদি গায়রে মাহরামদের সামনে আপনার দেয়া পোশাক পরিধান করে,সেক্ষেত্রে আপনার গুনাহ হবেনা।
গুনাহ তারই হবে।

মহান আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেনঃ 

اِنۡ تَکۡفُرُوۡا فَاِنَّ اللّٰہَ غَنِیٌّ عَنۡکُمۡ ۟ وَ لَا یَرۡضٰی لِعِبَادِہِ الۡکُفۡرَ ۚ وَ اِنۡ تَشۡکُرُوۡا یَرۡضَہُ لَکُمۡ ؕ وَ لَا تَزِرُ وَازِرَۃٌ وِّزۡرَ اُخۡرٰی ؕ ثُمَّ اِلٰی رَبِّکُمۡ مَّرۡجِعُکُمۡ فَیُنَبِّئُکُمۡ بِمَا کُنۡتُمۡ تَعۡمَلُوۡنَ ؕ اِنَّہٗ عَلِیۡمٌۢ بِذَاتِ الصُّدُوۡرِ ﴿۷﴾ 

যদি তোমরা কুফরী কর তবে (জেনে রাখ) আল্লাহ তোমাদের মুখাপেক্ষী নন। আর তিনি তার বান্দাদের জন্য কুফরী পছন্দ করেন না। এবং যদি তোমরা কৃতজ্ঞ হও তবে তিনি তোমাদের জন্য তা-ই পছন্দ করেন। আর কোন বোঝা বহনকারী অপরের বোঝা বহন করবে না। তারপর তোমাদের রবের কাছেই তোমাদের ফিরে যাওয়া। তখন তোমরা যা আমল করতে তা তিনি তোমাদেরকে অবহিত করবেন। নিশ্চয় অন্তরে যা আছে তিনি তা সম্যক অবগত।
(সুরা আয যুমার ০৭)

وَ لَا تَزِرُ وَازِرَۃٌ وِّزۡرَ اُخۡرٰی

কোনো ব্যাক্তি অন্য কোনো ব্যাক্তির গুনাহের বোঝা বহন করবেনা।
(সুরা ফাতির ১৮)


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...