ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
হারাম টাকার বিধান হল, তা প্রাথমিকভাবে মূল মালিকের কাছে ফেরত দেয়া।নতুবাজনকল্যাণ মূলক কাজে ব্যবহার করবেন(জাদীদ ফেকহি মাসাঈল-৪/৫২) কিংবা সওয়াবের নিয়ত ছাড়া গরীবদের মাঝে সদকা করে দেয়া।
من ملك بملك خبيث ولم يمكنه الرد الى المالك فسبيله التصدق على الفقراء
যদি কারো নিকট কোনো হারাম মাল থাকে,তাহলে সে ঐ মালকে তার মালিকের নিকট ফিরিয়ে দেবে।যদি ফিরিয়ে দেয়া সম্ভব না হয়,তাহলে গরীবদেরকে সদকাহ করে দেবে।(মা'রিফুস-সুনান১/৩৪)
في الشامية: والحاصل: أنه إن علم أرباب الأموال وجب رده عليهم، وإلا فإن علم عين الحرام لايحل له ويتصدق به بنية صاحبه''. (5/99،مَطْلَبٌ فِيمَنْ وَرِثَ مَالًا حَرَامًا، ط: سعید) فقط واللہ اعلم
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
যেহেতু বনবাসীদের মধ্যে ধনী গরীব সবাই রয়েছে। তাই বন্যা দুর্যোগে ত্রাণ বন্টনে হারাম টাকা ব্যয় করা ঠিক হবে না। বরং হারাম টাকাকে হয়তো জনকল্যাণ মূলক কাজে ব্যয় করতে হবে অথবা গরীবদের মধ্যে বন্টন করে দিতে হবে। যদি আসসুন্নাহ ফাউন্ডেশনের কোনো গরীব খাত থাকে, তাহলে সেই খাতে আপনি উক্ত টাকা দিতে পারবেন। নতুবা নিজ পরিচিত গরীবদের মধ্যে বন্টন করে দিবেন।
বিঃদ্রঃ
আস-সুন্নাহ ফাউন্ডেশন যেহেতু মানব সেবায় নিয়োজিত, তাই নিজের হালাল টাকা থেকে সেই ফান্ডে কিছু দিয়ে শরীক থাকতে পারেন।আল্লাহ আপনার দান সদকাহ কবুল করুক।আমীন।