আমার শ্বশুর চাকুরী করেন প্রায় ৩৮হাজার টাকা স্যালারী পান।শ্বশুর শ্বাশুড়ি গ্রামেই থাকেন।ওখানেই আমার শ্বশুরের চাকুরী। আমার স্বামী একটাই ছেলে(দুই বোন আছে),চাকুরী সূত্রে আমরা অন্য বিভাগে থাকি।আমার শ্বশুর বাড়িতে আল্লাহর রহমতে ফল থেকে শুরু করে সবকিছুই বাড়িতেই হয় খুব কম জিনিসই কিনে খেতে হয়।কিন্তু আমার শ্বশুরের খরচ অনেক বেশী।উনি মেয়ের বাচ্চাদের সব খরচ বহন করেন এবং আমার শ্বশুর তার চাচাতো ভাইদের সাথে ঝগড়া করে বিভিন্ন কেস করে, কেস চালান আর অহেতুক অনেক খরচ করেন।যখন মন চায় জমিও বিক্রি করেন।আমার স্বামীর বেতন আল্লাহর রহমতে ভালো। প্রতি মাসে আগে আমার স্বামী তার আব্বাকে ১০হাজার করে টাকা পাঠাইতো।আব্বাকে ১০হাজার টাকা পাঠায় আমাদের চলতে একটু কষ্ট হয়ে যায়, মাসের ১৫/১৬তারিখের দিকেই দেখা যায় আমাদের হাতে টাকা থাকে না।যেহেতু ভাড়া বাসায় থাকি আর সবই কেনা।আর ছোট বাচ্চা থাকায় অসুস্থতা লেগেই থাকে।
কিছুদিন আগে আমার স্বামী জানতে পারে আমার শ্বশুর অহেতুক আবার একটা কেসে জড়াইছেন এটা জানার পর থেকে আমার স্বামী আব্বাকে আর টাকা পাঠাইতে চান না বলেন আমরা এখানে কষ্ট করে চলে টাকা পাঠাব আর সেই টাকা দিয়ে কেস খেলবে! তারপর থেকে ৫হাজার করে টাকা পাঠায়।আর বাকী ৫হাজার দান করে দিয়েছে।আমার স্বামী বলে দান করলে আল্লাহ বরকত দান করবেন।কিন্তু আমরা জানি আমার শ্বশুর শাশুড়ী টাকা কম পাঠানোর জন্য অভিসাপ দেয়।যদিও আমাদের ডিরেক্ট কিছু বলে নাই।এই মাসে আমার বাচ্চা অনেক অসুস্থ হয় আর চিকিৎসার জন্য অনেক টাকা খরচ হয়।তাই তাদের টাকা পাঠাইতে পারি নাই।আমার মনে হয় তাদের অভিশাপে আমার বাচ্চা এত্তো অসুস্থ হইছে।
আমি জানতে চাই আমার শ্বশুর তো নিজেই অনেক টাকা ইনকাম করেন আর অনেক স্বচ্ছল কিন্তু তাদের প্রতি মাসে ১০হাজার পাঠাইলে আমাদের চলতে অনেক কষ্ট হয়ে যায়।আমরা যদি কম পাঠাই পাশাপাশি দান করি তাহলে কি আমাদের অভিশাপ লাগবে? দান কি কবুল হবে না? উল্লেখ্য তারা ১০হাজারেও খুশি না তারা চায় আমি আমার সন্তান আমার মায়ের বাড়িতে থাকি।আমার স্বামী সব টাকা শুধু তাদের দিয়ে দিক।