আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
76 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (1 point)
আমার শ্বশুর চাকুরী করেন প্রায় ৩৮হাজার টাকা স্যালারী পান।শ্বশুর শ্বাশুড়ি গ্রামেই থাকেন।ওখানেই আমার শ্বশুরের চাকুরী। আমার স্বামী একটাই ছেলে(দুই বোন আছে),চাকুরী সূত্রে আমরা অন্য বিভাগে থাকি।আমার শ্বশুর বাড়িতে আল্লাহর রহমতে ফল থেকে শুরু করে সবকিছুই বাড়িতেই হয় খুব কম জিনিসই কিনে খেতে হয়।কিন্তু আমার শ্বশুরের খরচ অনেক বেশী।উনি মেয়ের বাচ্চাদের সব খরচ বহন করেন এবং আমার শ্বশুর তার চাচাতো ভাইদের সাথে ঝগড়া করে বিভিন্ন কেস করে, কেস চালান আর অহেতুক অনেক খরচ করেন।যখন মন চায় জমিও বিক্রি করেন।আমার স্বামীর বেতন আল্লাহর রহমতে ভালো। প্রতি মাসে আগে আমার স্বামী তার আব্বাকে ১০হাজার করে টাকা পাঠাইতো।আব্বাকে ১০হাজার টাকা পাঠায় আমাদের চলতে একটু কষ্ট হয়ে যায়, মাসের ১৫/১৬তারিখের দিকেই দেখা যায় আমাদের হাতে টাকা থাকে না।যেহেতু ভাড়া বাসায় থাকি আর সবই কেনা।আর ছোট বাচ্চা থাকায় অসুস্থতা লেগেই থাকে।
কিছুদিন আগে আমার স্বামী জানতে পারে আমার শ্বশুর অহেতুক আবার একটা কেসে জড়াইছেন এটা জানার পর থেকে আমার স্বামী আব্বাকে আর টাকা পাঠাইতে চান না বলেন আমরা এখানে কষ্ট করে চলে টাকা পাঠাব আর সেই টাকা দিয়ে কেস খেলবে! তারপর থেকে ৫হাজার করে টাকা পাঠায়।আর বাকী ৫হাজার দান করে দিয়েছে।আমার স্বামী বলে দান করলে আল্লাহ বরকত দান করবেন।কিন্তু আমরা জানি আমার শ্বশুর শাশুড়ী টাকা কম পাঠানোর জন্য অভিসাপ দেয়।যদিও আমাদের ডিরেক্ট কিছু বলে নাই।এই মাসে আমার বাচ্চা অনেক অসুস্থ হয় আর চিকিৎসার জন্য অনেক টাকা খরচ হয়।তাই তাদের টাকা পাঠাইতে পারি নাই।আমার মনে হয় তাদের অভিশাপে আমার বাচ্চা এত্তো অসুস্থ হইছে।

আমি জানতে চাই আমার শ্বশুর তো নিজেই অনেক টাকা ইনকাম করেন আর অনেক স্বচ্ছল কিন্তু তাদের প্রতি মাসে ১০হাজার পাঠাইলে আমাদের চলতে অনেক কষ্ট হয়ে যায়।আমরা যদি কম পাঠাই পাশাপাশি দান করি তাহলে কি আমাদের অভিশাপ লাগবে?  দান কি কবুল হবে না? উল্লেখ্য তারা ১০হাজারেও খুশি না তারা চায় আমি আমার সন্তান আমার মায়ের বাড়িতে থাকি।আমার স্বামী সব টাকা শুধু তাদের দিয়ে দিক।

1 Answer

0 votes
by (597,330 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
إلَّا إذَا كَانَ الْأَصْلُ زَمِنًا لَا كَسْبَ لَهُ، فَلَا يُشْتَرَطُ سِوَى قُدْرَةِ الْوَلَدِ عَلَى الْكَسْبِ
কিন্তু যদি পিতা-মাতা বার্ধক্যর ধরুণ দুর্বল,রোগগ্রস্ত হন।যদ্দরুন উপার্জন করতে অক্ষম হন।তাহলে সন্তান উপার্জন সক্ষম হলেই তার উপর পিতা-মাতার নাফক্বাহ দেওয়া ওয়াজিব।
এ সম্পর্কে আরও বিস্তারিত "আল-মাওসু'আতুল ফেক্বহিয়্যায় " (খঃ৪১/পৃঃ ৭৫) বর্ণিত রয়েছে....

يُشْتَرَطُ لِوُجُوبِ الإِْنْفَاقِ عَلَى الأُْصُول مَا يَأْتِي
নিম্নবর্ণিত মূলনীতির আলোকে নাফক্বাহ ওয়াজিব হবে।
أ - أَنْ يَكُونَ الأَْصْل فَقِيرًا أَوْ عَاجِزًا عَنِ الْكَسْبِ، فَلاَ يَجِبُ عَلَى الْفَرْعِ نَفَقَةُ أَصْلِهِ إِنْ كَانَ أَصْلُهُ غَنِيًّا أَوْ قَادِرًا عَلَى الْكَسْبِ، لأَِنَّهَا تَجِبُ عَلَى سَبِيل الْمُوَاسَاةِ وَالْبِرِّ، وَالْقَادِرُ عَلَى الْكَسْبِ كَالْمُوسِرِ مُسْتَغْنٍ عَنِ الْمُوَاسَاةِ
(ক)পিতা-মাতা সহ সমস্ত উসূল বা মূল জ্বড়(বাপ-দাদা তার এবং উপরের জন) গরিব, উপার্জনে অক্ষম হওয়া শর্ত।সুতরাং উসূল ধনী বা উপার্জনে সক্ষম অবস্থায় ফুরু' বা সন্তানাদির উপর নাফক্বাহ দেওয়া ওয়াজিব হবে না।তখন নেকী অর্জন ও আত্মীয়তার বন্ধনকে দৃঢ়তর করতে নাফক্বাহকে ওয়াজিব করা হবে।(যাকে মুস্তাহাব বলা যাবে) এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/3712


সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
যেহেতু বাবার ইনকাম রয়েছে,তাই বাবাকে ভরণপোষণ দেওয়া, ওয়াজিব হবে না। এজন্য বাবা বদ'দুআ দিলে, সেই বদ'দুআ কবুল হবে না।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...