আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
57 views
in হালাল ও হারাম (Halal & Haram) by (24 points)
শায়খ আমার প্রশ্ন হলো:

১ কাস্টমস অফিসার এর চাকরি কি হালাল? বিভিন্ন জিনিসপত্র এয়ারপোর্টে চেক করা সহ নানান কাজ একজন কাস্টুম অফিসার এর কাজ।তাদের কাজ এর বিবরণ দেয়া হলো:তারা যাত্রীদের, তাদের লাগেজ, এবং দেশে প্রবেশকারী পণ্যসম্ভার এবং মালবাহী মালামাল পরিদর্শন করে, এটি নিশ্চিত করে যে এর জন্য প্রয়োজনীয় সমস্ত কিছুর যথাযথ ডকুমেন্টস এবং লাইসেন্স রয়েছে। তারা ভ্রমণের নথিও পরীক্ষা করবে, মাঝে মাঝে যাত্রী ও যানবাহন তল্লাশি করবে এবং সীমাবদ্ধ আইটেমগুলি সনাক্ত ও জব্দ করবে। আমার নানা একজন সৎ কর্মকর্তা ছিলেন তিনি অনৈতিক ভাবে কাজ করেছেন বলে আমার মনে হয় না। কিন্তু আমার প্রশ্ন হলো এই চাকরি করেই আমার নানা একটি বাড়ি করেছেন আমরা সেই বাড়িতে ফ্রীতে থাকি। আমার জন্য এই বাড়িতে থাকা হালাল হবে?

২শায়খ আমার দ্বিতীয় প্রশ্ন হচ্ছে তার এই বাড়ি করার সময় fdr ( সুদ) নিয়েছে কিনা আমি তা জানিনা। আমি এই কারণে ভাবছি কারণ অনেকেই fdr নিয়ে বাড়ি করছে। এখন আমার নানা করেছে কিনা আমি জানিনা জিজ্ঞেসও করতে পারছিনা। যদি ওই সময় কেউ সুদ নিয়ে থাকে এতদিনে শেষও হয়ে যাওয়ার কথা আমার প্রশ্ন হলো এই বাড়ি সুদের ঋণ নিয়ে তৈরি হয়ে থাকলে আমার জন্য ফ্রীতে এই বাড়িতে থাকা হালাল হবে যদি মূল টাকার অধিকাংশই হালাল হয় এবং শোধও করে দেয়া হয়?

1 Answer

0 votes
by (58,500 points)

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।

জবাবঃ

https://ifatwa.info/7272/ নং ফাতওয়াতে উল্লেখ রয়েছে যে,

শরীয়তের বিধান হলো সরকারী  চাকুরী জায়েয।তবে কুরআন হাদীস বিরোধী কোনো কিছু বাস্তবায়ন করার কাজ হলে,বা এমন কোনো চাকুরী যেখানে গেলে কুরআন-হাদীসকে সঠিকভাবে অনুসরণ করা যায় না।তাহলে এমন চাকুরী কখনো বৈধ হবে না।

(কিতাবুন নাওয়াজেল ১৭/৫০৪)

,

সুতরাং প্রচলিত রাষ্ট্র ব্যবস্থায় কাস্টমস ইত্যাদি সেক্টরে চাকরি করা জায়েজ আছে।

,

তবে বকেয়া কর আদায়ের সময় যদি সুদ সহ উঠাতে হয়। তাহলে উক্ত কাজ করা বৈধ নয়। কেননা এতে সুদের মত হারাম কাজে সরকারকে সহযোগিতা করা হয়। অথচ সুদ হারাম এবং ভয়াবহ কবিরা গুনাহ।


আল্লাহ তাআলা বলেন:

يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا اتَّقُوا اللَّـهَ وَذَرُوا مَا بَقِيَ مِنَ الرِّبَا إِن كُنتُم مُّؤْمِنِينَ- فَإِن لَّمْ تَفْعَلُوا فَأْذَنُوا بِحَرْبٍ مِّنَ اللَّـهِ وَرَسُولِهِ ۖ وَإِن تُبْتُمْ فَلَكُمْ رُءُوسُ أَمْوَالِكُمْ لَا تَظْلِمُونَ وَلَا تُظْلَمُونَ

“হে ইমানদারগণ, তোমরা আল্লাহকে ভয় কর এবং সুদের যে সমস্ত আছে, তা পরিত্যাগ কর, যদি তোমরা ইমানদার হয়ে থাক। অত:পর যদি তোমরা পরিত্যাগ না কর, তবে আল্লাহ ও তাঁর রসূলের সাথে যুদ্ধ করতে প্রস্তুত হয়ে যাও। কিন্তু যদি তোমরা তওবা কর, তবে তোমরা নিজের মূলধন পেয়ে যাবে। তোমরা কারও প্রতি অত্যাচার করো না এবং কেউ তোমাদের প্রতি অত্যাচার করবে না।”

 (সূরা বাকারা: ২৭৮-২৭৯)


এ ছাড়া রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সুদের সম্পৃক্ত চার প্রকারের লোককে অভিসম্পাত করেছেন। জাবের রা. হতে বর্ণিত,

أنه لعن آكل الربا وموكله وكاتبه وشاهديه، وقال: هم سواء

“সুদ গ্রহীতা, সুদ দাতা, সুদের লেখক এবং সাক্ষীদ্বয়কে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম অভিসম্পাত করেছেন এবং বলেছেন, তারা সকলেই সমান (গুনাহগার)।” (সহীহ মুসলিম, হাদিস নং ১৯৯৫, শামেলা)


আর ইসলামে হারাম কাজে সহযোগিতা করা নিষেধ।


আল্লাহ তায়ালা বলেছেন:

وَلَا تَعَاوَنُوا عَلَى الْإِثْمِ وَالْعُدْوَانِ

“পাপ ও সীমালঙ্ঘনের ব্যাপারে একে অন্যের সহায়তা করো না।” (সূরা মায়িদাহ: ২)

সুতরাং যথাসাধ্য দ্রুত এই চাকরি থেকে বের হয়ে আসা উচিৎ।

,

তব এক্ষেত্রে যদি সূদ বা সংশ্লিষ্ট সকল কাজ থেকে বেঁচে থাকা যায়, তাহলে এই সেক্টরেও চাকুরী করা জায়েজ আছে।

,

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!


১. https://ifatwa.info/8841/  ফতোয়াতে উল্লেখ রয়েছেঃ

কাস্টমস কর্মকর্তা হিসেবে সরকারের হয়ে ট্যাক্স আদায় করার চাকুরী জায়েয। আর প্রশ্নোক্ত ক্ষেত্রে উক্ত বাসায় আপনার থাকা জায়েজ হবে।


২. হালাল টাকা দিয়ে উক্ত বাসার ঋণ পরিশোধ করে থাকলে তা জায়েজ এবং ঐ বাসাতেও থাকা জায়েজ হবে। তবে সুদ ভিক্তিক ঋণ নিয়ে থাকলে শুধু তার জন্য গোনাহ হবে। এই জন্য তাওবা ও ইস্তিগফার করতে হবে এবং আল্লাহর কাছে মাফ চাইতে হবে। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী আব্দুল ওয়াহিদ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...