আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
99 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (6 points)
আসসালামু আলাইকুম,
আমি আমার শ্বশুরবাড়িতে যৌথ পরিবারে থাকি। এখানে আমার শ্বশুর, শাশুড়ী,  ননদ, ননশ এবং তার দুই বাচ্চা সহ আরো একজন চাচাতো ননদ ও থাকেন। আর ননশের জামাই ও প্রতি ২ সপ্তাহ পরপর এখানে এসে ২ দিনের জন্য থাকেন। আমি আমার হাজবেন্ডকে যৌথ পরিবারে থাকা সমস্যা নিয়ে সরাসরি কথা বলেছি। কিন্তু উনি আলাদা বাসা নিতে ইচ্ছুক না, এমনকি আমাকে আমার মায়ের বাসাতে রাখতেও ইচ্ছুক না।
এখন আমার এই পরিবারে এভাবে থাকতে অনেক অসুবিধা হচ্ছে। আমার একটা মেয়ে ও আছে। পরিবেশগত ও অনেক অসুবিধা হচ্ছে। প্রাইভেসি নিয়েও প্রবলেম হচ্ছে৷ এগুলো আমি আমার শ্বশুর শাশুড়ীকে বলেছি, কিন্তু উনারা কোন সমাধান দিতে পারেননি। ৩ বছর আমি এই অসুবিধা গুলো নিয়েই আছি। এখন যেটা নতুন করে প্রবলেম হচ্ছে তা হল ওদের সাথে আমার তিক্ততা বেশি বেড়ে গেছে, কথা কাটাকাটি ও হয়েছে কয়েকবার। এখন আমার অবস্থা এমন দাড়িয়েছে যে আমার ওদের সাথে কথাই বলতে ইচ্ছা করে না। ওদেরকে দেখলেও আমার মুখ ভার হয়ে যায়। একজন পরিবারের সদস্য হিসেবে আমার যা কাজ আছে, আমি তা করি, কিন্তু এরপর ওদের কারো সাথেই আমার কোন বাড়তি কথাই বলতে ইচ্ছা করে না। এমনকি ওদের দেখলেই মনে হয়, ওরা আমার সাথে বেইনসাফি করে, ওদের সাথে আমার কোন কথা নাই।
আমার প্রশ্ন হলো, আমি কিভাবে চললে আমার পক্ষ থেকে ওদের প্রতি কোন অন্যায় করা হবেনা আর আমি নিজেও মানসিক শান্তিতে থাকতে পারব? আমার প্রতি ওদের কি কি ইখতিয়ার আছে যেটার জন্য আমি আখিরাতে আটকে যাব? আর আমি এটাও জানতে চাই যে, একই পরিবারে থাকা সত্তেও আমি যদি আমার মত করে শুধুমাত্র আমার বাচ্চা আর জামাইকে ফোকাস করে আমার মত করে চলি তাহলে আমার কোন গুনাহ হবে কিনা?
জাযাকাল্লাহ!

1 Answer

0 votes
by (597,330 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
ﻭَﻟَﻤَﻦ ﺻَﺒَﺮَ ﻭَﻏَﻔَﺮَ ﺇِﻥَّ ﺫَﻟِﻚَ ﻟَﻤِﻦْ ﻋَﺰْﻡِ ﺍﻟْﺄُﻣُﻮﺭِ ) ﺍﻟﺸﻮﺭﻯ 43/ " ﺍﻧﺘﻬﻰ .
অবশ্যই যে সবর করে ও ক্ষমা করে নিশ্চয় এটা সাহসিকতার কাজ।(৪২/৪৩)

নবী কারীম সাঃ বলেনঃ
ﻭﻗﺎﻝ ﺻﻠﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭﺳﻠﻢ : ( ﻳَﺎ ﻋُﻘﺒَﺔَ ﺑﻦَ ﻋَﺎﻣِﺮ : ﺻِﻞْ ﻣَﻦْ ﻗَﻄَﻌَﻚَ ، ﻭَﺃَﻋْﻂِ ﻣَﻦْ ﺣَﺮَﻣَﻚَ ، ﻭَﺍﻋْﻒُ ﻋَﻤَّﻦ ﻇَﻠَﻤَﻚَ ) ﺭﻭﺍﻩ ﺃﺣﻤﺪ ( 4/158 ) ﻭﺻﺤﺤﻪ ﺍﻷﻟﺒﺎﻧﻲ ﻓﻲ " ﺍﻟﺴﻠﺴﻠﺔ ﺍﻟﺼﺤﻴﺤﺔ" ( 891 )
হে উকবা তুমি সম্পর্ক স্থাপন কর তার সাথে যে তোমার সাথে সম্পর্ক বিচ্ছিন্ন করেছে,এবং দান কর তাকে  যে তোমাকে বঞ্চিত করেছে,এবং মাফ করে দাও তাকে যে তোমার উপর যুলুম করেছে।(মসনদে আহমদ-৪/১৫৮) এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/19877


সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
আপনি ধর্য্য সহকারে পরিস্থিতির মুকাবেলা করুন। শশুর শাশুড়ী এবং ননদ কে নিজের মত করে আপন করে নিন। তাদেকে মন খুলে ভালবাসুন। এতেই কল্যাণ নিহিত রয়েছে।হ্যা, পর্দার বিষয়ে কখনো ছাড় দিবেন না। এখন যদি আপনি পৃথক বাসায় চলে যান, তাহলে আপনার স্বামী দিনের অর্ধেক সময় যেভাবে আপনাকে দিবে, ঠিক তদ্রুপ বাকী অর্ধেক সময় সে তার বাবা মায়ের খেমদত করবে। কেননা বাবা মায়ের দেখাশোনা করাটাও ওয়াজিব। এক্ষেত্রে বিষয়টা স্বামীর জন্য মহা মুশকিল হয়ে দাড়াবে, তাই স্বামীর প্রতি একটু রহম করুন। শশুড় শাশুড়ি আর কয়দিন বেঁচে থাকবেন, পরবর্তী জীবন তো আপনাকে একাই সামাল দিতে হবে। তাই ঘৃণাকে লালন না করে মহব্বতকে লালন করা ও বন্টন করাই অধিকতর শ্রেয়।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...