আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
76 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (6 points)
আস্সালামু আলাইকুম । আমাদের এইদিকে অনেকেই এটা মনে করে থাকে মানুষের বয়স ৮০ এর উপরে হলে আল্লাহ তার কোন কাজের আর হিসাব নিবেন না। তারজন্য সবকিছু মাফ। অথচ ব্যক্তিগুলো যথেষ্ট চলাচল ভাল। ভাল মন্দ সব বুঝে। নিজে নিজে মানুষদের ভুল বুঝে একদমই বিনা দোষে৷ তারপর আবার সেই মানুষের জন্য বদদোয়া ও করেন নামাজ পড়ে আল্লাহ কাছে। শত বুঝালেও নিজেরটা ঠিক ঠিকই মনে করে৷  তাদের ব্যবহারে মানুষকে কষ্ট দেই। এইগুলো কি আল্লাহ ধরবেনা হিসাব নিবেনা? এমন ত নই সে উন্মাদ।যথেষ্ট বুদ্ধি আছে। সব দিকে নজর আছে।

আমার প্রশ্ন
১.আসলেই কি মানুষ বৃদ্ধ হলে তার সব গুনাহ মাফ। আল্লাহ হিসাবের খাতায় কিছু লিখবেনা?নামাজ পড়া লাগবেনা। সব কিছু মাফ।

২.তাদের ব্যবহারে পাওয়া অন্যদের কষ্ট গুলোর জন্য আল্লাহ পাকড়াও করবেনা?জেনে বুঝে দূর্রব্যবহার করেও মাফ পেয়ে যাবেন?
৩.আর যারা এই ধরণের কথা বলে থাকে যে, ৮০,৯০,১০০বছরের (বুঝদার মানুষ হওয়ার পরও)  মানুষদের হিসাব আল্লাহ মাফ করে দিয়েছেন। এরকম ভিত্তি হীন কথার জন্য তারা কি শাস্তি যোগ্য হবেন?

1 Answer

0 votes
by (574,260 points)
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم

হাদীস শরীফে এসেছেঃ- 

عَن النَّواس بن سمْعَان قَالَ: سَأَلَتْ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَنِ الْبِرِّ وَالْإِثْمِ فَقَالَ: «الْبِرُّ حُسْنُ الْخُلُقِ وَالْإِثْمُ مَا حَاكَ فِي صَدْرِكَ وَكَرِهْتَ أَن يطلع عَلَيْهِ النَّاس» . رَوَاهُ مُسلم

নাও্ওয়াস ইবনু সাম্‘আন (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, একদিন আমি রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে পুণ্য ও পাপ সম্পর্কে জিজ্ঞেস করলাম। তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বললেনঃ পুণ্য হলো উত্তম স্বভাব, আর পাপ হলো যা তোমার অন্তরে যাতনা সৃষ্টি করে এবং তুমি ঐ কাজ জনসমাজে প্রকাশ হওয়াকে খারাপ মনে করো।
(সহীহ : মুসলিম ১৪-(২৫৫৩), তিরমিযী ২৩৮৯, সহীহুল জামি‘ ২৮৮০, সহীহ আত্ তারগীব ১৭৩৩, সহীহ আল আদাবুল মুফরাদ ২২৬, মুসান্নাফ ইবনু আবূ শায়বাহ্ ২৫৩৩৫, আহমাদ ১৭৬৩১, শু‘আবুল ঈমান ৭২৭৩, দারিমী ২৭৮৯, আল মুসতাদরাক ২১৭২, আস্ সুনানুল কুবরা ২১৩০৫।)

হাসান ইবনে আলী রাযি থেকে বর্ণিত রয়েছে।

ﻭﻋﻦ ﺍﻟﺤَﺴَﻦِ ﺑﻦ ﻋَﻠﻲٍّ ﺭﺿﻲَ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﻋﻨﻬﻤﺎ ﻗَﺎﻝَ : ﺣَﻔِﻈْﺖُ ﻣِﻦْ ﺭَﺳُﻮﻝ ﺍﻟﻠَّﻪِ ﷺ : « ﺩَﻉْ ﻣَﺎ ﻳَﺮِﻳﺒُﻚَ ﺇِﻟﻰ ﻣَﺎ ﻻ ﻳﺮِﻳﺒُﻚ » ﺭﻭﺍﻩُ ﺍﻟﺘﺮﻣﺬﻱ ﻭﻗﺎﻝ : ﺣﺪﻳﺚٌ ﺣﺴﻦٌ ﺻﺤﻴﺢٌ 

তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ সাঃ কে বলতে শুনেছি।তিনি বলেন,সন্দেহ যুক্ত জিনিষকে পরিহার করে সন্দেহমুক্ত জিনিষকে গ্রহণ করো।(সুনানু তিরমিযি-২৪৪২)

★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন,
(১.২)
এ কথাটি সম্পূর্ণ বানোয়াট ও ভিত্তিহীন কথা। 
শরীয়তের কোথাও এমন কোনো কথা নেই।

(০৩)
হ্যাঁ, তারা শাস্তিযোগ্য হবেন।
আখেরাতে মহান আল্লাহ তায়ালা তাদের শাস্তি দিবেন।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...