আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
70 views
in হালাল ও হারাম (Halal & Haram) by (5 points)
আসসালামুয়ালাইকুম
মুসলিম দের সাধারনতা গুনাহ হয়ে গেলে টা প্রকাশ করে বলে বেরানো উচিত না এবং তাওবাহ করা উচিত।

১।ইসলামে কিছু গুনাহ আছে জেগুলো আল্লাহ নিজেই গুনাহ হিসেবে বলে দিয়েছেন(যেমন- খুন,জেনাহ, চুরি,মদপান  ইত্যাদি)।
২।কিছু গুনাহ আছে যেগুলা সরাসরিভাবে বলা নেই এবং কারণ উপস্থিত থাকলে গুনাহ হয় আর কারণ চলে গেলে তা হালাল হয়ে যায়।
এখন আমাদের দৈনন্দিন জিবনে এমন অনেক গুনাহ আছে যেগুলো হারাম কিন্তু এগুলো গোপন করা যায়না। চুরি,জেনাহ, মদপান এগুল গোপন করা যায়, আবার এগুল কেউ জিজ্ঞেস করেনা।
কিন্তু কিছু গুনাহ যেমন-

৩। সালাত মিস করে ফেলা। আমি ফজরের সালাত মিস করে ফেললাম। গুনাহ হোল। এখন বাসায় জিজ্ঞেস করল যে ফজর আজকে পরস অথবা দিনি বন্ধুরা জিজ্ঞেস করল যে ফজর পরস? তোমাকে মসজিদে দেখলাম না। তখন কি আমরা বলব যে নামাজ পরসি(গুনাহ প্রকাশ করবোনা) নাকি এভাবে বলা যায় যে ; "আজকে পরতে পারিনাই কারণ দেরিতে ঘুমিয়েছিলাম গতকাল। দুয়া কইর জেন নামাজ ঠিক করতে পারি"

৪। আবার বাসায় যদি কাজা পরি তাহলে ত সবাই দেখেই ফেলল যে আমি আমি সালাত পরিনাই। এগুলো কি গুনাহ প্রকাশ করা? আমি এভাবে আগে ভাবতাম না তবে এখন সন্দেহ হচ্ছে।

৫ । বাবা মা  র টাকায় পড়ালেখা করলে সেখানে ফাকি দিলে ত গুনাহ হয়। এখন তারা যদি জিজ্ঞেস করে যে তোমার পড়ালেখার কি অবস্থা? তখন যদি বলি -"সরি আজকে পরিনাই" এই কথা গুলো ত আমাদের দৈনন্দিন জীবনের অংশ। এগুল বললে কি গুনাহ প্রকাশ হয়। কারণ এই বিষয় গুলো গুনাহ হতে হলে আমার অলসতা সহ নানা কারন উপস্থিত থাকতে হবে যা কখন থাকে, কখন না। মানে এগুল যে sure বিষয় তেমন না। এইসব বিষয়ে কি আমাদের গুনাহ প্রকাশ হয়ে গেল এভাবে ভাবা উচিত ?

৬। আমি মোবাইল  এ শয়তানের ধোঁকায় তেমন খুবিই খারাপ না,তবে হারাম দেখছিলাম। এমন অবস্থায় spouse দেখে ফেলল। সে নিজে দেখসে আমি কি করছি। এখন যদি সে বলে এইসব  কি দেখ। তোমার লজ্জা হওয়া উচিত। এই বিষয়ে তো আর কেউ তালাক দেয়না। এগুলা গুনাহ কিন্তু একদম serious ধোঁকা বা পরকিয়া না। এমতাবস্থায় কি সত্য শিকার করে নেয়া উচিত নাকি গোপন করা উচিত? সে যদি এখন তার ফ্যামিলি কে বলে আমার spouse এইসব করে। সে তালাক দিবেনা বাট তাও এমনেই বলে ফেলসে। এগুল কি হারাম?
৭।অনেক সময় আলেম গন কথা বলার সময়, মাসআলা বোঝানর সময় বলেন যে - এই গান হারাম। অল্প বয়সে মানুষ এগুলা শুনে। আমরাও জানতাম না শুনে ফেলসি। এখন তো আর শুনি না। তাওবাহ করসি। হইত এগুল তার জীবনের ৩৫ বছর আগের ঘটনা। মানে খুবিই সাধারন কথাবারতায় মানুষ যা বলে ফেলে। এগুল কি চিন্তার বিষয় যে গুনাহ প্রকাশ করলাম কিনা?

৭। বন্ধুদের সাথে কথা বলার সময় তাকে বললাম এইগুলা করিস না। এগুল হারাম। তখন বলল তুই এগুলা জানিস কেমনে? আমি বললাম যে ভাই এগুলা বাদ দিসি। এতে খালি অশান্তি। এখন দেখ আল্লাহর কথা মেনে কত ভাল আছি। তুই  ও ভাল হয়ে যা। অতি সাধারন কথাবার্তা। এগুল কি চিন্তার বিষয় যে গুনাহ প্রকাশ করলাম কিনা?
৮।এইসব বিষয় যেগুলো দৈনন্দিন জীবনের অংশ, হইতো সাধারনভাবে মানুষ এগুল নিয়ে ভাবেই না। আমার কি উচিত এগুলতে গুনাহ প্রকাশ হয়ে গেল কিনা এভাবে ভাবা। নাকি কেবল মাত্র দিনে ফেরার আগে যদি কোন ভুল করে থাকি সেগুলো আগ বারিয়ে না বলা?

1 Answer

0 votes
by (574,740 points)
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم

হাদীস শরীফে এসেছেঃ- 

وَعَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: كُلُّ أُمَّتِي مُعَافًى إِلَّا الْمُجَاهِرُونَ وَإِنَّ مِنَ الْمَجَانَةِ أَنْ يَعْمَلَ الرَّجُلُ عَمَلًا بِاللَّيْلِ ثُمَّ يُصْبِحَ وَقَدْ سَتَرَهُ اللَّهُ. فَيَقُولَ: يَا فُلَانُ عَمِلْتُ الْبَارِحَةَ كَذَا وَكَذَا وَقَدْ بَاتَ يَسْتُرُهُ رَبُّهُ وَيُصْبِحُ يَكْشِفُ سِتْرَ اللَّهِ عَنْهُ . مُتَّفَقٌ عَلَيْهِ

আবূ হুরায়রা (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ আমার সকল উম্মাত ক্ষমাপ্রাপ্তদের মধ্যে আছে; কিন্তু যে ব্যক্তি নিজের অপরাধ প্রকাশকারী, সে ক্ষমাপ্রাপ্তদের মধ্যে নয়। এটা কতই না লজ্জাহীনতার কাজ যে, লোক রাতে খারাপ কাজ করে, আর আল্লাহ তা‘আলা তার কুকর্ম গোপন করে রাখেন। অতঃপর সকাল হতেই লোকেদেরকে বলে ফেলে, হে অমুক! আমি রাতে এরূপ কাজ করেছি। আল্লাহ তা‘আলা রাতে তার দোষ ঢেকে ছিলেন, কিন্তু সকাল হতেই সে আল্লাহ তা‘আলার পর্দা উন্মুক্ত করে দিলো।

(সহীহ : বুখারী ৬০৬৯, মুসলিম ৫২-(২৯৯০), সহীহুল জামি‘ ৪৫১২, আল মু‘জামুস্ সগীর ৬৩২, আল মু‘জামুল আওসাত্ব ৪৪৯৮, আস্ সুনানুল কুবরা লিল বায়াহাক্বী ১৮০৫৪, শু‘আবুল ঈমান ৯৬৭৩।)

★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
(১-৩)
এক্ষেত্রে তো আর মিথ্যা বলা যাবেনা।
তবে এমতাবস্থায় তাওরিয়া করা যাবে,যেমন এভাবে বলা যাবে যে আমি নামাজ পড়িনি,এটা আপনার বিশ্বাস হয়?

(০৪)
এক্ষেত্রে গোপনে কাজা আদায়ের কথা কিতাবে এসেছে।

(০৫)
না পড়লে "পড়িনাই" এমন উত্তরই তো দিতে হবে। নতুবা মিথ্যা বলার গুনাহ হবে।

(০৬)
মিথ্যা বলা তো যাবেনা।
তবে তাওরিয়াহ করা যাবে।
ফ্যামিলি কে বলে দিলে এভাবে বলা যাবে যে "আপনারা কি বিশ্বাস করেন যে আমি এহেন কাজ করতে পারি?"

(০৭)
হ্যাঁ, উপরোক্ত ছুরত গুলোতে গুনাহ প্রকাশ করা হয়ে যায়।

(০৮)
পরবর্তীতে সংশোধন হয়ে চলা আর গুনাহের কথা প্রকাশ না করার চেষ্টা করা,কেহ প্রশ্ন করলে এড়িয়ে চলার নীতি অবলম্বন করার পরামর্শ থাকবে। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...