জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم
হাদীস শরীফে এসেছেঃ-
وَعَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: كُلُّ أُمَّتِي مُعَافًى إِلَّا الْمُجَاهِرُونَ وَإِنَّ مِنَ الْمَجَانَةِ أَنْ يَعْمَلَ الرَّجُلُ عَمَلًا بِاللَّيْلِ ثُمَّ يُصْبِحَ وَقَدْ سَتَرَهُ اللَّهُ. فَيَقُولَ: يَا فُلَانُ عَمِلْتُ الْبَارِحَةَ كَذَا وَكَذَا وَقَدْ بَاتَ يَسْتُرُهُ رَبُّهُ وَيُصْبِحُ يَكْشِفُ سِتْرَ اللَّهِ عَنْهُ . مُتَّفَقٌ عَلَيْهِ
আবূ হুরায়রা (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ আমার সকল উম্মাত ক্ষমাপ্রাপ্তদের মধ্যে আছে; কিন্তু যে ব্যক্তি নিজের অপরাধ প্রকাশকারী, সে ক্ষমাপ্রাপ্তদের মধ্যে নয়। এটা কতই না লজ্জাহীনতার কাজ যে, লোক রাতে খারাপ কাজ করে, আর আল্লাহ তা‘আলা তার কুকর্ম গোপন করে রাখেন। অতঃপর সকাল হতেই লোকেদেরকে বলে ফেলে, হে অমুক! আমি রাতে এরূপ কাজ করেছি। আল্লাহ তা‘আলা রাতে তার দোষ ঢেকে ছিলেন, কিন্তু সকাল হতেই সে আল্লাহ তা‘আলার পর্দা উন্মুক্ত করে দিলো।
(সহীহ : বুখারী ৬০৬৯, মুসলিম ৫২-(২৯৯০), সহীহুল জামি‘ ৪৫১২, আল মু‘জামুস্ সগীর ৬৩২, আল মু‘জামুল আওসাত্ব ৪৪৯৮, আস্ সুনানুল কুবরা লিল বায়াহাক্বী ১৮০৫৪, শু‘আবুল ঈমান ৯৬৭৩।)
★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
(১-৩)
এক্ষেত্রে তো আর মিথ্যা বলা যাবেনা।
তবে এমতাবস্থায় তাওরিয়া করা যাবে,যেমন এভাবে বলা যাবে যে আমি নামাজ পড়িনি,এটা আপনার বিশ্বাস হয়?
(০৪)
এক্ষেত্রে গোপনে কাজা আদায়ের কথা কিতাবে এসেছে।
(০৫)
না পড়লে "পড়িনাই" এমন উত্তরই তো দিতে হবে। নতুবা মিথ্যা বলার গুনাহ হবে।
(০৬)
মিথ্যা বলা তো যাবেনা।
তবে তাওরিয়াহ করা যাবে।
ফ্যামিলি কে বলে দিলে এভাবে বলা যাবে যে "আপনারা কি বিশ্বাস করেন যে আমি এহেন কাজ করতে পারি?"
(০৭)
হ্যাঁ, উপরোক্ত ছুরত গুলোতে গুনাহ প্রকাশ করা হয়ে যায়।
(০৮)
পরবর্তীতে সংশোধন হয়ে চলা আর গুনাহের কথা প্রকাশ না করার চেষ্টা করা,কেহ প্রশ্ন করলে এড়িয়ে চলার নীতি অবলম্বন করার পরামর্শ থাকবে।