ওয়া
আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু
بسم
الله الرحمن الرحيم
জবাব,
কাবার দিকে ইচ্ছাকৃতভাবে পা দেওয়া মাকরুহ। অনিচ্ছায় হলে সমস্যা নেই। কারণ,
এতে করে কাবার অসম্মান করা হয়।
وَمَن يُعَظِّمْ
شَعَائِرَ اللَّهِ فَإِنَّهَا مِن تَقْوَى الْقُلُوبِ [٢٢:٣٢
কেউ আল্লাহর নামযুক্ত বস্তুসমূহের
প্রতি সম্মান প্রদর্শন করলে তাতো তার হৃদয়ের আল্লাহভীতি প্রসূত। [সূরা হাজ্জ্ব-৩২]
কিবলামুখী হয়ে পেশাব পায়খানা
করা মাকরূহ।
حَدَّثَنَا عَبْدُ
اللهِ بْنُ مُحَمَّدٍ النُّفَيْلِيُّ، حَدَّثَنَا ابْنُ الْمُبَارَكِ، عَنْ مُحَمَّدِ
بْنِ عَجْلَانَ، عَنِ الْقَعْقَاعِ بْنِ حَكِيمٍ، عَنْ أَبِي صَالِحٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ،
قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم " إِنَّمَا أَنَا لَكُمْ بِمَنْزِلَةِ
الْوَالِدِ أُعَلِّمُكُمْ، فَإِذَا أَتَى أَحَدُكُمُ الْغَائِطَ، فَلَا يَسْتَقْبِلِ
الْقِبْلَةَ، وَلَا يَسْتَدْبِرْهَا، وَلَا يَسْتَطِبْ بِيَمِينِهِ " . وَكَانَ
يَأْمُرُ بِثَلَاثَةِ أَحْجَارٍ، وَيَنْهَى عَنِ الرَّوْثِ وَالرِّمَّةِ . حسن
আবূ হুরাইরাহ্ (রাঃ) সূত্রে
বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ আমি তোমাদের
জন্য পিতৃতুল্য, তোমাদেরকে আমি দ্বীন শিক্ষা দিয়ে থাকি। তোমাদের কেউ পায়খানায় গেলে
কিবলামুখী হয়ে বসবে না এবং কিবলার দিকে পিঠ দিয়েও বসবে না, আর ডান হাতে শৌচ করবে না।
তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) তিনটি ঢিলা ব্যবহারের নির্দেশ দিতেন এবং গোবর
ও হাড্ডি দ্বারা শৌচ করতে নিষেধ করতেন। (মুসলিম -হাঃ ৪০,আবু দাউদ ০৮)
أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ
بْنُ سَلَمَةَ، وَالْحَارِثُ بْنُ مِسْكِينٍ، قِرَاءَةً عَلَيْهِ وَأَنَا أَسْمَعُ،
وَاللَّفْظُ، لَهُ عَنِ ابْنِ الْقَاسِمِ، قَالَ حَدَّثَنِي مَالِكٌ، عَنْ إِسْحَاقَ
بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ أَبِي طَلْحَةَ، عَنْ رَافِعِ بْنِ إِسْحَاقَ، أَنَّهُ سَمِعَ
أَبَا أَيُّوبَ الأَنْصَارِيَّ، وَهُوَ بِمِصْرَ يَقُولُ وَاللَّهِ مَا أَدْرِي كَيْفَ
أَصْنَعُ بِهَذِهِ الْكَرَايِيسِ وَقَدْ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم
" إِذَا ذَهَبَ أَحَدُكُمْ إِلَى الْغَائِطِ أَوِ الْبَوْلِ فَلاَ يَسْتَقْبِلِ
الْقِبْلَةَ وَلاَ يَسْتَدْبِرْهَا " .
মুহাম্মদ ইবনু সালামা ও
হারিস ইবনু মিসকীন (রহঃ) ... রাফি ইবনু ইসহাক (রহঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি আবূ আইয়্যূব
আনসারী (রাঃ) এর মিসর অবস্থানকালে তাঁকে বলতে শুনেছেন- আল্লাহর শপথ! আমি জানি না কিভাবে
(মিসরের) এই পায়খানা ব্যবহার করবো। অথচ রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম
বলেছেনঃ তোমাদের মধ্যে কেউ যখন মল-মূত্র ত্যাগের উদ্দেশ্যে গমন করবে, তখন সে যেন কিবলামুখী
হয়ে ও কিবলাকে পেছনে রেখে না বসে। (সহীহ, ইবনু মাজাহ হাঃ ৩১৮,নাসায়ী ২০)
এই হাদিস গুলো থেকে বুঝা
যায়, এমন কোনো কাজ করা যাবে না, যা কেবলার অসম্মান হয়। তাই কেবলার দিকে পা দিলেও যেহেতু
তার অসম্মান বুঝায়, তাই কেবলা তথা পশ্চিম দিকে পা দিয়ে শোয়া মাকরূহ হবে। তবে যদি কোনো
ওযর থাকে, তাহলে পা দেওয়ার অনুমতি রয়েছে।
وفى الفتاوى الهندية-
ويكره مد الرجلين إلى الكعبة في النوم وغيره عمدا (الفتاوى الهندية، كتاب الكراهية،
الباب الخامس في آداب المسجد والقبلة والمصحف-5/319
কাবার দিকে ইচ্ছেকৃত পা
লম্বা করা মাকরূহ। ঘুমন্ত বা জাগ্রত অবস্থায়। {ফাতাওয়া হিন্দিয়া-৫/৩১৯, আল মুহিতুল
বুরহানী-৮/১০, ফাতওয়ায়ে মাহমুদিয়া-২৯/১৭৪}
অনিচ্ছায় হলে সমস্যা নেই।কিন্তু
অসম্মান প্রদর্শনের নিয়তে হলে ঈমান চলে যাবার আশংকা থাকবে। ফুকাহায়ে কেরামদের ভাষ্যমতে
স্বাভাবিক অবস্থায় পশ্চিম দিকে পা রাখা মাকরুহ।
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
১. অসম্মান প্রদর্শনের উদ্দেশ্যে পশ্চিম দিকে পা রাখা, থুথু নিক্ষেপ, কোনো কিছু নিক্ষেপ করা কুফুরী। অপারগ অবস্থায় রাখা
জায়েয। অনিচ্ছাকৃত হলেও জায়েয। ইচ্ছাকৃত তবে অসম্মান প্রদর্শনের নিয়তে নয়, এমন হলে মাকরুহ। কেননা
আমাদের সমাজে অসম্মানই গণ্য করা হয়। আরো সংশ্লিষ্ট বিধান উপরে উল্লেখ করা হয়েছে।
২. বিবাহের পূর্বে কোন মেয়েকে
নিয়ে আল্লাহ তাআলার নিকটে এভাবে দোয়া করা যাবে যে, হে আল্লাহ যদি উক্ত মেয়ের সাথে
বিবাহের মধ্যে আমার কল্যাণ থাকে তুমি ফায়সালা করে দাও। কিন্তু বিবাহ করার পূর্বে তাকে নিয়ে খারাপ কোনো
কল্পনা করা বা খারাপ চিন্তা করা সম্পূর্ণ হারাম। তবে বিয়ের পরের জীবন নিয়ে প্লানিং
করাটা দোষের কিছু নয়। বরং আরো উত্তম। তবে একান্ত ব্যক্তিগত শারীরিক সম্পর্ক ইত্যাদী
বিষয়াদি নিয়ে চিন্তা ভাবনা করা থেকে বিরত থাকা চায়। এমনকি আপনি প্রশ্নে যা উল্লেখ
করা করেছেন তা থেকেও বিরত থাকতে হবে। কেননা, সে আপনার হবু স্ত্রী হলেও এখনো স্ত্রী
নয়। বিধায়, তাকে নিয়ে এজাতীয় কল্পনা করা যাবে না। আরো জানুন: https://www.ifatwa.info/86069/