আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
69 views
in হালাল ও হারাম (Halal & Haram) by (8 points)

আসসালামু আলাইকুম

আমাদের একটি সংগঠন আছে সেই সংগঠনে আমরা ১৮ জন সদস্য মিলে ,একটি সমিতি গঠন করি এবং আমরা প্রতি মাসে ২০০ টাকা করে চাঁদা সংগ্রহ করি এবং সেই টাকা বর্তমানে আমরা বিনিয়োগ করতে চাচ্ছি কোন  ব্যবসায়। পূর্বে আমরা গুরু কিনে বিক্রি করেছিলাম। 

মূল প্রশ্নঃ 

আমার বড় ভাই পেশায় অটোচালক ওনি ওনার অটোর ব্যাটারি নষ্ট হয়ে যাওয়ায় এখন নতুন ব্যাটারি কেনার জন্য টাকা প্রয়োজন এমত অবস্থায় উনার কাছে নির্ধারিত টাকা নেই সেজন্য  উনি নির্ধারিত টাকা বিভিন্ন ধরনের কিস্তি থেকে নিবেন এবং তার বিনিময়ে কিছু লাভও দিবে যেহেতু লাভ সুদ ইসলামে হারাম সেহেতু আমি চাচ্ছিলাম না যে সে এই হারাম কাজে লিপ্ত হোক। 

উপরোক্ত অবস্থা থেকে ফিরিয়ে আনার লক্ষ্যে বিবেচনা করে আমি ভাবলাম যে আমরা যদি আমাদের সমিতি থেকে  ত্রিশ হাজার টাকায়  ব্যাটারি কিনে উনার কাছে  ২০০০-২৫০০ টাকা লাভ করে বিক্রি করি এবং নির্ধারিত টাকা পরিশোধ করার জন্য তাকে ৬ মাস সময় দেই প্রতি মাসে উনি আমাদের 5000 করে টাকা দিয়ে উপরোক্ত টাকাগুলো পরিশোধ করে দিবে সে ক্ষেত্রে আমাদের এই ব্যবসা কে ইসলামের সারিয়া অনুযায়ী  হালাল হচ্ছে ? নাকি হারাম এর মিশ্রন গটে যাচ্ছে, বা এটার মধ্যে যদি হারাম মিশ্রণ বা হারামের আশঙ্কা থাকে তাহলে কিভাবে আমরা হালালভাবে ওনাকে সাহায্য করতে পারি সেই চোখ থেকে ফিরিয়ে আনার জন্য।

ব্যাটারি টি লাভ যত করে বিক্রি করতে চাচ্ছি ওনার কাছে এতে করে তার কিনতে কোন সমস্যা নেই, 

আরেকটি বিষয় হল ব্যাটারি কিনার জন্য আমাদের প্রতিনিধি হিসেবে কেউ যাচ্ছে না যেহেতু উনি আমার বড় ভাই সে ক্ষেত্রে উনার প্রতি আমাদের একটি বিশ্বাস আছে যে উনি আমাদের প্রতিনিধি তো এক্ষেত্রে কি এটা ইসলামের শারিয়া লংঘন করছে ? 

যেহেতু এটি একটি সমিতি এবং আমরা পূর্বে কখনো লাভে বা সুদে টাকা কাউকে দেইনি আমরা এই বিষয়টি নিয়ে খুবই সচেতন  অবস্থায় আছে ।

1 Answer

0 votes
by (597,330 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
আবূ বকর ইবনু আবূ শায়বা, আমরুন নাকিদ ও ইসহাক ইবনু ইবরাহীম (রহঃ) ... উবাদা ইবনু সামিত (রাঃ) থেকে বর্ণিত। 
عَنْ عُبَادَةَ بْنِ الصَّامِتِ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " الذَّهَبُ بِالذَّهَبِ وَالْفِضَّةُ بِالْفِضَّةِ وَالْبُرُّ بِالْبُرِّ وَالشَّعِيرُ بِالشَّعِيرِ وَالتَّمْرُ بِالتَّمْرِ وَالْمِلْحُ بِالْمِلْحِ مِثْلاً بِمِثْلٍ سَوَاءً بِسَوَاءٍ يَدًا بِيَدٍ فَإِذَا اخْتَلَفَتْ هَذِهِ الأَصْنَافُ فَبِيعُوا كَيْفَ شِئْتُمْ إِذَا كَانَ يَدًا بِيَدٍ " .
তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ স্বর্ণ স্বর্ণের বিনিময়ে, রৌপ্য বৌপ্যের বিনিময়ে, গম গমের বিনিময়ে, যব যবের বিনিময়ে, খেজুর খেজুরের বিনিময়ে এবং লবন লবনের বিনিময়ে সমান সমান সমপরিমাণ ও হাতে হাতে হতে (নগদ) হবে। অবশ্য এই দ্রব্যগুলো যদি একটা অপরটার সাথে বিনিময় হয়। (অর্থাৎ পণ্য এক জাতীয় না হয়) তোমরা যেরূপ ইচ্ছা করতে পার যদি হাতে হাতে (নগদে) হয়।(সহীহ মুসলিম-৩৯১৮)

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
এক জাতীয় একাধিক বস্তুকে কমবেশ করে বিক্রি করা সুদ।কিন্তু প্রশ্নের বর্ণিত সূরতে যেহেতু লেনদেন একজাতীয় জিনিষে হচ্ছে না, তাই এটা জায়েয হবে।ব্যটারি আপনাদের কেউ একজন কিনে নিয়ে এসে তারপর ঐ রিক্সাওয়ালা ব্যক্তির নিকট বিক্রয় করতে হবে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...