আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
80 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (27 points)
edited by
আসসালামু আলাইকুম ওয়ারাহমাতুল্লাহি ওয়াবারাকাতুহু
হুজুর প্রশ্নটা একটু বড়ো হবে। ডিটেইলস এ বলার কারনে। point আকারে বলছি হুজুর।

১) আমি একটা কোর্স করছি। বি এড। এটা স্কুলে শিক্ষকতার চাকরির জন্য৷ এটার পরে TET একটা পরীক্ষা হয়। এটা শিক্ষকতার চাকরির চূড়ান্ত পরীক্ষা। এই পরীক্ষায় বসতে হলে বি এড সার্টিফিকেট প্রয়োজন।  ৫০ / ৫৫ শতাংশ নাম্বারের প্রয়োজন।
২)তারপরে TET পাশ করলে  এই টেট পরীক্ষা থেকে প্রাপ্ত নম্বরের ৭০% নাম্বার যোগ হবে

Class 12 থেকে ১২ %,  BA honours থেকে ৩%  আর বি এড থেকে ১৫%= ৩০%
তারপরে রেজাল্ট এর উপরে ভিত্তি করে চাকরি্।  কখনো কখনো সরকার সরাসরি টেট প্রাপ্ত নম্বরের উপর ভিত্তি করেই সরাসরি চাকরি দিয়ে দেয়।  উপরের আগের ক্লাস থেকে প্রপ্ত নম্বরগুলি যোগ হয় না কখনও কখনও।

(টেট পরীক্ষার কোয়ালিফাইং নাম্বার হচ্ছে ৯০।  ১৫০ নম্বরের পরীক্ষা হয়,  ৯০ পেলে চাকরির জন্য যোগ্য।)

৩)আমি স্কুল পরীক্ষায় কখনো নকল করিনি। একবার লুকিয়ে বাথরুমে দেখতে দিয়ে হাত পা কাপা শুরু হয়ে যায়।  আর করিনি। এটা ক্লাস 12 পর্যন্ত।  নকলের কোনো রেকর্ড নাই।
৪)কলেজে উঠার পরে ইংরেজি সাহিত্যে ভর্তি হই।  তিন বছরে ছয়টি সেমিস্টারে পরীক্ষা দিতে হয়। ৪  সেমিস্টার পড়ে পরীক্ষা দেই।  আর দুই সেমিস্টার করুনা মহামারীর সময়। ২য় সেমিস্টার আমি খুব পড়ি।  রাত ২ টা আড়াইটা।  খুব কম ঘুমিয়েছি। তারপরে অনলাইন পরীক্ষা হয়।  দশটি সঠিক উত্তর বাছাই। দশটিতে দশটি সঠিক হলে ১০০ নম্বর।  ১ টা প্রশ্নের মান দশ করে।  আমি এই পরীক্ষাটা পড়লেও প্রশ্ন যখন কলেজ থেকে দেওয়া হয়, ছেলেরা কেউ একজন হয়তো প্রাইভেট শিক্ষকের কাছে পাঠিয়ে দেয়, ঃউনি ও উত্তর জানিয়ে দেন আমরা দেখে দেখে সঠিক উত্তর দিয়ে দেই। ( তার মানে  এটা নকল) আবার কলেজের গ্রুপেও উত্তরগুলো দিয়ে দেওয়া হয়েছিলো।

৫)চতুর্থ সেমেস্টারে এতোটা পড়িনি। করুনা হওয়ায় আর  পড়িইনি।  কারন জানতাম পাশ করে ফেলবো৷ (২য় সেমিস্টারের মতো একইভাবে পরীক্ষা দেই) ।  আর বাকি সেমিস্টার সম্পুর্ন সততার সাথে পরীক্ষা দেই।

৬)আর বাকি B ed এ ভর্তি হই। সেমিস্টার গুলো পড়ি। কলেজে তো একদিনও যাইনি। তাও চলতো। কিন্তুু পরীক্ষার দিন ১০/ ১৫ মিনিট আগে প্রশ্ন আউট হয়ে যায়।  আমি প্রশ্নটা দেখে ফেলতাম। প্রায় গুলোই কমন থাকতো।  প্রশ্নটা দেখে রিভাইজ দিয়ে দিতাম।  হলে গিয়ে কিছু মনে থাকতো। বাকিগুলি নিজে নিজেই বানিয়ে বানিয়ে লিখতাম। যতটুকু পারতাম। দেখলেও উত্তর পুরোপুরি মনে না থাকতো।   তিনটি সেমেস্টার দিয়েছি। এভাবে।
৭)একটা সেমিস্টার পড়িইনি।  কারন এই সেমিস্টারে শুধু একটি বিষয়ে পরীক্ষা হতো।তাই চাপ কম বিধায় আর পড়িনি। । ১/২ দিনে যতটুকু পড়েছি,  প্রশ্ন দেখে রিভাইজ দিয়েছি। তারপরে পরীক্ষা দিয়েছি। যতটুকু মনে ছিলো বানিয়ে বানিয়ে লিখে উত্তরপত্র জমা দিয়েছি। এটার রেজাল্ট এখনো দেয়নি। আর

৮) এই তৃতীয় সেমেস্টার এ আরেকটি বিষয় ছিলো Internship. ক্লাস করানো। শিক্ষকরা কলেজথেকে এটা করায়নি। তারা এর বদলে ৬০০০ করে টাকা চেয়েছে। আমরাও দিয়ে দিয়েছি। আমার ও মৌন সম্মতি ছিল।  রোজার সময়ও ছিলো।  তাই টাকাটা দিয়ে দিয়েছিলাম। অথচ এটাই বি এডের মুল। Internship.
৯)আর একটি বিষয়,  কলেজ থেকে Practicum দেয়।  যেগুলো কোনো স্কুলে,  Municipal Corporation এ গিয়ে data কালেক্ট করে করতে হয়। কলেজ পুর্বের Semester এ যারা জমা দিয়েছিলো তাদের practicum গুলো দেয়। আমরা দেখে দেখে করে ফেলি। এটাও ত একপ্রকার জোচ্চুরি করি আমরা ছাত্ররা।
সব মিলিয়ে কিছুদিন পর  Certificate দেওয়া হবে  চতুর্থ সেমেস্টারের পরে  b ed কোর্সের। ( আমি জানি এটা  জায়েজ/ হালাল হবে না।) এক সেমেস্টার আর পড়ে দিলে তো আর সব ঠিক হবে না।
আমার মুলপ্রশ্ন,
এই,   Class 12, BA honours, আর  B ed  Certificate গুলো দিয়ে TET পরীক্ষা ( Teacher Eligibility Test) (শিক্ষক যোগ্যতা পরীক্ষা)  পাশ করে ফেলি, আর চাকরিটা নিই,  চাকরিটা কী হালাল হবে?  (কারন এই পরীক্ষাা জন্যই বছরের পর বছর পরেছি। বি এড এ ফাকি দিয়েছি। এটাতে জোচ্চুরির সুযোগ নাই)

আর না হলে আমার ১৪/১৫ বছরের পড়ালেখা   B ed কোর্সের জন্য মাটি হয়ে যাবে।.

দয়া করে জানাবেন।

আর কলেজটাও বেসরকারি। চুক্তিনির্ভর। আমি নিশ্চিত নই কলেজের সাথে পাশ ফেল বা নম্বরের ব্যপারে চুক্তি হয়েছিলো কিনা। কলেজ যে নাম্বারটা বিশ্ববিদ্যালয়ে পাঠায় সেটা হচ্ছে, Practicum এবং assignment এর।  Practicum তো বলেইছি কলেজ ডেমু দিয়ে দেয়,  আমরা দেখে দেখে লিখে ফেলি। এটাও গুনাহের আওতায় পড়বে। আর তাছাড়া এগুলো জমা দেওয়ার আগে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে যে শিক্ষক পাঠানো হয়, তাকেও অনেকক্ষেত্রে জোচ্চুর পেয়েছি। তারাও নম্বরের জন্য  টাকা দিতে বলে। আমি একবার দেই নাই। ঘার ত্যারামি করেছিলাম। পরে কলেজের একজন উচু পদের মানুষ আমার সমালোচনা করেছিলো। আর পরের বার জোর করেই টাকা নেয়। আমার হিসেব ছিলো জোচ্চুরি করা এই practicum  কীসের টাকা দেবো। নাম্বারই ত পাওয়ার যোগ্য না। যা দেয় তাতেই চলবে আমার। তাও পরের বার জোর করে আদায় করে। আমি আর পারিনি। সব কিছুই খুলে বলেছি। কিছু বাদ রাখিনি। একটু দয়া করে জানাবেন হুজুর।

1 Answer

0 votes
by (597,330 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
নকলকারী যখন অন্যান্যদের মত কাজ করতে সক্ষম হবে তখন তার জন্য উক্ত চাবুরী বৈধ এবং বেতনও বৈধ।তবে অতীতের পাপের জন্য তাকে ক্ষমা চাইতে হবে। আল্লাহ অবশ্যই ক্ষমা করে দেবেন।আল্লাহ তা'আলা বলেন,
الَّذِينَ يَأْكُلُونَ الرِّبَا لاَ يَقُومُونَ إِلاَّ كَمَا يَقُومُ الَّذِي يَتَخَبَّطُهُ الشَّيْطَانُ مِنَ الْمَسِّ ذَلِكَ بِأَنَّهُمْ قَالُواْ إِنَّمَا الْبَيْعُ مِثْلُ الرِّبَا وَأَحَلَّ اللّهُ الْبَيْعَ وَحَرَّمَ الرِّبَا فَمَن جَاءهُ مَوْعِظَةٌ مِّن رَّبِّهِ فَانتَهَىَ فَلَهُ مَا سَلَفَ وَأَمْرُهُ إِلَى اللّهِ وَمَنْ عَادَ فَأُوْلَـئِكَ أَصْحَابُ النَّارِ هُمْ فِيهَا خَالِدُونَ
যারা সুদ খায়, তারা কিয়ামতে দন্ডায়মান হবে, যেভাবে দন্ডায়মান হয় ঐ ব্যক্তি, যাকে শয়তান আসর করে মোহাবিষ্ট করে দেয়। তাদের এ অবস্থার কারণ এই যে, তারা বলেছেঃ ক্রয়-বিক্রয় ও তো সুদ নেয়ারই মত! অথচ আল্লা’হ তা’আলা ক্রয়-বিক্রয় বৈধ করেছেন এবং সুদ হারাম করেছেন। অতঃপর যার কাছে তার পালনকর্তার পক্ষ থেকে উপদেশ এসেছে এবং সে বিরত হয়েছে, পূর্বে যা হয়ে গেছে, তা তার। তার ব্যাপার আল্লাহর উপর নির্ভরশীল। আর যারা পুনরায় সুদ নেয়, তারাই দোযখে যাবে। তারা সেখানে চিরকাল অবস্থান করবে।(সূরা বাকারা-২৭৫)
ইবনে তাইমিয়্যাহ রাহ বলেন,এ আয়াত আম।সুতরা যে ব্যক্তি যেকোনো বিষয়ে সংশোধন হয়ে গেলে আল্লাহ অতীতের গোনাহ সমূহকে ক্ষমা করে দেবেন।এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/726



সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
আপনি চাকুরী নেয়ার পর যদি সঠিকভাবে কাজ আঞ্জাম দিতে পারেন, তাহলে আপনার ঐ চাকুরী বাবৎ ইনকাম হালাল হবে। অতীতে যদি কোনো দুর্নীতি থাকে, তাহলে সেজন্য মহান রবের কাছে তাওবাহ করতে হবে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...