জবাবঃ-
بسم الله الرحمن الرحيم
(০১)
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে উভয়কে নিয়ে একজায়গায় বসে নিজের ভুল স্বীকার করে তাদের কাছে ক্ষমা চাইবেন,এবং ভবিষ্যতে আর এহেন কাজ না করার ওয়াদা করবেন।
(০২)
মাসজিদ ঝাড়ু দেয়ার ফজিলত সম্পর্কে হাদীস শরীফে এসেছেঃ-
وَعَنْ أَبِي هُرَيرَةَ رضي الله عنه، عَن رَسُولِ الله ﷺ، قَالَ: أَنَّ امْرَأَةً سَوْدَاءَ كَانَتْ تَقُمُّ المَسْجِدَ، أَوْ شَابّاً، فَفَقَدَهَا، أَوْ فَقَدَهُ رَسُولُ اللهِ ﷺ، فَسَأَلَ عَنْهَا، أو عَنهُ، فَقَالُوا : مَاتَ . قَالَ: «أَفَلا كُنْتُمْ آذَنْتُمُونِي»فَكَأنَّهُمْ صَغَّرُوا أمْرَهَا، أَوْ أمْرهُ، فَقَالَ: «دُلُّونِي عَلَى قَبْرِهِ»فَدَلُّوهُ فَصَلَّى عَلَيْهَا، ثُمَّ قَالَ: «إنَّ هذِهِ القُبُورَ مَمْلُوءةٌ ظُلْمَةً عَلَى أهْلِهَا، وَإنَّ اللهَ تَعَالَى يُنَوِّرُهَا لَهُمْ بِصَلاَتِي عَلَيْهِمْ». مُتَّفَقٌ عَلَيهِ
হযরত আবু হুরাইরাহ রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত কালোবর্ণের একজন মহিলা অথবা যুবক মসজিদ ঝাড়ু দিত। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাকে (একদিন) দেখতে পেলেন না। সুতরাং তিনি তার সম্পর্কে জিজ্ঞেস করলেন। সাহাবিগণ বললেন, সে মারা গেছে।’ তিনি বললেন, তোমরা আমাকে সংবাদ দিলে না কেন?’’ তাঁরা যেন তার ব্যাপারটাকে নগণ্য ভেবেছিলেন। তিনি বললেন, আমাকে তার কবরটা দেখিয়ে দাও।’’ সুতরাং তাঁরা তার কবরটি দেখিয়ে দিলেন এবং তিনি তার উপর জানাযা পড়লেন। অতঃপর তিনি বললেন, নিশ্চয় এ কবরসমূহ কবরবাসীদের জন্য অন্ধকারময়। আর আল্লাহ তাআলা তাদের জন্য আমার জানাযা পড়ার কারণে তা আলোময় করে দেন।’’ [বুখারি১৩৩৭, ৪৫৮, ৪৬০, মুসলিম ৯৫৬, আবু দাউদ ৩২০৩, ইবন মাজাহ ১৫২৭, আহমদ ৮৪২০, ৮৮০৪, ৯০১৯
★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন,
মসজিদ ঝাড়ু দেয়া অনেক ফজিলতের কাজ। তবে মসজিদ ঝাড়ু দিলে দোয়া কবুল হয়,এধরনের কোনো কথা হাদীসে পাইনি।
(০৩)
মোহরানা স্ত্রীর অধিকার।
সর্বনিম্ন মোহর ১০ দিরহাম,আর সর্বোচ্চ কোনো নির্দিষ্ট নেই।
এটি স্বামী ও তার অভিভাবক, এবং স্ত্রীর অভিভাবকগন স্ত্রীর অনুমতি স্বাপেক্ষে সন্তুষ্টি চিত্তে নির্ধারন করবেন।
,
যাহা নির্দিষ্ট হবে,স্বামীকে তাহা আদায় করতেই হবে।
স্বামী দেনমোহর আদায় না করলে তা ঋণ হিসেবে তার জিম্মায় বাকি থেকে যাবে।
স্ত্রী যদি উক্ত দেনমোহর মাফ না করে, আর স্বামীও তা পরিশোধ না করে, তাহলে কিয়ামতের ময়দানে স্বামীর অপরাধী সাব্যস্ত হবে। তাই দেনমোহরের টাকা পরিশোধ করে দেয়া জরুরী।
মহান আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেনঃ
وَالْمُحْصَنَاتُ مِنَ الْمُؤْمِنَاتِ وَالْمُحْصَنَاتُ مِنَ الَّذِينَ أُوتُوا الْكِتَابَ مِن قَبْلِكُمْ إِذَا آتَيْتُمُوهُنَّ أُجُورَهُنَّ [٥:٥]
তোমাদের জন্যে হালাল সতী-সাধ্বী মুসলমান নারী এবং তাদের সতী-সাধ্বী নারী, যাদেরকে কিতাব দেয়া হয়েছে তোমাদের পূর্বে, যখন তোমরা তাদেরকে মোহরানা প্রদান কর। [সূরা মায়িদা-৫]
وَلَا جُنَاحَ عَلَيْكُمْ أَن تَنكِحُوهُنَّ إِذَا آتَيْتُمُوهُنَّ أُجُورَهُنَّ [٦٠:١٠]
তোমরা, এই নারীদেরকে প্রাপ্য মোহরানা দিয়ে বিবাহ করলে তোমাদের অপরাধ হবে না। [সূরা মুমতাহিনা-১০]
বিস্তারিত জানুনঃ-
★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন,
মোহরানা স্ত্রীর অধিকার।
স্বামী তাহা পরিশোধ না করলে আর স্ত্রীও তাহা সন্তুষ্টি চিত্তে মাফ না করে দিলে এটা আজীবন পাওনা হিসেবেই থাকবে।
স্বামী দেনমোহর আদায় না করলে তা ঋণ হিসেবে তার জিম্মায় বাকি থেকে যাবে।
স্ত্রী যদি উক্ত দেনমোহর মাফ না করে, আর স্বামীও তা পরিশোধ না করে, তাহলে কিয়ামতের ময়দানে স্বামীর অপরাধী সাব্যস্ত হবে।
★সুতরাং প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে তালাকপ্রাপ্ত স্ত্রী যদি উক্ত দেনমোহরের টাকা মাফ না করে দেয়,সেক্ষেত্রে সে তার প্রাক্তন স্বামীর থেকে পাওনা দেনমোহর চাইতে পারবে।
এটা তার অধিকার।