আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
70 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (13 points)
আসসালামুয়ালাইকুম
ওস্তাদ, আমি আইওএম এর স্টুডেন্ট আলহামদুলিল্লাহ। আমার ইচ্ছা আছে এখান থেকে আলিম কোর্স শেষ করে, অফলাইন মাদ্রাসায় যাওয়া এবং বৃহৎ পরিসরে দাওয়াতী কাজের জন্য নিজেকে উপযোগী হিসেবে গড়ে তোলা। ওস্তাদ আমি জানি আমাদের অনলাইন মাদ্রাসায় আলিম কোর্স শেষ করার পরে, দাওরা হাদিস কোর্স পাঁচ বছরের আছে, তারপরও আমার ইচ্ছা অফলাইন গিয়ে পড়া। (আমার বর্তমান বয়স ২১, আলিম কোর্স শেষ করার পরে বয়স হবে ২৩ বছর ।) সব মিলিয়ে শারীরিক চাহিদার একটা বিষয়ও আছে।
এরই পরিপ্রেক্ষিতে আমি গতকাল ঘুমানোর আগে ইস্তেখারা করেছিলাম এই বিষয় নিয়ে যে, এখন থেকে আমি অফলাইন মাদ্রাসায় যাওয়ার প্রস্তুতি নিব, নাকি বাড়িতেই অনলাইনে পড়ার পাশাপাশি বিবাহ সংসার করবো।
তো ইস্তেখারা করে ঘুমানোর পর আজ সকালে স্বপ্ন দেখলাম দাওয়াতি কাজ নিয়ে। আবার দুঃখজনক হলেও সত্য যে স্বপ্নটা যখন দেখেছি তখন ফজরের ওয়াক্ত শেষ হবে তখন, মানে আজকে আমার ফজরের নামাজ কাজা করা লাগছে। ওস্তাদ তাহলে এই স্বপ্নের মধ্যে কি কোন কল্যাণ আছে? আবার গতকাল আমি দাওয়াতি কাজ নিয়ে একটু জানাশোনা করছিলাম, ওস্তাদ এমন হতে পারে কিনা গতকালকের ওইটাই আমার ঘুমের মধ্যে কল্পনায় আসছে?
ওস্তাদ গঠনমূলক আলোচনার দাবি রাখছি ইনশাআল্লাহ।
ওস্তাদ এখন আমার কি করা উচিত?

1 Answer

0 votes
by (58,830 points)

ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু

بسم الله الرحمن الرحيم

জবাব,

ইসলামের দৃষ্টিতে স্বপ্ন তিন প্রকার।

১. যা আল্লাহর পক্ষ থেকে বান্দাহকে দেখানো হয় যা কল্যানকর হয়।

২. শয়তানের পক্ষ হতে দেখানো হয় যাতে মানুষ খারাপ, মন্দ ভয়ংকর কিছু দেখে থাকে।

তবে শয়তান স্বপ্ন দেখানোর দ্বারা মানুষের কোন ক্ষতি করতে পারেনা। ভয়ংকর স্বপ্ন দেখলে দুশ্চিন্তার কোন কারন নেই। শয়তান মানুষকে দুশ্চিন্তায় ফেলার জন্যই এমন সব আজব আজব জিনিস দেখায়। এমনটা দেখলে ঘুম থেকে জেগে বাম দিকে থুথু ফেলে আস্তাগফিরুল্লাহ বলতে হয়।

৩. মানুষের কল্পনা। অর্থাৎ মানুষ যা কল্পনা করে স্বপ্নে তা দেখতে পায়।

হাদীস শরীফে এসেছে 

خَالِدُ بْنُ مَخْلَدٍ حَدَّثَنَا سُلَيْمَانُ عَنْ يَحْيَى بْنِ سَعِيدٍ قَالَ سَمِعْتُ أَبَا سَلَمَةَ قَالَ سَمِعْتُ أَبَا قَتَادَةَ يَقُوْلُ سَمِعْتُ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلميَقُوْلُ الرُّؤْيَا مِنْ اللهِ وَالْحُلْمُ مِنْ الشَّيْطَانِ فَإِذَا رَأٰى أَحَدُكُمْ شَيْئًا يَكْرَهُه“فَلْيَنْفِثْ حِينَ يَسْتَيْقِظُ ثَلاَثَ مَرَّاتٍ وَيَتَعَوَّذْ مِنْ شَرِّهَا فَإِنَّهَا لاَ تَضُرُّه“وَقَالَ أَبُو سَلَمَةَ وَإِنْ كُنْتُ لأَرَى الرُّؤْيَا أَثْقَلَ عَلَيَّ مِنَ الْجَبَلِ فَمَا هُوَ إِلاَّ أَنْ سَمِعْتُ هٰذَا الْحَدِيثَ فَمَا أُبَالِيهَا.

আবূ ক্বাতাদাহ হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -কে বলতে শুনেছিঃ ভাল স্বপ্ন আল্লাহর পক্ষ থেকে হয়, আর মন্দ স্বপ্ন হয় শয়তানের তরফ থেকে। সুতরাং তোমাদের কেউ যদি এমন কিছু স্বপ্ন দেখে যা তার কাছে খারাপ লাগে, তা হলে সে যখন ঘুম থেকে জেগে ওঠে তখন সে যেন তিনবার থুথু ফেলে এবং এর ক্ষতি থেকে আশ্রয় চায়। কেননা, তা হলে এটা তার কোন ক্ষতি করতে পারবে না।

আবূ সালামাহ বলেনঃ আমি যখন এমন স্বপ্ন দেখি যা আমার কাছে পাহাড়ের চেয়ে ভারি মনে হয়, তখন এ হাদীস শোনার ফলে আমি তার কোন পরোয়াই করি না। [বুখারী ৫৭৪৭ মুসলিম পর্ব ৪২/হাঃ ২২৬১, আহমাদ ২২৭০৭]

প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন/বোন!

আপনার স্বপ্নের বিবরণ থেকে মনে হচ্ছে যে, আপনার স্বপ্নটি তৃতীয় প্রকারের অন্তর্ভুক্ত। অর্থাৎ আপনি যা কল্পনা করেছেন, সে বিষয়টি স্বপ্নে দেখেছেন।

 আপনার পড়াশোনার বিষয়ে পরামর্শ থাকবে যেযদি আপনি ব্যক্তি জরুরত ও বিয়ে শাদীসহ সার্বিক দিক বিবেচনায় অফলাইন মাদ্রাসায় পড়াশোনা করতে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকেন, তাহলে জেনারেল শিক্ষার্থীদের জন্য যে সকল প্রতিষ্ঠান আছে যেমন, ঢাকা মিরপুরে অবস্থিত দারুর রাশাদ রয়েছে, আপনি এ জাতীয় প্রতিষ্ঠানে ভর্তি হতে পারেন। কিন্তু স্বাভাবিকভাবে এমন বয়সে এসে অনেকের জন্যই অফলাইনে পড়াশোনা করাটা কঠিন হয়ে যায়। এমতাবস্থায় আপনি যদি আলিম কোর্স কমপ্লিট করে দাওরা হাদিস কোর্সে অনলাইনে পড়াশোনা করেন, তাহলে এতেও  আপনার ফায়দা হবে ইনশাআল্লাহ।  সর্বোপরি অফলাইনে পড়াটাই অধিক কল্যাণকর।  কিন্তু যদি অফলাইনে পসিবল না হয় সেক্ষেত্রে আপনি অনলাইনে চেষ্টা চালিয়ে যাবেন ইনশাল্লাহ।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী মুজিবুর রহমান
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)
by
জাযাকাল্লাহ খইর।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...