ওয়া আলাইকুমুস-সালাম
ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু
بسم الله
الرحمن الرحيم
জবাব,
জন্মদিন পালন
একটি বিজাতীয় সংস্কৃতি। আর ইসলামি শরিয়তে বিজাতীয় সংস্কৃতির অনুসরণকে কঠোরভাবে নিষেধ
করা হয়েছে।
হাদিস শরিফে
এসেছে,
عن ابن عمر قال: قال رسول الله صلى الله
عليه وسلم: من تشبه بقوم فهو منهم
‘যে ব্যক্তি কোনো সম্প্রদায়ের সাদৃশ্য অবলম্বন করে সে তাদেরই অন্তর্ভুক্ত।’ [সুনানে
আবু দাউদ, হাদিস: ৪০৩১]
আরো
জানুন: https://ifatwa.info/11079/
প্রশ্নকারী
প্রিয় দ্বীনী ভাই/বোন!
যেহেতু জন্মদিন
উপলক্ষ্যে তৈরী করা খাবার খাওয়া জন্মদিন পালনেরই নামান্তর,
তাই কোনো প্রকারের খাবার গ্রহণ করা
যাবে না। সুতরাং শরীয়তের বিধান অনুযায়ী এক্ষেত্রে
সকলের করণীয় হল,
তাদেরকে ধর্মীয় আলোকে বিষয়টি বুঝিয়ে
খাবার গ্রহণ করা থেকে বিরত থাকা।
আর যদি সম্পর্ক নষ্ট হওয়ার আশংকা দেখা দেয় তাহলে
তাদেরকে বলে দেওয়া যে, শুধু সম্পর্ক রক্ষার খাতিরেই তা গ্রহণ করছেন। ভবিষ্যতে আর গ্রহণ করবেন না। এক্ষেত্রে হেকমতের
সাথে সেই খাবার গরিবদেরকে দান করে দিবেন এবং নিজে আহার করবেন না। তবে বিষয়টি তাদের
নিকট গোপন রাখার চেষ্টা করবেন, যেন সম্পর্ক নষ্ট না হয়।