আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
69 views
in ঈমান ও বিশ্বাস (Faith and Belief) by (8 points)
ধরেন একজন মুসলিম যে আমেরিকান এর মতো একটা ওয়েস্টার্ণ  দেশে গিয়েছে সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে। কিন্তু ওয়েস্টার্ণ কালচার সাথে মিশে সে এক প্রকার নাস্তিক হয়ে গিয়েছে, তার ইমান আমল সব ধ্বংস হয়ে গিয়েছে। নাস্তিক অবস্থায় সে অনেকরকম সফটওয়্যার তৈরি করেছে যে সমস্ত সফটওয়্যার এ অনেক কুফুরি শব্দ আছে, সেই সফটওয়্যার গুলার মালিকানা সে নিজেই যেহেতু সফটওয়্যার গুলা সে নিজেই তৈরি করেছে এবং তার একটি পার্সোনাল ওয়েবসাইটে সেই সফটওয়্যার ‍গুলা সে বিক্রি করে, এবং সেখান থেকে সে মাসে একটা ইনকাম পেয়ে থাকে। এখন সে নিজের ভুল বুজতে পেরে আবার ঈমান নবায়ন করে মুসলিম হলো। কিন্তু যে সফটওয়্যার গুলা ওয়েবসাইটে থেকে গেছে সেখান থেকে এখনও সে টাকা পেয়ে থাকে। ইমান নবায়ন করেও সে তার তৈরি করা কুফুরি সফটওয়্যার গুলা ওয়েবসাইট থেকে সরাইনি। এবং সেখান থেকে যে ইনকাম টা সে পেয়ে থাকে  সেটা দিয়ে সে সংসার চালাচ্ছে। ইমান নবায়ন করে সে আর কোন কুফুরি সফটওয়্যার তৈরি করেনি।
এখন আমার প্রশ্ন

১) সে অতি বিশ্বাসের সাথে তার ইমান নবায়ন করেছে। কিন্তু তার তৈরি করা কুফুরি সফটওয়্যার এখনও ওয়েবসাইটে থেকে গেছে এবং সেগুলা কাস্টমারদের কাছে বিক্রি হয়েই যাচ্ছে। এবং সেই কুফুরি সফটওয়্যার এর বিক্রির টাকা দিয়ে সে তার সংসার চালাচ্ছে, কিন্তু ইমান নবায়ন করার পর  সে আর কোন কুফুরি সফটওয়্যার তৈরি করেনি । তার কি ইমান নবায়ন হয়েছে?

1 Answer

0 votes
by (597,330 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
সববে ক্বারিব এর হুকুম হল, বিক্রেতা বা ভাড়া প্রদাণকারীর উদ্দেশ্য যদি হয়, গোনাহের কাজে সগযোগিতা করা,তাহলে এটা গোনাহ এবং গোনাহের কাজে সরাসরি সহযোগিতা হওয়ার দরুণ স্পষ্টত নাজায়েয ও হারাম হিসেবে বিবেচিত হবে। তবে যদি তার নিয়ত ও উদ্দেশ্য গোনাহের কাজে সহযোগিতা করা না হয়, তাহলে সেটা দুই প্রকার হবে, যথা- 
(ক) যদি তার জানা না থাকে যে, ক্রেতা আঙ্গুর ক্রয় করে সিরকা বানাবে না মদ তৈরী করবে না অন্য কোনো বৈধ কাজে ব্যবহার করবে? অথবা ভাড়ায় গ্রহণকারী ব্যক্তি উক্ত জায়গাতে কোনো নাজায়েয কাজ করবে? তাহলে এমতাবস্থায় বিক্রয় করা ও ভাড়ায় প্রদাণ করা জায়েয  হিসেবে বিবেচিত হবে। 
(খ)যদি তার জানা থাকে যে, ক্রেতা আঙ্গুর ক্রয় করে সিরকা বানাবে না মদ তৈরী করবে না অন্য কোনো বৈধ কাজে ব্যবহার করবে? অথবা ভাড়ায় গ্রহণকারী ব্যক্তি উক্ত জায়গাতে কোনো নাজায়েয কাজ করবে? তাহলে এমতাবস্থায় বিক্রয় করা ও ভাড়ায় প্রদাণ করা মাকরুহ  হিসেবে বিবেচিত হবে। এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/92143

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
যেহেতু এই সমস্ত ওয়েবসাইট দ্বারা গোনাহের কাজে সহযোগিতা করা হচ্ছে, তাই এগুলো বিক্রি করে ইনকাম করা জায়েয হবে না। সুতরাং জিনিষগুলো এখনই পরিত্যাগ করতে হবে। ঈমান নবায়ন হয়েছে ঠিক কিন্তু ঐ হারাম ইনকামকে পরিহার করা ওয়াজিব হবে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...