আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
75 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (3 points)
আসসালামু আলাইকুম

১.আমি জানতে পেরেছি হুরমত মুসাহারাত এর জন্য স্বামী স্ত্রী একে অপরের জন্য হারাম হয়ে যায়।আর মেয়েদের ক্ষেত্রে যার সাথে হুরমত হয় তার উপরের পুরুষ আর নিচের পুরুষ হারাম হয়ে যায়।এই উপরের পুরুষ আর নিচের পুরুষ বলতে কি বুঝায়??
২.আর স্বামীর উপরের পুরুষ বলতে শুধু শশুর কে বুঝায় নাকি এর মধ্যে দাদা শশুর- নানা শশুর ও অন্তর্ভুক্ত??
স্বামীর সাথে যাতে সম্পর্ক হারাম না হয় এর জন্য কাদের সাথে যাতে স্পর্শ না লাগে সেই দিকে খেয়াল রাখবো? শুধু কি শশুর আর ছেলে নাকি স্বামীর দাদা নানা ও এর অন্তর্ভুক্ত হবে??

1 Answer

0 votes
by (571,050 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
হুরমতে মুসাহারাহ চারজন ব্যক্তির ব্যাপারে সাব্যস্ত হবে। (১) পুত্রবধু- যা মেয়ের সাদৃশ্য গ্রহণ করে নেয় (২) স্ত্রীর মেয়ে- ইহাও মেয়ের সাদৃশ্য গ্রহণ করে নেয়   (৩) পিতার স্ত্রী যা মায়ের সাদৃশ্য গ্রহণ করে নেয় (৪) স্ত্রীর মা- যা মায়ের সাদৃশ্য গ্রহণ করে নেয়। (আল-ফিকহু আলাল মাযাহিবিল আরবা'আহ-৪/৬১)

দুই জন মানুষের মধ্যে যে সম্পর্ক পাওয়া যায় বা সমাজে চলমান রয়েছে,সেটা সাধারণত নসব তথা বংশগত কারণে হয়ে থাকে বা রেযা'আত তথা দুধ সম্পর্কের ভিত্তিতে প্রতিষ্টিত হয়ে থাকে কিংবা মুসাহারাহ তথা বৈবাহিক সম্পর্কের ভিত্তিতে প্রতিষ্টিত থাকে।

শরীয়তে মাহরাম নন মাহরাম তথা বিয়ে-শাদীর বৈধ-অবৈধ পার্সন সাধারণত এর ভিত্তিতেই নির্ধারিত হয়েছে।হয়তো নসবের কারণে কাউকে বিয়ে করা হারাম নতুবা বৈবাহিক সম্পর্কের ইস্যুতে হারাম কিংবা দুধ সম্পর্কের কারণে হারাম ।
কুরআনে কারীমে যে চৌদ্দ জনের নমুনা পেশ করা হয়েছে,এসব মূলত এই তিনটি সম্পর্কের ভিত্তিতেই নির্ধারিত হয়েছে। এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/1233


সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
(১) জ্বী, আপনি ঠিকই শুনতে পেরেছেন যে, হুরমত মুসাহারাহ এর জন্য স্বামী-স্ত্রী পরস্পর পরস্পরের জন্য হারাম হয়ে যায়। বিবাহের দ্বারা পুরুষ-মহিলা সবার ক্ষেত্রেই উর্ধতন পুরুষ-মহিলা এবং নিম্নস্বরের পুরুষ-মহিলা পরস্পর পরস্পরের জন্য হারাম হয়ে যায়। তথা স্বামীর উর্ধস্থন পুরুষ তথা শশুড় বা শশুড়ের বাবা ইত্যাদি এবং নিম্নস্থরের পুরুষ তথা স্বামীর অন্য স্ত্রীর ছেলে বা ছেলের ছেলে উক্ত স্ত্রীর হারাম হয়ে যায়।ঠিক তেমনিভাবে স্বামীর জন্যও হারাম হয়ে যায়।

(২) স্বামীর উপরের পুরুষ বলতে শুধু শশুর কে বুঝায় না বরং দাদা শশুর- নানা শশুর সবাই এর অন্তর্ভুক্ত।


বিঃদ্রঃ
আপনার লেখা থেকে বুঝা যাচ্ছে যে, আপনি হুরমতের মুসাহারাহ এর সঠিক অর্থ অনুধাবন করতে পারেননি। তাই আপনাকে বলবো, দয়াকরে আপনি হুরমতে মুসাহারাহ সম্পর্কে বেসিক জিনিষগুলো জানবেন। 

স্বামীর উর্ধস্থরের পুরুষ এবং নিম্নস্থরের পুরুষ চায় এর মধ্য আপনার নিজের ছেলেই হোক না কেন বা স্বামীর অন্য স্ত্রীর ছেলে সন্তান হোক না কেন, তাদের সাথে নিরাপদ দূরত্ব বজায় রেখে চলাফেরা করবেন। আল্লাহ আপনাকে তাওফিক দান করুক।আমীন।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...