ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
হুরমতে মুসাহারাহ চারজন ব্যক্তির ব্যাপারে সাব্যস্ত হবে। (১) পুত্রবধু- যা মেয়ের সাদৃশ্য গ্রহণ করে নেয় (২) স্ত্রীর মেয়ে- ইহাও মেয়ের সাদৃশ্য গ্রহণ করে নেয় (৩) পিতার স্ত্রী যা মায়ের সাদৃশ্য গ্রহণ করে নেয় (৪) স্ত্রীর মা- যা মায়ের সাদৃশ্য গ্রহণ করে নেয়। (আল-ফিকহু আলাল মাযাহিবিল আরবা'আহ-৪/৬১)
দুই জন মানুষের মধ্যে যে সম্পর্ক পাওয়া যায় বা সমাজে চলমান রয়েছে,সেটা সাধারণত নসব তথা বংশগত কারণে হয়ে থাকে বা রেযা'আত তথা দুধ সম্পর্কের ভিত্তিতে প্রতিষ্টিত হয়ে থাকে কিংবা মুসাহারাহ তথা বৈবাহিক সম্পর্কের ভিত্তিতে প্রতিষ্টিত থাকে।
শরীয়তে মাহরাম নন মাহরাম তথা বিয়ে-শাদীর বৈধ-অবৈধ পার্সন সাধারণত এর ভিত্তিতেই নির্ধারিত হয়েছে।হয়তো নসবের কারণে কাউকে বিয়ে করা হারাম নতুবা বৈবাহিক সম্পর্কের ইস্যুতে হারাম কিংবা দুধ সম্পর্কের কারণে হারাম ।
কুরআনে কারীমে যে চৌদ্দ জনের নমুনা পেশ করা হয়েছে,এসব মূলত এই তিনটি সম্পর্কের ভিত্তিতেই নির্ধারিত হয়েছে। এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-
https://www.ifatwa.info/1233
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
(১) জ্বী, আপনি ঠিকই শুনতে পেরেছেন যে, হুরমত মুসাহারাহ এর জন্য স্বামী-স্ত্রী পরস্পর পরস্পরের জন্য হারাম হয়ে যায়। বিবাহের দ্বারা পুরুষ-মহিলা সবার ক্ষেত্রেই উর্ধতন পুরুষ-মহিলা এবং নিম্নস্বরের পুরুষ-মহিলা পরস্পর পরস্পরের জন্য হারাম হয়ে যায়। তথা স্বামীর উর্ধস্থন পুরুষ তথা শশুড় বা শশুড়ের বাবা ইত্যাদি এবং নিম্নস্থরের পুরুষ তথা স্বামীর অন্য স্ত্রীর ছেলে বা ছেলের ছেলে উক্ত স্ত্রীর হারাম হয়ে যায়।ঠিক তেমনিভাবে স্বামীর জন্যও হারাম হয়ে যায়।
(২) স্বামীর উপরের পুরুষ বলতে শুধু শশুর কে বুঝায় না বরং দাদা শশুর- নানা শশুর সবাই এর অন্তর্ভুক্ত।
বিঃদ্রঃ
আপনার লেখা থেকে বুঝা যাচ্ছে যে, আপনি হুরমতের মুসাহারাহ এর সঠিক অর্থ অনুধাবন করতে পারেননি। তাই আপনাকে বলবো, দয়াকরে আপনি হুরমতে মুসাহারাহ সম্পর্কে বেসিক জিনিষগুলো জানবেন।
স্বামীর উর্ধস্থরের পুরুষ এবং নিম্নস্থরের পুরুষ চায় এর মধ্য আপনার নিজের ছেলেই হোক না কেন বা স্বামীর অন্য স্ত্রীর ছেলে সন্তান হোক না কেন, তাদের সাথে নিরাপদ দূরত্ব বজায় রেখে চলাফেরা করবেন। আল্লাহ আপনাকে তাওফিক দান করুক।আমীন।