আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
69 views
in হালাল ও হারাম (Halal & Haram) by (14 points)
আমার দুইটা বিজনেস আইডিয়া আছে। নিচে সেগুলো উল্লেখ করছি -

১। নগদ থেকে রকেট, রকেট থেকে উপায় ইত্যাদি এক মোবাইল ব্যাংকিং থেকে আরেকটাতে টাকা ট্রান্সফার করার সার্ভিস দেয়া। আর এই ট্রান্সফারের জন্য নির্দিষ্ট পরিমাণ চার্জ কেটে রাখব, যেটা হবে মানুষ যত টাকা ট্রান্সফার করতে চায় তার একটা পার্সেন্টেজ।

২। ক্রেডিট কার্ড দিয়ে মানুষের পেমেন্ট করে দিব। অনলাইনে অনেক কাজেই এটা লাগে। পেমেন্ট করে দেয়ার বিনিময়ে একটা নির্দিষ্ট পার্সেন্টেজ চার্জ হিসেবে কেটে রাখব।

এই ব্যবসাগুলো কি হালাল হবে? নাকি এগুলো সুদ?

1 Answer

0 votes
by (60,240 points)

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।

জবাবঃ

https://www.ifatwa.info/2979/ নং ফাতওয়াতে উল্লেখ রয়েছে যে,

বিকাশ রকেট যদিও সুদ ভিত্তিক ব্যাংকের সাথে সরাসরি জড়িত,তারপরেও এখানে সরাসরি টাকা পাঠানোর পর টাকা উত্তোলনের ক্ষেত্রে যেহেতু কোনো প্রকারের সূদের সম্ভাবনা দেখা যায়না বলে বিশেষজ্ঞদের দাবী, তাই বিকাশ রকেট এর মাধ্যমে লেনদেন করা জায়েজ।

তবে এখানে টাকা জমিয়ে রাখা ঠিক নয়, তাতে কর্তৃপক্ষ  সুদভিত্তিক খাতে বিনিয়োগ করার সুযোগ পেয়ে  যায়।


বিকাশ রকেটের মাধ্যমে লেন-দেনের প্রধান উদ্দেশ্য হচ্ছে, এক স্থান থেকে অন্যস্থানে টাকা প্রেরণ ও  গ্রহণ। মোবাইল ব্যাংকিং-এর পরিভাষায় যাকে বলা হয় সেন্ড মানি ও ক্যাশ আউট। অর্থাৎ এটিকে ডাক বিভাগের মানিঅর্ডারের সহজ বিকল্প বলা যায়। সেবাটি পেতে হলে প্রথমে কোম্পানির(প্রতিনিধি)এজেন্টদের কাছে গিয়ে নির্ধারিত ফরম পূরণের মাধ্যমে একটি একাউন্ট খোলার প্রয়োজন হয়।(যদিও টাকা প্রেরণ ও গ্রহণের জন্য নিজস্ব একাউন্ট না থাকলেও চলে। সেক্ষেত্রে এজেন্টদের মাধ্যমে তা করা যায়।) আপনার ভাই যদি এজেন্ট হন এবং ফরম পূরণের কাজ করে থাকেন তাহলে মৌলিকভাবে এতে শরীয়া পরিপন্থী কোনো কিছু এখন পর্যন্ত আমরা পাইনি ।

একজন মোবাইল একাউন্টধারী তার হিসাব থেকে অন্য একাউন্টধারীর হিসাবে নির্ধারিত পরিমাণে টাকা পাঠাতে পারে। এটিকে বলা হচ্ছে সেন্ড মানি।  নির্ধারিত ফ্ল্যাট রেটে এই সুবিধা দেওয়া হয়। এতেও শরয়ী সমস্যা নেই।

,

ক্যাশ আউট। মোবাইল ব্যাংকিং-এর বহুল ব্যবহৃত সুবিধা এটি। নিজ একাউন্ট থেকে অথবা এজেন্টের কাছে প্রেরিত টাকা উত্তোলনই মোবাইল ব্যাংকিং-এর (বিকাশ,এমক্যাশ ইত্যাদি) মাধ্যমে সবচাইতে বেশি হয়ে থাকে।ফিকহে ইসলামীর দৃষ্টিতে এটি ‘আলইজারাহ’-এর অন্তর্ভুক্ত। الإجارة هي بيع منفعة معلومة بأجر معلوم ‘ইজারা হচ্ছে নির্ধারিত বিনিময়ে নির্ধারিত সেবা বিক্রয় করার নাম।(আরো দেখুন : আলআওসাত ১১/১৩১; আলমুগনী ৮/২২; আলফুরূক ৪/৩৪) 

,

এক্ষেত্রে টাকা জমা/উত্তোলনকারী হচ্ছে সেবাগ্রহীতা বা ‘মুসতাজির’। আর কোম্পানি হচ্ছে সেবাদাতা বা ‘আজীর’। এজেন্ট হচ্ছে মূল সেবাদাতা বা ‘আজীরে’র ওয়াকিল বা প্রতিনিধি। ওয়াকালাহ বা Agency Contract এর ক্ষেত্রে   Agent বা প্রতিনিধি পারিশ্রমিকের বিনিময়ে তার Agency এর দায়িত্ব পালন করতে পারে। আর পারিশ্রমিকের ক্ষেত্রে তা নির্দিষ্ট হওয়া জরুরী। তা নির্দিষ্ট অংক বা কোনো অংকের নির্দিষ্ট হার – উভয়টিই হতে পারে। যেমন ১০০ টাকায় ১০ টাকা, বা ১০০ টাকার ১০% – উভয়টিই বৈধ।

সুতরাং মূল সেবাদাতা-কোম্পানির প্রতিনিধি (Agent )হিসাবে নির্দিষ্ট হারে পারিশ্রমিক বা কমিশন নিতে পারে। এটা তার জন্য বৈধ হবে।

তবে এ ক্ষেত্রে উল্লেখ্য, সার্বিক বিবেচনায়  বিকাশের মাধ্যমে টাকা টাকা প্রেরণ ও  গ্রহণে যদিও কোনো সমস্যা নেই, কিন্তু তা যেন সুদভিত্তিক প্রতিষ্ঠানের সুদভিত্তিক কার্যক্রমে সহযোগিতার পর্যায়ে না হয়, তা লক্ষ্য রাখা উচিৎ।অতএব সেবাদাতা-কোম্পানি (যেমন,এখানে bkash রকেট) যদি সুদভিত্তিক কার্যক্রমের সাথে জড়িত থাকে, তাহলে তাদের কাছে বেশি সময় টাকা গচ্ছিত রাখা উচিৎ নয়। কারণ এতে তারা গ্রাহকের টাকা কিছু সময়ের জন্য হলেও সুদভিত্তিক খাতে বিনিয়োগ করার সুযোগ পেয়ে যাবে।


সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!


১. উক্ত কোম্পানীগুলো থেকে এজেন্ট হওয়ার মাধ্যমে যদি হয় এবং কোম্পানীর পক্ষ হতে নির্ধারিত পার্সেন্টেজ নেওয়া হয় তাহলে জায়েজ। অর্থাৎ বৈধ পন্থায় হতে হবে। তাই প্রশ্নে আরো বিস্তারিত উল্লেখ কররে ভালো হতো।


২. ক্রেডিট ব্যবহার করা হারাম। অন্যদিকে ডেবিট কার্ড ব্যবহার করা জায়েয। তাই ক্রেটিড কার্ডের মাধ্যমে লেনদেন করা জায়েজ হবে না।

আরো বিস্তারিত জানুন - https://ifatwa.info/14543/


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী আব্দুল ওয়াহিদ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)
by (14 points)
১। ধরেন, আমার নগদ আর রকেট এজেন্ট আছে। কাস্টমার তার নগদ থেকে রকেটে টাকা ট্রান্সফার করতে চায়। সে তার নগদের টাকাটা আমার কাছে ক্যাশ আউট করবে। তারপর আমি সেই টাকাটা তার রকেটে ক্যাশ ইন করে দেব। এই ট্রান্সফার সার্ভিসের বিনিময়ে আমি তার থেকে একটা পার্সেণ্টেজ চার্জ হিসেবে কেটে রাখব। এটা কি হালাল?

২। ডেবিট কার্ড দিয়ে মানুষের পেমেন্ট করে দিয়ে সেটার জন্য নির্দিষ্ট পার্সেন্ট চার্জ কেটে রেখে ব্যবসা করা হালাল হবে কি?

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...