আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
74 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (5 points)
আজকে দেখা যাচ্ছে স্বৈরশাসক শেখ হাসিনা ছাত্র সংগঠন ও জনগণের চাপে পরে দেশত্যাগের পর গণভবনের আসবাবপত্র, পোশাক, হাস, ছাগল ইত্যাদি অনেকে নিয়ে যাচ্ছে। এগুলো ব্যবহার করা কি জায়েজ হবে? তাছাড়া অনেকে দেখতেছি রাস্তা ঘাটের লোহার রড ইত্যাদি খুলে সেগুলো দিয়ে বিজয় মিছিল করতেছে। এগুলোর ব্যবহার জায়েজ কিনা?

1 Answer

0 votes
by (574,260 points)
জবাবঃ-
بسم الله الرحمن الرحيم

অমুসলিম সম্প্রদায়ের সাথে রণক্ষেত্রে বিজয়ী হবার পর যুদ্ধের ময়দানে পরিত্যক্ত সম্পদ মুসলিম সম্প্রদায়ের হস্তগত হলে তাকে গনিমত বলে । যুদ্ধাস্ত্র, খাদ্যসামগ্রী, যানবাহন, পোশাক-পরিচ্ছদ ইত্যাদী গনিমতের সম্পদের অন্তর্ভুক্ত।

মহান আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেনঃ- 

وَ اعۡلَمُوۡۤا اَنَّمَا غَنِمۡتُمۡ مِّنۡ شَیۡءٍ فَاَنَّ لِلّٰهِ خُمُسَهٗ وَ لِلرَّسُوۡلِ وَ لِذِی الۡقُرۡبٰی وَ الۡیَتٰمٰی وَ الۡمَسٰکِیۡنِ وَ ابۡنِ السَّبِیۡلِ ۙ اِنۡ کُنۡتُمۡ اٰمَنۡتُمۡ بِاللّٰهِ وَ مَاۤ اَنۡزَلۡنَا عَلٰی عَبۡدِنَا یَوۡمَ الۡفُرۡقَانِ یَوۡمَ الۡتَقَی الۡجَمۡعٰنِ ؕ وَ اللّٰهُ عَلٰی کُلِّ شَیۡءٍ قَدِیۡرٌ

‘আর জেনে রেখ! যুদ্ধে যা কিছু তোমরা (গনিমত হিসেবে) লাভ কর, তার এক পঞ্চমাংশ আল্লাহ, তাঁর রাসুলের, রাসুলের নিকটাত্মীয়, পিতৃহীন এতিম, দরিদ্র এবং পথচারীদের জন্য। যদি তোমরা আল্লাহ ও সেই জিনিসে বিশ্বাসী হও, যা ফয়সালার দিন (বদর প্রান্তরে) আমি আমার বান্দার প্রতি নাজিল করেছিলাম; যেদিন দু’দল (মুসলিম ও কাফের) পরস্পর মুখোমুখি হয়েছিল। আর আল্লাহ তাআলা সর্ব বিষয়ে শক্তিমান।’ (সুরা আনফাল: আয়াত ৪১)


ইসলামি শরিয়তের পরিভাষা অনুযায়ী অমুসলিমদের কাছ থেকে যুদ্ধ-বিগ্রহে বিজয়ার্জনের মাধ্যমে যে মালামাল অর্জিত হয়, তাকেই বলা হয় ‘গনিমত’। (ফাতহুল কাদির) 

এখানে কাফেরদের সাথে জেহাদের পর যুদ্ধলব্ধ সম্পদ গনিমতের হকদারদের বিস্তারিত বিবরণ দেয়া হয়েছে। সমস্ত সম্পদ পাঁচ ভাগে ভাগ করা হবে। এর চার ভাগ যোদ্ধাদের মধ্যে বন্টন করা হবে। আর বাকী এক পঞ্চমাংশ বা পাঁচ ভাগের এক ভাগকে আবার পাঁচভাগে ভাগ করা হবে।

প্রথমভাগ আল্লাহ ও তাঁর রাসুলের। এ অংশ মুসলিমদের সাধারণ স্বার্থ সংরক্ষণে ব্যয় হবে।

দ্বিতীয়ভাগ রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের স্বজনদের জন্য নির্ধারিত। তারা হলেন ওই সমস্ত লোক যাদের উপর সদকা খাওয়া হারাম। অর্থাৎ বনু হাশেম ও বনু মুত্তালিব। কারণ তাদের দেখাশুনার দায়িত্ব ছিল রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের ওপর। তিনি তার নবুওয়তের কর্মকাণ্ডে ব্যস্ত থাকায় তাদের জন্য এ গনিমতের মাল থেকে দেওয়া ছাড়া কোনো উপায় নেই।

তৃতীয়ভাগ এতিমদের জন্য সুনির্দিষ্ট।

চতুর্থভাগ ফকির ও মিসকিনদের জন্য। আর

পঞ্চম ভাগ মুসাফিরদের জন্য। (ইবনে কাসির)

★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
শরীয়তের দৃষ্টিকোণ হতে এগুলো গনিমতের অন্তর্ভুক্ত নয়,বিধায় এগুলো ব্যবহার জায়েজ হবেনা।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

No related questions found

...