আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
80 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (16 points)
https://drive.google.com/file/d/105NnRWDqT4y7isI3ox0aQj7u74BfPAzS/view?usp=drivesdk

এই লিংকে একটি চুলের বেন্ড(মাথা সাজানোর প্রসাধনী) এর ছবি দিয়েছি।একটু দেখে জানাবেন যে এই হেয়ার বেন্ড টি মেয়েদের পরা যায়েজ?

1 Answer

0 votes
by (574,050 points)
জবাবঃ-
بسم الله الرحمن الرحيم

https://ifatwa.info/69516/ নং ফতোয়াতে উল্লেখ রয়েছেঃ- 
হাদীস শরীফে এসেছেঃ 
রাসুলুল্লাহ সাঃ বলেছেন,

أنه لعن الْوَاصِلَةِ وَالْمُسْتَوْصِلَةِ وَالْوَاشِمَةِ وَالْمُسْتَوْشِمَةِ

‘‘যে ব্যক্তি নিজে পরচুলা লাগায় এবং যে অন্যের কাছে লাগিয়ে নেয় এবং যে নিজে উল্কি আঁকে এবং উল্কি লাগিয়ে নেয় আল্লাহ তাদেরকে অভিসম্পাত করেন।’’ (সহিহুল বুখারী, পোশাক অধ্যায়, হাদিস নং ৫৪৭৭)

পরচুলা ব্যবহার করা জায়েজ নেই।
তবে মানুষের চুল ব্যাতিত কোনো অন্য জীবের পরচুলা পড়ার অনুমতি কিছু ইসলামী স্কলারগন দিয়েছেন।

و في الفتاوى الهندية-  ووصل الشعر بشعر الآدمي حرام سواء كان شعرها أو شعر غيرها كذا في الاختيار شرح المختار ولا بأس للمرأة أن تجعل في قرونها وذوائبها شيئا من الوبر كذا في فتاوى قاضي خان في جواز صلاة المرأة مع شعر غيرها الموصول اختلاف بينهم والمختار أنه يجوز كذا في الغياثية (الفتاوى الهندية-1/358
সারমর্মঃ
মাথার চুলের সাথে মানুষের চুল মিলানো হারাম। চাই নিজের চুল হোক বা অন্যের চুল হোক। তবে অন্য কোনো জীবের চুল লাগানোতে সমস্যা নেই।
(ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়াহ ১/৩৫৮)

মাথায় টাক পড়লে মহিলা বা পুরুষ মাথায় কৃত্রিম চুল (যা মূলত মানুষের বা শুকুরের চুল নয়; প্লাস্টিক বা অন্য কোন পদার্থ দিয়ে তৈরী) প্রতিস্থাপন করতে পারবেন।

এটি বিশেষ প্রয়োজনে।
নতুবা বিনা ওযরে তথা ফ্যাশনের জন্য এ ধরনের পরচুলা ব্যবহার করা জায়েজ নেই।

★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই,
প্রশ্নে উল্লেখিত হেয়ার বেন্ড এর উপর পরচুলার ন্যায় বিধান আরোপ হবে।

সুতরাং বিশেষ প্রয়োজনে যেমন মাথায় টাক পড়লে উক্ত হেয়ার বেন্ড ব্যবহার করা মেয়েদের জন্য জায়েজ হবে।

বিনা ওযরে ব্যবহার করা জায়েজ হবেনা।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...