ওয়া আলাইকুমুস-সালাম
ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু
بسم الله
الرحمن الرحيم
জবাব,
https://www.ifatwa.info/10844 নং ফাতাওয়ায় আমরা উল্লেখ করেছি যে,
কিস্তিতে অতিরিক্ত
মূল্যে পন্য ক্রয় জায়েয আছে। সুদ হবে না। তবে শর্ত হল যে, দেরিতে মালের মূল্য পরিশোধ করার দরুণ প্রথমেই একটি মূল্য নির্ধারণ করে নিতে হবে। যেমন -একটি ফ্রিজ,
নগদ হলে চল্লিশ হাজার টাকা। আর ১২মাসের কিস্তিতে হলে পঞ্চাশ হাজার টাকা। এভাবে
লেনদেনের পূর্বেই দুটি মূল্য ঠিক করে নিতে হবে। পরবর্তীতে আবার অতিরিক্ত মূল্য চার্জ
করা যাবে না। কিস্তি মিস হলে অতিরিক্ত চার্জ করা সুদের অন্তর্ভুক্ত হবে। (কিতাবুল ফাতাওয়া-৫/১৯৯--৫/২২৪)
হযরত শুবা
ইবনুল হাজ্জাজ রাহ. (মৃত্যু : ১৬০ হি.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি হাকাম ইবনে উতাইবা এবং হাম্মাদ
ইবনে আবু সুলাইমকে এক ক্রেতা সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করলাম যে, সে
অন্যের থেকে পণ্য ক্রয় করে আর বিক্রেতা তাকে বলে যে, নগদ মূল্যে
কিনলে এত টাকা আর বাকিতে কিনলে এত টাকা। (এতে কোনো অসুবিধা আছে কি?) তারা উভয়ে বললেন, ক্রেতা-বিক্রেতা উভয়ে যদি (মজলিস ত্যাগ করার পূর্বে) কোনো একটি (মূল্য) চূড়ান্ত
করে নেয় তাহলে এতে কোনো অসুবিধা নেই। (মুসান্নাফ ইবনে আবী শাইবা, হাদীস : ২০৮৩৬; জামে তিরমিযী ১/১৪৭।
সু-প্রিয়
পাঠকবর্গ ও প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
প্রশ্নল্লিখিত ছুরতে বাজারে ফ্রিজ, মোবাইল ইত্যাদি ইলেকট্রনিকস সামগ্রী কিস্তিতে বিক্রি হয়। এই বিক্রির
চুক্তিপত্রের মধ্যেই উল্লেখ থাকে। সময়মতো পরিশোধ করতে না পারলে একটা নির্দিষ্ট
হারে সুদ বাড়বে। এটা রিবাদ-দাইন ও রিবা নাসিয়ার অন্তর্ভুক্ত। তাই এ ধরনের শর্ত
সম্পূর্ণ নাজায়েজ। আর বাধ্য হয়ে কেউ এ ধরনের শর্তে ক্রয় করলে নির্ধারিত মেয়াদের
ভেতরই কিস্তি পরিশোধ করতে হবে। নতুবা সুদ দেওয়ার গুনাহ হবে। এসম্পর্কে আরো জানুন: https://www.ifatwa.info/89732/