بسم الله
الرحمن الرحيم
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম
ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু
بسم الله
الرحمن الرحيم
জবাব,
ঋণের ক্ষেত্রে
গুরুত্বপূর্ণ ২ টি বিষয় হলোঃ
*ঋণ দানের শর্ত হিসেবে মূলধনের অতিরিক্ত কোনো কিছু আদায় করা।
*অতিরিক্ত যা কিছু আদায় করা হয় তার শরীয়াহ সম্মত কোনো বিনিময় না থাকা।
আল্লাহ তায়ালা
বলেন
يا ايها
الذين امنوا لا تاكلوا الربا اضعافا مضاعفه واتقوا الله لعلكم تفلحون
‘হে মুমিনগণ! তোমরা চক্রবৃদ্ধি হারে সুদ খেও না। আল্লাহকে
ভয় করো। তাহলে তোমরা সফল হতে পারবে। ’ -সূরা আল ইমরান: ১৩০
হাদীস শরীফে
এসেছেঃ
عبد الله
بن مسعود عن أبيه عن النبي صلى الله عليه وسلم قال لعن الله آكل الربا وموكله
وشاهديه وكاتبه
হযরত আব্দুল্লাহ
বিন মাসউদ রাঃ এর পিতা থেকে বর্ণিত। রাসূল সাঃ ইরশাদ করেছেন-“যে সুদ খায়,
যে সুদ খাওয়ায়,
তার সাক্ষী যে হয়,
আর দলিল যে লিখে তাদের সকলেরই উপর
আল্লাহ তায়ালা অভিশাপ করেছেন। (মুসনাদে আহমাদ, হাদিস নং-৩৮০৯, মুসনাদে আবি ইয়ালা,
হাদিস নং-৪৯৮১)
আরো জানুনঃ-
https://ifatwa.info/14252/
ভাড়াদাতা ভাড়াগ্রহিতা
থেকে অতিরিক্ত টাকা নেয়ার দুটি পদ্ধতি রয়েছে- ১. ভাড়াদাতা জামানত হিসেবে ভাড়াগ্রহিতা
থেকে যে টাকাটা গ্রহণ করে থাকে, ভাড়ার চুক্তি শেষে তা আবার ভাড়াগ্রহিতাকে ফেরত দিয়ে দিতে হয়,
যাকে সিকিউরিটি মানি বলে। ২. এককালীন
গ্রহণ করা টাকা প্রতি মাসেই কিছু কিছু করে ভাড়া হিসাবে কাটা হয়,
যাকে অ্যাডভান্স বলে।
সিকিউরিটি
মানির কারণে ভাড়া কম রাখা জায়েজ নয়। অর্থাৎ সিকিউরিটি মানির পরিমাণ বৃদ্ধি পেলে ভাড়া
কমে যাওয়ার যে প্রচলন আমাদের সমাজে রয়েছে, তা জায়েজ নয়। কেননা সিকিউরিটি মানি ভাড়াদাতার কাছে
ঋণ হিসেবে থাকে। তাই এ টাকার কারণে ভাড়ার পরিমাণ কমিয়ে দিলে তা ঋণ দিয়ে ঋণগ্রহিতা থেকে
অতিরিক্ত সুবিধা গ্রহণের অন্তর্ভুক্ত, যা সুদ ও হারাম।
তবে সিকিউরিটি
মানি না হয়ে যদি অ্যাডভান্স তথা অগ্রীম ভাড়া প্রদান করার কারণে ভাড়া কিছুটা কমানো হয়,
তবে তাতে সমস্যা নেই। কেননা অ্যাডভান্সের
টাকাটা ভাড়াদাতার কাছে ঋণ হিসেবে থাকে না।
বরং অগ্রিম
প্রদেয় ভাড়া। মোটকথা, সিকিউরিটি মানি বৃদ্ধির কারণে ভাড়ার স্বাভাবিক হার তথা উজরতে মিছিল থেকে কমানো
জায়েজ নয়। কিন্তু অ্যাডভান্সে জায়েজ আছে। ভাড়াদাতা ভাড়াগ্রহীতা
থেকে এককালীন যে টাকাটা নেবে, তা অ্যাডভান্স তথা অগ্রিম ভাড়া হিসেবে নেবে,
যা চুক্তি অনুযায়ী ভাড়া হিসেবে কর্তিত
হবে।
সু-প্রিয় পাঠকবর্গ ও প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
আপনার সেই
বোনের উত্তরে বলবো যে, উক্ত স্বর্ণের যাকাত আপনাকেই প্রদাণ করতে হবে। কারণ, উক্ত
স্বর্ণগুলির মালিক আপনিই। যদিও সাময়িক সময়ের জন্য বন্দক রাখা আছে। কিন্তু বন্দকের
দ্বারা মালিকানা বাতিল হয় না। এক্ষেত্রে মূলনীতি হলো ,যে কোন করয,
চাই বন্ধককৃত মালের পরিবর্তে দেয়া
হোক, অথবা বন্ধক ব্যতীত শুধু করয হিসাবে অন্যকে দেয়া হোক,
সকল প্রকার করযই অন্য মালসহ যখন নিসাব
পরিমাণ এবং তার উপর পূর্ণ এক বৎসর অতিক্রান্ত হয়, তখন উক্ত টাকার মূল মালিকের উপর যাকাত ওয়াজিব হয়ে
যায়। তবে করযের টাকা উসুল হওয়ার পূর্বে তার যাকাত আদায় করা জরুরী নয়। উসুল হওয়ার
পর তার যাকাত আদায় করা যায়। অবশ্য পূর্বে আদায় করলেও যাকাত আদায় হয়ে যাবে।
এসম্পর্কে
আরো জানুন: https://www.ifatwa.info/1483