ওয়া
আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু
بسم
الله الرحمن الرحيم
জবাব,
https://ifatwa.info/34003/
নং ফাতওয়াতে উল্লেখ করা হয়েছে যে, শরীয়তের বিধান হলো যদি বর বা তার গার্জিয়ানের পক্ষ থেকে এমন শর্ত
করা হয় যে কনে বা তার গার্জিয়ানের পক্ষ থেকে হাদিয়া তুহফা বা টাকা-পয়সা ইত্যাদি উপঢৌকন
না দিলে, উক্ত কনেকে বিবাহই করবে না, তাহলে শর্ত সাপেক্ষে কনের পক্ষ থেকে উক্ত জিনিসপত্র
দেওয়া সুদ হিসেবে হারাম হবে। চাই তা নিজের দিক বা অন্য কারো কাছ থেকে নিয়েই দিক। কেননা
বিবাহ বন্ধন হল এমন একটি বেচা-কেনা যেখানে বিনিময়ে কিছু পাওয়া যায় না।
আর বিবাহের পূর্বে, মেয়ের পিতা ছেলের অসন্তুষ্টিতে,
তার নিকট থেকে দাবীর মাধ্যমে যে টাকা গ্রহণ করে, তাও সুদ। হ্যাঁ ছেলের নিকট দাবী করা ব্যতীত যদি মেয়ের পরিবার
সন্তুষ্টচিত্তে যদি দিয়ে থাকে তাহলে সেটা জায়েয হবে।
হাদীস শরীফে আছে, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি
ওয়াসাল্লাম বিদায় হজ্বের ঐতিহাসিক ভাষণে বলেছেন-
ألا ولا يحل لامرئ من مال أخيه شيء إلا بطيب نفس منه
সাবধান! কারো জন্য তার ভাইয়ের কিছুমাত্র
সম্পদও বৈধ নয়, যদি তার স্বতঃস্ফূর্ত সম্মতি না থাকে।-মুসনাদে আহমদ, হাদীস : ১৫৪৮৮;
সুনানে দারাকুতনী, হাদীস : ২৮৮৩; শুআবুল ঈমান বায়হাকী, হাদীস : ৫৪৯২
অর্থাৎ কেউ কিছু দিলেই তা ভোগ করা হালাল
হয় না, যে পর্যন্ত না খুশি মনে দেয়।
কুরআন মজীদে একাধিক আয়াতে আল্লাহ তাআলা
বলেছেন-
لا تأكلوا اموالكم بينكم بالباطل
তোমরা বাতিল উপায়ে একে অন্যের সম্পদ গ্রাস
করো না।-সূরা বাকারা : ১৮৮; সূরা নিসা : ২৯
আরো জানুনঃ
https://ifatwa.info/4115
https://ifatwa.info/3361/
★★ সুপ্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি
ভাই/বোন!
জ্বী না ঐ ভাইয়ের
জন্য উক্ত গরুটি যৌতুক হিসেবে গণ্য হবে না। কারণ, তিনি যেহেতু যৌতুক হিসেবে শশুরবাড়ি
থেকে কিছু চাননি বা পাওয়ার প্রত্যাশাও করেননি। বরং তার শশুর পরিবার খুশি হয়েই তাকে
তা দিতে চাচ্চে,তাই তার জন্য হাদিয়া হিসেবে এই গরু নেওয়া বৈধ । তবে তিনি সর্বোচ্চ সতর্কতা
অবলম্বন করে সেই গরুটির মালিক স্বীয় স্ত্রীকে বানাতে পারেন, তাহলে তার স্ত্রী ঐ
গাভীর মালিক হয়ে যাবেন ।